গাজায় মানবিক সহায়তা পৌঁছে দিতে এখন ভূমধ্যসাগরের আন্তর্জাতিক জলসীমায় অবস্থান করছে ‘গ্লোবাল সমুদ ফ্লোটিলা’ নামে একটি নৌ বহর। এই বহরের একটি নৌযানে ত্রুটি দেখা দেওয়ায় যাত্রীদের সরিয়ে নিয়েছে তুরস্ক।
তুর্কি সংবাদমাধ্যমের বরাতে জানা গেছে, সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) সকালে ভূমধ্যসাগরে অবস্থান করা ‘জনি এম’ জাহাজের ইঞ্জিন কক্ষে পানি ঢুকে পড়লে জরুরি বার্তা পাঠানো হয়। এরপর তুরস্কের রেড ক্রিসেন্টসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সহায়তায় ১২ জন যাত্রীকে নিরাপদে উদ্ধার করা হয়। এর মধ্যে চারজনকে তুরস্ক হয়ে নিজ দেশে পাঠানো হবে বলে জানানো হয়েছে।
মানবিক এই সমুদ্রযাত্রায় প্রায় ৪০টি নৌযান ও ৩০০ জনেরও বেশি মানুষ অংশ নিয়েছেন। এর মধ্যে রয়েছেন পরিবেশকর্মী গ্রেটা থুনবার্গ, আইরিশ অভিনেতা লিয়াম কানিংহ্যাম, স্প্যানিশ অভিনেতা এদুয়ার্দো ফার্নান্দেজ, বাংলাদেশি আলোকচিত্রী শহিদুল আলম এবং বার্সেলোনার সাবেক মেয়র আডা কলাউ। এই ফ্লোটিলার লক্ষ্য গাজায় সহায়তা পৌঁছানো এবং ইসরায়েলের অবরোধকে চ্যালেঞ্জ জানানো।
আয়োজকদের মতে, বহরটি তিন থেকে চার দিনের মধ্যে গাজায় পৌঁছাবে। তবে এর আগে ৩০ সেপ্টেম্বর ও ১ অক্টোবর ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় প্রবেশ করবে নৌযানগুলো। ইসরায়েল ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছে, তারা এই বহরকে গাজায় পৌঁছাতে দেবে না। ইসরায়েলি গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, নৌবাহিনীর বিশেষ কমান্ডো ইউনিট ‘শায়েতেত-১৩’ বহরে ওঠে যাত্রীদের আটক করতে পারে।
এর আগে গত জুন ও জুলাইয়ে একই ধরনের দুটি ফ্লোটিলা গাজায় প্রবেশের আগে আটকে দেওয়া হয়েছিল। এই কারণে এবার আন্তর্জাতিক উদ্বেগ আরও বেড়েছে। ইতালি ও স্পেন ইতিমধ্যেই ফ্লোটিলার সহায়তায় নৌবাহিনী মোতায়েন করেছে। কারণ যাত্রাপথে ড্রোন হামলার ঘটনাও ঘটেছে।
এদিকে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ইসরায়েলি অভিযানে এখন পর্যন্ত ৬৬ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের বেশির ভাগই সাধারণ নাগরিক।
সোমবার ওয়াশিংটনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। ট্রাম্প দাবি করেছেন, আরব ও মুসলিম নেতাদের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে গাজা যুদ্ধের অবসান এবং জিম্মি মুক্তির বিষয়ে একটি সমঝোতা হয়েছে।