ওয়াশিংটনে হোয়াইট হাউসের কাছে দুজন ন্যাশনাল গার্ড সদস্যকে গুলির ঘটনায় এক আফগান নাগরিককে সন্দেহভাজন হামলাকারী হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এরপরই আফগানিস্তানের নাগরিকদের কাছ থেকে আসা সব অভিবাসন অনুরোধ প্রক্রিয়া সাময়িকভাবে স্থগিত করেছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন সিটিজেনশিপ অ্যান্ড ইমিগ্রেশন সার্ভিসেস জানিয়েছে, নিরাপত্তা ও যাচাই-বাছাই প্রটোকল পর্যালোচনার জন্য এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বুধবার (২৬ নভেম্বর) স্থানীয় সময় বেলা ২টা ১৫ মিনিটের দিকে (ইএসটি) ফাররাগাট স্কয়ার মেট্রোস্টেশনের কাছে এ হামলার ঘটনা ঘটে। আই স্ট্রিটের কোণের এই জায়গাটিতে অনেকেই দুপুরের খাবারের জন্য আসেন। ওই হামলায় দুই ন্যাশনাল গার্ড সদস্য গুরুতর আহত হন।
প্রথমে হামলাকারীর পরিচয় পাওয়া না গেলেও পরে জানা যায় হামলাকারী আফগান বংশোদ্ভূত। নাম রহমানুল্লাহ লাকানওয়াল। ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে ‘অপারেশন অ্যালাইজ ওয়েলকাম’ কর্মসূচির আওতায় আফগানিস্তান থেকে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করেছিলেন লাকানওয়াল।
প্রসঙ্গত, আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের পর তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এই কর্মসূচির আওতায় হাজার হাজার আফগান নাগরিককে বিশেষ অভিবাসন সুরক্ষা দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে নিয়ে আসেন।
জানা গেছে, লাকানওয়াল ২০২৪ সালে ‘অপারেশন অ্যালাইজ ওয়েলকাম’ কর্মসূচির আওতায় যুক্তরাষ্ট্রে আশ্রয়ের জন্য আবেদন করেছিলেন। পরবর্তীকালে চলতি বছরের শুরুর দিকে সেই আবেদন মঞ্জুর হয়।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এই হামলাকে ‘সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড’ বলে আখ্যা দিয়েছেন। তিনি ঘোষণা করেছেন, যেকোনো দেশ থেকে আসা বিদেশিদের, যাঁদের এখানে থাকার কথা নয়, তাঁদের সরিয়ে দিতে কঠোর পদক্ষেপ নেবেন। তিনি আরও বলেছেন, ‘বাইডেনের আমলে আফগানিস্তান থেকে আসা প্রত্যেক ব্যক্তিকে পুনরায় যাচাই করতে হবে।’
এদিকে এই হামলার পরিপ্রেক্ষিতে মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ বলেছেন, প্রেসিডেন্টের নির্দেশে রাজধানীতে আরও ৫০০ ন্যাশনাল গার্ড সদস্য মোতায়েন করা হবে। বর্তমানে শহরটিতে প্রায় ২ হাজার ২০০ ন্যাশনাল গার্ড সদস্য মোতায়েন রয়েছে।