যুক্তরাষ্ট্রের জনপ্রিয় ডিসকাউন্ট স্টোর ‘টার্গেট’-এ চুরি করতে গিয়ে ধরা পড়েছেন এক ভারতীয় নারী। যদিও ঘটনাটি চলতি বছর শুরুর দিকের। তবে, এত দিন পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে সেই ভিডিও। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদন অনুযায়ী, ঘটনাটি চলতি বছর ১৫ জানুয়ারির।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ওই ভিডিওতে দেখা যায়, পুলিশ যখন তাঁকে প্রশ্ন করার চেষ্টা করছিল, তখন ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদতে কাঁদতে তাঁর শ্বাস উঠে যাওয়ার জোগাড়। এমন পরিস্থিতিতে পুলিশ তাঁকে শান্ত করার চেষ্টা করছিল। ভিডিওতে দেখা যায়, পুলিশ তাঁকে বলছে, ‘বড় করে নিশ্বাস নিন। আপনি এভাবে কাঁদতে থাকলে আমি আপনার সঙ্গে কথা বলতে পারছি না।’
তারপর পুলিশ তাঁকে জিজ্ঞেস করে, তিনি ইংরেজি বলতে পারে কি না। উত্তরে তিনি জানান, খুব ভালোভাবে পারেন না। তাঁর মাতৃভাষা কোনটি জিজ্ঞেস করা হলে তিনি জানান গুজরাটি। যেহেতু তাঁর নিশ্বাস নিতে সমস্যা হচ্ছিল, তাই পুলিশ জানতে চায় তাঁর কোনো শারীরিক অসুস্থতা বা জটিলতা আছে কি না।
দোকানের কর্মীরা পুলিশকে জানান, তিনি ওই দোকানের একজন নিয়মিত ক্রেতা। তবে, এবারই প্রথম চুরি করতে গিয়ে ধরা পড়লেন তিনি। এর আগে কখনো চুরি করেছেন কি না ওই বিষয়ে কিছু জানা যায়নি।
ওই নারী কিছুটা শান্ত হলে পুলিশকে সিসিটিভি ফুটেজ দেখান দোকানের কর্মীরা। সেই ফুটেজে দেখা যায়, দোকানের আইল থেকে মোটামুটি সব ধরনের জিনিস কার্টে ভরছেন তিনি। এরপর এক কার্টভর্তি জিনিস নিয়ে মূল্য পরিশোধ না করেই দোকান থেকে বেরিয়ে যান তিনি। ফুটেজ দেখে হতবাক হয়ে যায় পুলিশ। অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করে, ‘তিনি জিনিসগুলো কার্টে ভরে শুধু বেরিয়ে গেল!’
ওই নারী স্বীকার করেন, দোকান থেকে নেওয়া কিছু জিনিসপত্র তিনি পুনরায় বিক্রি করার পরিকল্পনা করেছিলেন। পুলিশ তাঁকে জানায়, এ ঘটনায় তাঁকে আদালতে হাজিরা দিতে হবে।
এর আগে চলতি বছর জুলাইয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয়ের একটি টার্গেট স্টোর থেকে প্রায় ১১ লাখ রুপির সমমূল্যের জিনিস চুরির অভিযোগে আটক হন আরেক ভারতীয় নারী। তিনি সাত ঘণ্টা ধরে কার্টে বিভিন্ন পণ্য পুরে নেন। এরপর মূল্য পরিশোধ না করেই বেরিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। পরে পুলিশ এলে দুঃখ প্রকাশ করে ওই নারী বলেন, ‘যদি ভুল করে থাকি তাহলে আমি সত্যিই দুঃখিত। আমি এই দেশের মানুষ নই, আমি এখানে থাকবও না।’
জবাবে এক পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ‘ভারতে কি চুরি করার অনুমতি আছে? আমার তো তা মনে হয় না।’
পরবর্তী সময় বিল খতিয়ে দেখে পুলিশ তাঁকে হাতকড়া পরিয়ে থানায় নিয়ে যায়।