হোম > বিশ্ব > যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা

ভবিষ্যৎ ‘যুদ্ধের গতিপথ’ বদলাতে শিগগির ১০ লাখ ড্রোন কিনবে যুক্তরাষ্ট্র

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­

মার্কিন সেনাবাহিনী আগামী দুই থেকে তিন বছরের মধ্যে অন্তত ১০ লাখ ড্রোন কেনার পরিকল্পনা করেছে। ছবি: সংগৃহীত

মার্কিন সেনাবাহিনী আগামী দুই থেকে তিন বছরের মধ্যে অন্তত এক মিলিয়ন বা ১০ লাখ ড্রোন কেনার পরিকল্পনা করছে। এরপর প্রতিবছর আধি মিলিয়ন থেকে কয়েক মিলিয়ন পর্যন্ত ড্রোন কেনা হতে পারে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীর সচিব ড্যানিয়েল ড্রিসকল। খবর রয়টার্সের।

রয়টার্সকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ড্রিসকল জানান, সেনাবাহিনীর এই বিশাল ড্রোন ক্রয় পরিকল্পনা বাস্তবায়ন কঠিন হলেও তা সম্ভব। বর্তমানে মার্কিন সেনাবাহিনী বছরে প্রায় ৫০ হাজার ড্রোন সংগ্রহ করে। ড্রিসকল বলেন, ‘এটা বড় কাজ, কিন্তু আমরা তা করতে পারব।’

কিছুদিন আগে, ড্রিসকল নিউ জার্সির পিকাটিনি আর্সেনাল কোম্পানির কারখানা ঘুরে দেখেন। সেখানে তিনি দেখেন গবেষণার মাধ্যমে ‘নেট রাউন্ডস’ নামে এমন এক প্রযুক্তি তৈরি হচ্ছে, যা জালে ফেলে ড্রোন ধরতে পারে। পাশাপাশি নতুন ধরনের বিস্ফোরক ও ইলেকট্রোম্যাগনেটিক অস্ত্রব্যবস্থা সম্পর্কেও অবগত হন তিনি।

ড্রিসকল ও পিকাটিনির শীর্ষ কর্মকর্তা মেজর জেনারেল জন রাইম রয়টার্সকে বলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ থেকে যুক্তরাষ্ট্র গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা নিচ্ছে। কারণ, ওই যুদ্ধে ড্রোন ব্যবহারের মাত্রা ইতিহাসে অভূতপূর্ব। ছোট ও সস্তা ড্রোন এখন রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের সবচেয়ে কার্যকর অস্ত্রে পরিণত হয়েছে। সেখানে বিমান হামলা কম হয়। কারণ, ফ্রন্টলাইনে অ্যান্টি-এয়ারক্রাফট সিস্টেমের ঘন উপস্থিতি রয়েছে।

ড্রিসকল জানান, ইউক্রেন ও রাশিয়া প্রতিবছর প্রায় চার মিলিয়ন ড্রোন তৈরি করছে। আর চীন একাই তার দ্বিগুণেরও বেশি উৎপাদন সক্ষমতা রাখে। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রকেও এখন এমন পর্যায়ে যেতে হবে, যেখানে ভবিষ্যতের যেকোনো যুদ্ধের জন্য নিজস্ব ড্রোন উৎপাদন সম্ভব হবে। এ জন্য দেশে মোটর, সেন্সর, ব্যাটারি ও সার্কিট বোর্ড তৈরির সক্ষমতা বাড়াতে হবে। বর্তমানে এসব উপকরণের বেশির ভাগই চীনে তৈরি হয়।

ড্রিসকল বলেন, ‘আমরা আগামী দুই থেকে তিন বছরের মধ্যে অন্তত এক মিলিয়ন ড্রোন কিনব বলে আশা করছি। এক-দুই বছরের মধ্যেই আমরা এমন একটি সরবরাহ ব্যবস্থা তৈরি করব, যাতে প্রয়োজন হলে বিপুলসংখ্যক ড্রোন দ্রুত তৈরি করা সম্ভব হয়।’ তিনি জানান, সেনাবাহিনী ড্রোনকে এখন ব্যয়বহুল ‘অস্ত্র’ নয়, বরং ব্যবহারযোগ্য গোলাবারুদের মতো দেখতে চায়।

ড্রোন সংগ্রহে অতীতের দুর্বলতা কাটিয়ে উঠতে চায় পেন্টাগন। ২০২৩ সালে তারা ‘রেপ্লিকেটর’ প্রকল্প শুরু করে। যার লক্ষ্য ছিল, ২০২৫ সালের আগস্টের মধ্যে হাজারো স্বয়ংক্রিয় ড্রোন সংগ্রহ ও মোতায়েন করা। তবে এখনো সে প্রকল্পের অগ্রগতি সম্পর্কে কোনো তথ্য জানানো হয়নি।

