হোম > বিশ্ব > যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা

কানাডায় জয়ের পথে লিবারেল পার্টি, কারনির নেতৃত্বেই থাকছে সরকার

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­

কানাডার প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনে মার্ক কারনির জয়ের পূর্বাভাস। ছবি: এএফপি

কানাডার প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের ভোট গ্রহণ শেষ হয়েছে। এরই মধ্যে ফলাফলও আসতে শুরু করেছে। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলোর বিশ্লেষণ বলছে, নির্বাচনে আবারও জয়ী হতে চলেছে লিবারেল পার্ট এবং প্রধানমন্ত্রী পদে বহাল থাকবেন মার্ক কারনি।

কানাডার সংবাদমাধ্যম সিবিসি ও সিটিভির অনুমান অনুযায়ী, পার্লামেন্টে ৩৪৩ আসনের মধ্যে কমপক্ষে ১৪৫টি আসনে জয়ী হবে লিবারেলরা। নিকট প্রতিদ্বন্দ্বী কনজারভেটিভরা পাবে ১১৪ আসন। সরকার গঠনের জন্য ন্যূনতম ১২৭টি আসন কেউ–ই এককভাবে জিততে পারবে না বলেই প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে। সে ক্ষেত্রে জোট গঠন করতে হবে লিবারেলদের।

কাতারভিত্তিক সম্প্রচারমাধ্যম আল–জাজিরার তথ্যমতে, অন্টারিওর নেপিয়ান আসনে লিবারেল পার্টির নেতা কারনি প্রায় ৬৮ শতাংশ ভোট পেয়ে এগিয়ে আছেন। এই আসনে বিজয়ের অর্থ, কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক কারনি প্রথমবারের মতো পার্লামেন্টে আসন জিতবেন। ব্যাংক অব ইংল্যান্ড এবং ব্যাংক অব কানাডার সাবেক গভর্নর কারনি, গত মার্চে প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর স্থলাভিষিক্ত হন। তবে তিনি কখনো পার্লামেন্টের সদস্য ছিলেন না।

সাম্প্রতিক সময়ে ট্রুডোর নেতৃত্বে লিবারেল পার্টির জনপ্রিয়তা তলানিতে ঠেকলেও মার্ক কারনির প্রধানমন্ত্রিত্ব গ্রহণের পর নতুন করে শক্তি পেয়েছে। নির্বাচন মূলত লিবারেল বনাম কনজারভেটিভ লড়াইয়ে পরিণত হয়েছে। এমনকি এনডিপি নেতা জগমিত সিং নিজেও নিজের আসন হারানোর ঝুঁকিতে রয়েছেন—যদি তা ঘটে, তবে এটি নিঃসন্দেহে বামপন্থী দলটির জন্য খুবই হতাশাজনক হবে।

সবশেষ পাওয়া খবর পর্যন্ত নিউ ডেমোক্রেটিক পার্টির (এনডিপি) ভোট পাওয়ার হার আগেরবারের তুলনায় প্রায় ১২ শতাংশ কমে আনুমানিক ৪ দশমিক ৭ শতাংশে নেমে এসেছে। অবশ্য এটি খুব একটা অপ্রত্যাশিত নয়, কারণ এনডিপি পার্লামেন্টে চতুর্থ বৃহত্তম দল হলেও সাম্প্রতিক জনমত জরিপে তাদের দুর্বল অবস্থানের চিত্রই উঠে এসেছে।

আলজাজিরার অটোয়া প্রতিনিধি জানান, ছোট দলগুলো এখনো তেমন ভোট পায়নি, শেষ পর্যন্ত আরও কিছু ভোট পেতে পারে, তবে এই মুহূর্তে তাদের প্রকৃত প্রভাব নির্ধারণ করা কঠিন। কিন্তু লিবারেল পার্টির শুরুটা যথেষ্ট শক্তিশালী। যদিও পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশগুলোর ভোট গণনা শুরু হলে পরিস্থিতি বদলে যেতে পারে।

আল জাজিরার প্রতিনিধি বলেন, ‘এই নির্বাচনের ফল আসলে পুরোপুরি উল্টে গেছে। জানুয়ারিতে, কনজারভেটিভ পার্টি ২৫ পয়েন্টে এগিয়ে ছিল। এরপর লিবারেল প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো পদত্যাগ করেন এবং মার্ক কারনি নেতৃত্ব গ্রহণ করেন। এরপর কানাডার বিরুদ্ধে ডোনাল্ড ট্রাম্পের একের পর এক শুল্ক আরোপ এবং কানাডাকে যুক্তরাষ্ট্রের অঙ্গরাজ্য বানানোর হুমকি লিবারেলদের জন্য শাপে বর হয়েছে। মার্ক কারনি কড়া ভাষায় ট্রাম্পের বিরুদ্ধে কথা বলেছেন, যা তাঁর প্রতি জনসমর্থন বাড়িয়েছে। অন্যদিকে কনজারভেটিভ পার্টির নেতা পিয়েরে পয়লিয়েভ আদর্শগতভাবে যুক্তরাষ্ট্রে ক্ষমতাসীন রিপাবলিকান পার্টির ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত। এই সম্পর্কই শেষ মুহূর্তে তাঁর ক্ষতির কারণ হয়েছে।

ধনী খদ্দেরদের জন্য কিশোরীদের যেভাবে বাছাই করতেন এপস্টেইন—উঠে এল এফবিআইয়ের তদন্তে

বিল ক্লিনটনকে ‘বলির পাঁঠা’ বানানোর অভিযোগ ট্রাম্পের বিরুদ্ধে

মার্কিন সরকারি ওয়েবসাইট থেকে ট্রাম্পের ছবিসহ ১৬ এপস্টেইন নথি গায়েব

যুক্তরাষ্ট্র ছাড়ার কথা ভাবছেন আতঙ্কিত শিক্ষকেরা

জনপ্রিয়তায় ধস: জাতির উদ্দেশে ভাষণে নিজের গুণগান আর সেনাদের খুশি রাখার কৌশলে ট্রাম্প

ভেনেজুয়েলার তেল আমাদের সম্পদ, বললেন ট্রাম্পের শীর্ষ সহযোগী

মাস্ক ‘মাদকসেবী’, ভাইস প্রেসিডেন্ট ‘ষড়যন্ত্রতাত্ত্বিক’: হোয়াইট হাউসের চিফ অব স্টাফ

ফিলিস্তিনসহ আরও যে ৬ দেশের নাগরিকদের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিল যুক্তরাষ্ট্র

ট্রাম্পের ১০ বিলিয়ন ডলার ক্ষতিপূরণ মামলা প্রতিহতের ঘোষণা দিল বিবিসি

৩০ বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্রে থাকেন ভারতীয় নারী, গ্রিন কার্ড সাক্ষাৎকারে গিয়ে আটক