ব্রিটিশ পুলিশ জানিয়েছে, ট্রেনে ছুরিকাঘাতে ১১ জন আহত হওয়ার ঘটনাটি সন্ত্রাসী হামলা নয়। এ ঘটনায় দুজন ব্রিটিশ নাগরিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ব্রিটিশ ট্রান্সপোর্ট পুলিশের সুপারিনটেনডেন্ট জন লাভলেস আজ রোববার সাংবাদিকদের বলেন, এ মুহূর্তে এমন কোনো তথ্য নেই, যা ইঙ্গিত দেয় যে ঘটনাটি সন্ত্রাসী হামলা। তিনি জানান, হত্যাচেষ্টার অভিযোগে যাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তাঁরা দুজনই ব্রিটিশ নাগরিক। তাঁদের একজনের বয়স ৩২ বছর, তিনি কৃষ্ণাঙ্গ ব্রিটিশ। আরেকজনের বয়স ৩৫, তিনি ক্যারিবীয় বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ। দুজনেই যুক্তরাজ্যে জন্মগ্রহণ করেছেন।
লাভলেস বলেন, ‘ঘটনার পূর্ণ প্রেক্ষাপট ও উদ্দেশ্য জানার জন্য আমরা তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছি। ঘটনার কারণ নিয়ে এখনই অনুমান করা ঠিক হবে না।’
ইংল্যান্ডের পূর্বাঞ্চলীয় শহর কেমব্রিজের কাছে গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় একটি চলন্ত ট্রেনে ১১ জন যাত্রীকে ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত করা হয়। ঘটনাস্থল থেকে দুজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
কেমব্রিজশায়ার পুলিশ জানায়, গতকাল সন্ধ্যা ৭টা ৩৯ মিনিটে তারা খবর পায়, ইংল্যান্ডের উত্তরাঞ্চলের ডনকাস্টার থেকে লন্ডনের কিংস ক্রসগামী সন্ধ্যা ৬টা ২৫ মিনিটের ট্রেনে একাধিক যাত্রীকে ছুরিকাঘাত করা হয়।
এ অবস্থায় ট্রেনটি হান্টিংডন স্টেশনে থামানো হয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, সশস্ত্র পুলিশ সদস্যরা ট্রেনে প্রবেশ করছেন।
পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সশস্ত্র কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছান এবং হান্টিংডনে ট্রেনটি থামানো হয়, যেখানে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
একজন প্রত্যক্ষদর্শী স্কাই নিউজকে বলেন, সন্দেহভাজনদের একজন বড় ছুরি হাতে নাড়াচ্ছিলেন। পুলিশ পরে তাঁকে টেজার গান (বৈদ্যুতিক অস্ত্র) দিয়ে কাবু করে।
এ ঘটনাকে ‘গভীরভাবে উদ্বেগজনক’ অভিহিত করে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে বলেন, ‘ক্ষতিগ্রস্তদের প্রতি আমার সমবেদনা এবং দ্রুত সাড়া দেওয়ার জন্য জরুরি সেবা সংস্থাগুলোর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই।’
তথ্যসূত্র: রয়টার্স