চলতি বছরের জুলাইয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ এক নির্দেশে বলেন, ড্রোন উৎপাদনে বাধা সৃষ্টি করা নানা বিধিনিষেধ তুলে নেওয়া হয়েছে। রয়টার্স জানিয়েছে, পেন্টাগনের ‘ডজ’ ইউনিট এখন মার্কিন সেনাবাহিনীর ড্রোন কর্মসূচি পুনর্গঠনের নেতৃত্ব দিচ্ছে। তাদের লক্ষ্য আগামী কয়েক মাসে হাজার হাজার সস্তা ড্রোন কেনা।

এদিকে, মার্কিন কংগ্রেসে এমন আইন আনা হয়েছে, যাতে টেক্সাসে বছরে এক মিলিয়ন ড্রোন তৈরি করতে সক্ষম একটি উৎপাদন কেন্দ্র স্থাপনের কথা বলা হয়েছে। তবে ড্রিসকল বলেছেন, তিনি একক কোনো কারখানার ওপর নির্ভর করতে চান না। বরং তিনি চান, এই বিনিয়োগ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও রাজ্যে ছড়িয়ে দেওয়া হোক। তিনি বলেন, বড় প্রতিরক্ষা কোম্পানির সঙ্গে নয়, বরং এমন কোম্পানির সঙ্গে কাজ করতে চান—যারা বাণিজ্যিকভাবে ড্রোন ব্যবহার করছে। তাঁর ভাষায়, ‘আমরা এমন নির্মাতাদের সঙ্গে কাজ করতে চাই, যারা অ্যামাজন ডেলিভারি বা অন্য নানা বেসরকারি কাজে ড্রোন ব্যবহার করছে।’

বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে বাণিজ্যিক ড্রোন বিক্রির বেশির ভাগই চীন থেকে আমদানি করা হয়। এর অর্ধেকেরও বেশি আসে বিশ্বের বৃহত্তম ড্রোন নির্মাতা ডিজেআই থেকে। ড্রিসকল জানান, বাড়তি ড্রোন চাহিদা মেটাতে পর্যাপ্ত অর্থ বরাদ্দ রয়েছে। সেনাবাহিনী পুরোনো অস্ত্রব্যবস্থা থেকে বিনিয়োগ সরিয়ে নতুন প্রযুক্তিতে ব্যয় বাড়াচ্ছে। তবে তহবিল অনুমোদনের ক্ষেত্রে কংগ্রেসের সমর্থন জরুরি। কারণ, অনেক আইনপ্রণেতা নিজেদের এলাকার অস্ত্র প্রকল্প বন্ধে অনীহা দেখান। ড্রিসকল বলেন, ‘ড্রোনই ভবিষ্যতের যুদ্ধের চেহারা বদলে দেবে। আমাদের আক্রমণাত্মক ও প্রতিরক্ষামূলক—দুই সক্ষমতাতেই বিনিয়োগ করতে হবে।’

‘২০২৫’ নিয়ে ১৯৯৮ সালে করা আমেরিকানদের ভবিষ্যদ্বাণী কতটুকু মিলেছে

সন্ত্রাসী হামলার হুমকি, যুক্তরাষ্ট্রে ভারতীয় শিক্ষার্থী মনোজ সাই গ্রেপ্তার

আট ঘণ্টায়ও মেলেনি চিকিৎসা, কানাডার হাসপাতালে ভারতীয়র মৃত্যু

৮০ হাজার অবৈধ অভিবাসীকে গুদামে রাখার পরিকল্পনা ট্রাম্পের

চীনের ক্রমবর্ধমান সমরসজ্জার সামনে ‘অরক্ষিত’ যুক্তরাষ্ট্র

জুলাই হত্যাকাণ্ডকে ব্যক্তিগত অপরাধ গণ্য করে আ.লীগের বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আহ্বান ৫ মার্কিন আইনপ্রণেতার

উ. কোরিয়ার এজেন্ট সন্দেহে ১৮০০-এর বেশি চাকরি আবেদন বাতিল করল আমাজন

গ্রিনল্যান্ড ‘আমাদের পেতেই হবে’, ‘অভিযান’ চালাতে দূত পাঠাচ্ছেন ট্রাম্প

নিজ নামে ২ ‘সর্ববৃহৎ ব্যাটলশিপ’ নির্মাণ করছেন ট্রাম্প, সব মিলিয়ে ২৫টির পরিকল্পনা

ট্রাম্পকে তরুণদের ‘রোল মডেল’ বললেন এক সময়ের ঘোর বিরোধী নিকি মিনাজ