মধ্য আকাশে মার্কিন এক নারীর করোনা শনাক্ত হওয়ার পর তাঁকে তিন ঘণ্টা বাথরুমে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। চাঞ্চল্যকর এ ঘটনা ঘটেছে যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো থেকে আইসল্যান্ডের রিকজাভিকগামী একটি ফ্লাইটে। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের বরাত দিয়ে এমনটি জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মধ্য আকাশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত বলে শনাক্ত হওয়া ওই নারী যাত্রীর নাম মারিসা ফোতিও। যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক এই নারী পেশায় একজন স্কুল শিক্ষিকা। গত ১৯ ডিসেম্বর তাঁর সঙ্গে ওই ঘটনা ঘটে।
মারিসা ফোতিও মার্কিন সম্প্রচারমাধ্যম সিএনএনকে বলেছেন, গত ১৯ ডিসেম্বর আইসল্যান্ড এয়ারের একটি ফ্লাইটে শিকাগো থেকে আইসল্যান্ডের রিকজাভিকে যাচ্ছিলেন তিনি। মাঝ আকাশে থাকা অবস্থায় হঠাৎ তিনি গলা ব্যথা অনুভব করেন।
এরপর নিজের সঙ্গে রাখা র্যাপিড টেস্ট কিট দিয়ে ফ্লাইটের মধ্যেই নিজের করোনা পরীক্ষা করেন তিনি। এর পরই তিনি পজিটিভ রেজাল্ট পান। এরপরই গন্তব্যে পৌঁছানো পর্যন্ত ফ্লাইটের বাকি সময়টা তিনি টয়লেটেই নিজেকে বন্দি রাখেন। অবশ্য দীর্ঘ এই সময়ে ফ্লাইটের দায়িত্বরত অ্যাটেনডেন্টরা মারিসা ফোতিওকে খারার ও পানীয় পরিবেশন করেন।
তবে মারিসা ফোতিওর দাবি, ফ্লাইটে ওঠার আগে দুই বার পিসিআর ও পাঁচবার র্যাপিড টেস্ট করানোর পরেও তাঁর নেগেটিভ এসেছিল।
ফোতিও বলেন, ‘এটি খুব ভয়ংকর একটি অভিজ্ঞতা। সেদিন বিমানে ১৫০ জন আরোহী ছিলেন। ভাইরাস তাঁদের মধ্যে ছড়িয়ে দিচ্ছি কি না, এটিই ছিল আমার জন্য সবচেয়ে ভয়ের।’
এ নিয়ে আইসল্যান্ড এয়ারের কাছে সিএনএন যোগাযোগ করলেও তাদের পক্ষ থেকে কিছু জানানো হয়নি।
আইসল্যান্ড এয়ারের ওই ফ্লাইটের টয়লেটের ভেতরে দীর্ঘ সময় নিজের আইসোলেশনে থাকার একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ার একটি প্ল্যাটফর্মে নিজেই আপলোড করেছেন মার্কিন এই স্কুল শিক্ষিকা। ভিডিওটি এখন পর্যন্ত ৪০ লাখেরও বেশিবার দেখা হয়েছে।