ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের প্রধান ইসমাইল হানিয়া নিহত হয়েছেন। এক বিবৃতিতে নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে হামাস। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এ তথ্য জানিয়েছে। তেহরানের স্থানীয় সময় আজ বুধবার মাঝরাতে নিহত হন তিনি। কেউ এই হামলার দায় স্বীকার না করলেও হামাস ইসরায়েলকে এর জন্য দায়ী করেছে।
ইসমাইল হানিয়ার নিহত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে হামাস তাদের বিবৃতিতে শোক প্রকাশ করে বলেছে, ‘তেহরানে নিজ আবাসস্থলে বিশ্বাসঘাতক ইহুদিবাদী অভিযানে ইসমাইল হানিয়া নিহত হয়েছেন। তিনি ইরানের নতুন প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ানের শপথ অনুষ্ঠান উপলক্ষে তেহরান সফরে গিয়েছিলেন। আমাদের সবাইকে আল্লার কাছে ফিরতে হবে। এটি মৃত্যু নয় বরং এটি একটি জিহাদ, বিজয় বা শাহাদত।
এই হামলাকে কাপুরুষোচিত উল্লেখ করে হামাস বলেছে, ‘এই হত্যাকাণ্ডের পর আমরা চুপ করে বসে থাকব না। ইসরায়েলকে অবশ্যই এর জবাব দেওয়া হবে।’ হামাসের জ্যেষ্ঠ নেতা মুসা আবু মারজুক বলেছেন, হানিয়ার ‘হত্যা’ একটি কাপুরুষোচিত কাজ। এবং অবশ্যই এর জবাব দেওয়া হবে।
এদিকে, আমেরিকান ইউনিভার্সিটি অব বৈরুতের সম্মানীয় ফেলো ও আরব সেন্টার ওয়াশিংটনের অনাবাসিক সিনিয়র ফেলো রামি খৌরি আল-জাজিরাকে বলেছেন, গাজায় ইসরায়েলিদের একটি লক্ষ্য হলো হামাসকে ধ্বংস করা। কিন্তু বাস্তবে যেহেতু এটি খুব কঠিন প্রমাণিত হয়েছে, তাই হয়তো এর পরিবর্তে তারা গোষ্ঠীটির সব নেতাকে হত্যার পরিকল্পনা করেছে এবং তেহরানে ইসমাইল হানিয়ার হত্যাকাণ্ড হয়তো এই প্রক্রিয়ারই একটি অংশ।
খৌরি উল্লেখ করেছেন, হামাস ও হিজবুল্লাহর মতো গোষ্ঠীর নেতাদের গুপ্তহত্যা দীর্ঘকাল ধরে ইসরায়েলি কৌশল ছিল। কিন্তু এটি সফল প্রমাণিত হয়নি। কারণ অতীতের হত্যাকাণ্ডের ফলে এসব গোষ্ঠীর প্রতি জনসমর্থন বেড়েছে।
আরও পড়ুন:–