হোম > বিশ্ব > মধ্যপ্রাচ্য

এশিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যে ইন্টারনেট সেবা বিঘ্নিত, অভিযোগের তির হুতিদের দিকে

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­

কেবলটি ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থলের খুব কাছ দিয়ে গেছে। ছবি: কেনটিক ডট কম

লোহিত সাগরে সাবমেরিন ক্যাবল কাটা পড়ায় এশিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যে ইন্টারনেট সেবা বিঘ্ন হচ্ছে। তবে, ঠিক কীভাবে ক্যাবলটি কাটা পড়লো তা এখনো স্পষ্ট নয়। ইন্টারনেট সংযোগ পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা নেটব্লকস জানিয়েছে, লোহিত সাগরে একাধিক সাবমেরিন কেবল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বার্তা সংস্থা এপির প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইরান সমর্থিত ইয়েমেনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হুতিদের হামলায় ক্যাবলগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

তবে, অতীতেও লোহিত সাগরে সাবমেরিন ক্যাবল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, এবং এর পেছনে সশস্ত্র গোষ্ঠীটির কোনো হাত নেই বলে জানিয়েছে তারা।

সমুদ্রের তলদেশে থাকা এই ক্যাবলগুলো সাধারণত ইন্টারনেটের মেরুদণ্ড হিসেবে কাজ করে। এর পাশাপাশি স্যাটেলাইট সংযোগ এবং স্থলভিত্তিক ক্যাবলও ব্যবহৃত হয়। সাধারণত, ইন্টারনেট পরিষেবা সরবরাহকারীদের একাধিক প্রবেশপথ (অ্যাকসেস পয়েন্ট) থাকে এবং যদি কোনো একটিতে সমস্যা দেখা দেয়, তবে তারা ট্র্যাফিককে অন্য পথে ঘুরিয়ে দেয়। এর ফলে ব্যবহারকারীদের জন্য ইন্টারনেট ব্যবহারের গতি কমে যেতে পারে।

মাইক্রোসফট তাদের একটি স্ট্যাটাস ওয়েবসাইটের মাধ্যমে জানিয়েছে যে, লোহিত সাগরে সমুদ্রের তলদেশে থাকা ফাইবার কাটা পড়ার কারণে মধ্যপ্রাচ্যে ইন্টারনেটের গতি কমে যেতে পারে। সংস্থাটি তাৎক্ষণিকভাবে বিস্তারিত কিছু জানায়নি, তবে তারা বলেছে যে মধ্যপ্রাচ্যের বাইরে দিয়ে চলাচলকারী ইন্টারনেট ট্র্যাফিক এর দ্বারা প্রভাবিত হয়নি।

এদিকে, নেটব্লকস আরও জানিয়েছে, লোহিত সাগরে একাধিক সাবমেরিন ক্যাবল ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কারণে ভারত-পাকিস্তানসহ এশিয়ার বেশ কয়েকটি দেশে ইন্টারনেটের মান কমেছে। তাদের দেওয়া তথ্যমতে, জেদ্দার নিকটবর্তী এসএমডব্লিউ৪ এবং আইএমইডব্লিউই কেবল সিস্টেমে ত্রুটিই এর কারণ।

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া থেকে ইউরোপ পর্যন্ত বিস্তৃত দুটি গুরুত্বপূর্ণ ইন্টারনেট কেবল রয়েছে। এর মধ্যে একটি, সি মি উই ৪ (SEA-ME-WE 4)। টাটা কমিউনিকেশনস নামের একটি ভারতীয় কোম্পানি এই ক্যাবলটি পরিচালনা করে। অন্যটি আইএমইডব্লিউই, পরিচালনা করে আলকাতেল-লুসেন্ট নামের একটি সংস্থা। এই দুই প্রতিষ্ঠানের কেউই এখনো ইন্টারনেট সেবা ব্যাহত হওয়া কিংবা ক্যাবল কাটা পড়ার বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।

সাবমেরিন কেবলগুলো নৌকার নোঙর কিংবা ইচ্ছাকৃত আক্রমণের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। কোনো কেবল একবার ক্ষতিগ্রস্ত হলে তা ঠিক করতে অনেক সময় লাগে। কারণ সুবিশাল সমুদ্রের তলদেশে ক্ষতিগ্রস্ত ক্যাবল খুঁজে বের করাই বেশ সময়সাপেক্ষ ব্যাপার।

উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর গাজায় ইসরায়েলি অভিযান শুরুর পর থেকেই এর বিরুদ্ধ সরব প্রতিবাদ জানিয়ে আসছে হুতি বিদ্রোহীরা। লোহিত সাগরে একের পর এক জাহাজকে বানিয়ে আসছে হামলার লক্ষ্যবস্তু। ২০২৩ সালের নভেম্বর থেকে ২০২৪ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত তারা শতাধিক বেশি জাহাজে হামলা চালিয়েছে। তাদের অভিযানে অন্তত চারটি জাহাজ ডুবেছে এবং অন্তত আটজন নাবিক নিহত হয়েছেন।

তারা জুলাই মাসে আরও দুটি জাহাজ ডুবিয়েছে, এতে অন্তত চারজনের মৃত্যু হয়েছে।

এই ক্যাবল হামলা এমন সময় হলো, যখন ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধের জন্য সম্ভাব্য নতুন যুদ্ধবিরতি নিয়ে অস্থির পরিস্থিতি বিরাজ করছে। এদিকে, ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও তেহরানের আলোচনার ভবিষ্যৎও অনিশ্চিত হয়ে উঠেছে।

গাজায় ধ্বংসস্তূপের মাঝেই বড়দিনের আনন্দ খুঁজছে ক্ষুদ্র খ্রিষ্টান সম্প্রদায়

শানলিউরফা: নবীদের যে নগরে মিলেছে তিন ধর্মের মানুষ

৭ অক্টোবরের দায় এড়াতে ফন্দি খোঁজার দায়িত্ব দিয়েছিলেন নেতানিয়াহু: সাবেক মুখপাত্র

মসজিদে নববির মুয়াজ্জিন শেখ ফয়সাল নোমান আর নেই

ইসরায়েল আর ‘কখনোই গাজা ত্যাগ করবে না’

তুরস্কে বিমান বিধ্বস্ত হয়ে লিবিয়ার ‘জাতীয় ঐক্যের সরকারের’ সেনাপ্রধান নিহত

গাজায় ৭৩ দিনে ইসরায়েলি হত্যাকাণ্ডের শিকার ৪১১ ফিলিস্তিনি, যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন ৮৭৫ বার

যুদ্ধের মধ্যেই গাজায় দুবার সন্তান প্রসবের ভয়াবহ স্মৃতি হাদিলের

আসাদের খালি হয়ে যাওয়া কুখ্যাত কারাগারগুলো ভরে উঠছে আবার

কুকুর লেলিয়ে পুরুষ ফিলিস্তিনিকে ধর্ষণ—বিবিসির প্রতিবেদনে ইসরায়েলি কারাগারে নির্যাতনের চিত্র