হোম > বিশ্ব > মধ্যপ্রাচ্য

১২ দিনের যুদ্ধে সাধারণের তুলনায় সেনা নিহত প্রায় ৩ গুণ, ক্ষয়ক্ষতি জানাল ইরান

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­

হামলার শিকার ইরানের এভিন কারাগার। ছবি: ইরান ইন্টারন্যাশনাল

সম্প্রতি ইসরায়েলের সঙ্গে ১২ দিনের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে ইরান ১ হাজার ৬২ জন মানুষকে হারিয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির সরকার। আজ মঙ্গলবার সাপ্তাহিক এক প্রেস ব্রিফিংয়ে ইরানের সরকারি মুখপাত্র ফাতেমেহ মোহাজারানি জানান, নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে ৭৮৬ জন ছিলেন সামরিক বাহিনীর সদস্য এবং ২৭৬ জন ছিলেন বেসামরিক নাগরিক।

তিনি জানান, নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে ১০২ জন নারী ও ৩৮ জন শিশু রয়েছে। এ ছাড়া পাঁচজন প্যারামেডিক, পাঁচজন নার্স ও সাতজন জরুরি সেবাকর্মীও নিহত হয়েছেন।

বেসামরিক হতাহতের মধ্যে ৩৪ জন শিক্ষার্থী ছিলেন ও পাঁচজন শিক্ষক। মোহাজারানি বলেন, ‘একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও একাডেমিক কর্মীও নিহত হয়েছেন। তবে তাঁদের সঠিক সংখ্যা আমরা জানাইনি।’

দেশটির রাজধানী তেহরান প্রদেশেই সবচেয়ে বেশি ২৬৫ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। সরকারি তথ্যমতে, যুদ্ধের ফলে বেসামরিক অবকাঠামোতেও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ১৬টি প্রদেশে ৩৬টি স্কুল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ধ্বংস হয়েছে ২১৯টি শিল্প ইউনিট, যার মধ্যে রয়েছে বড় কারখানা থেকে শুরু করে ছোট ছোট উৎপাদনকেন্দ্রও।

মোহাজারানি জানান, সাতটি হাসপাতাল ও ১১টি অ্যাম্বুলেন্সে হামলা হয়েছে। প্রায় ৮ হাজার আবাসিক ইউনিট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ২২ জন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকের বাসাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানান তিনি।

যুদ্ধ চলার সময় ২৩০টি স্কুলকে অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা হয় এবং ৫৬টি স্কুলকে বাস্তুচ্যুতদের জন্য নির্ধারিত করা হয়েছিল।

এদিকে মানবাধিকার সংস্থা এইচআরএএনএর তথ্যমতে, যুদ্ধে মোট হতাহতের সংখ্যা ৫ হাজার ৬৬৫ জন। এর মধ্যে নিহত ১ হাজার ১৯০ ও আহত ৪ হাজার ৪৭৫ জন।

ইরানের বিচার বিভাগ নিশ্চিত করেছে, গত মাসে ইসরায়েলি হামলায় এভিন কারাগার থেকে ৭৫ জন বন্দী পালিয়ে যান। এর মধ্যে ২৭ জন এখনো পলাতক রয়েছেন।

বিচার বিভাগের মুখপাত্র আসগর জাহাঙ্গীর বলেন, পলাতকদের অধিকাংশই ছিলেন হালকা অপরাধে আটক। তাঁদের মধ্যে কেউই গুপ্তচর কিংবা বড় অপরাধে অভিযুক্ত নন।

গত ২৩ জুন তেহরানের এভিন কারাগারে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইসরায়েল। কারাগারটি ইরানের রাজনৈতিক দমননীতির প্রতীক হিসেবে পরিচিত। হামলায় কারাগারের বিভিন্ন ওয়ার্ড, চিকিৎসাকেন্দ্র ও সাক্ষাৎ হল ধ্বংস হয়।

হামলায় নিহত হন কারাগারের প্রধান কৌঁসুলি আলী ঘানাতকার, কর্মকর্তা রুহুল্লাহ তাওয়াসলি, বাহিদ হেইদারপুরসহ অনেক বন্দী, মেডিকেল কর্মী ও দর্শনার্থী। এক শিশুও মারা যায়।

এ বিষয়ে মোহাজারানি বলেছেন, এভিন কারাগারে হামলাটি আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী যুদ্ধাপরাধ হিসেবে গণ্য।

কুকুর লেলিয়ে পুরুষ ফিলিস্তিনিকে ধর্ষণ—বিবিসির প্রতিবেদনে ইসরায়েলি কারাগারে নির্যাতনের চিত্র

ফিলিস্তিনিদের প্রলোভনে ফেলে গাজা খালি করার মিশনে ইসরায়েলঘনিষ্ঠ ভুয়া সংস্থা

গাজায় নতুন শাসনকাঠানো কার্যকর শিগগির: মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী

ধ্বংসস্তূপের মধ্যেই গাজার ইসলামিক ইউনিভার্সিটিতে পাঠদান শুরু

ইসরায়েলি সেটেলারদের আগ্রাসন ঠেকাতে ফিলিস্তিনি গ্রামে মানবঢাল একদল স্বেচ্ছাসেবক

সিরিয়ায় একযোগে ৭০ স্থানে যুক্তরাষ্ট্রের বিমান হামলা

সমুদ্র উপকূলে পাওয়া গ্যাস বিক্রি করে গাজা পুনর্গঠনের পরিকল্পনা যুক্তরাষ্ট্র–আরব আমিরাত ও ইসরায়েলের

আরব বসন্তে ক্ষমতাচ্যুত একনায়কেরা এখন কোথায় কেমন আছেন

পশ্চিম তীরে এক বছরে ১৫০০ বাড়ি ভেঙেছে ইসরায়েল, ভাঙবে আরও ২৫টি

বৃষ্টি, বন্যা আর আবর্জনা: গাজাবাসীর অন্তহীন শীতের রাতের দুঃসহ বেদনা