হোম > বিশ্ব > মধ্যপ্রাচ্য

মার্কিন এফ–৩৫ পেয়ে সম্পর্ক স্বাভাবিক করুক সৌদি আরব, আবদার ইসরায়েলের

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­

ইসরায়েলের আবদার, যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে এফ–৩৫ পেয়ে তাদের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করুক সৌদি আরব। ছবি: সংগৃহীত

ইসরায়েল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে সৌদি আরবের এফ–৩৫ যুদ্ধবিমান কেনার বিরোধিতা করছে না। তবে দেশটির আবদার, এই চুক্তি রিয়াদের সঙ্গে তেল আবিবের সম্পর্ক স্বাভাবিক করার শর্তে করুক যুক্তরাষ্ট্র। নাম প্রকাশ না করার শর্তে দুই ইসরায়েলি কর্মকর্তা মার্কিন সংবাদমাধ্যম অ্যাক্সিওসকে এ তথ্য জানিয়েছেন।

সৌদি ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান (এমবিএস) আগামী মঙ্গলবার হোয়াইট হাউসে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। সেখানে এফ–৩৫ ক্রয়ের চুক্তি, মার্কিন-সৌদি নিরাপত্তা চুক্তি এবং ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করা হবে এ বৈঠকের মূল আলোচ্য বিষয়। তবে লন্ডন থেকে প্রকাশিত মধ্যপ্রাচ্যকেন্দ্রিক সংবাদমাধ্যম মিডল ইস্ট আই জানিয়েছে, এ সফরে সৌদি–ইসরায়েল সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণ আলোচনার সম্ভাবনা কম।

গত মাসে ট্রাম্প সৌদি যুবরাজকে ফোনে বলেন, গাজা যুদ্ধ শেষ হওয়ায় তিনি আশা করছেন, সৌদি আরব ধীরে ধীরে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার দিকে এগোবে। এরপর গত শুক্রবার ট্রাম্প ওয়াশিংটন থেকে ফ্লোরিডায় যাওয়ার সময় এয়ারফোর্স ওয়ানে সাংবাদিকদের বলেন, তিনি এমবিএসের সঙ্গে সৌদি–ইসরায়েল সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণের সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করবেন।

ট্রাম্প বলেন, ‘আমি আশা করছি, সৌদি আরব অচিরেই আব্রাহাম চুক্তির সঙ্গে যুক্ত হবে।’ ট্রাম্প নিশ্চিত করেছেন যে, তিনি সৌদি আরবের সঙ্গে সম্ভাব্য অস্ত্র চুক্তি নিয়ে ভাবছেন, যার মধ্যে এফ–৩৫ যুদ্ধবিমান বিক্রিও অন্তর্ভুক্ত।

ইসরায়েলি কর্মকর্তারা বলেন, তাঁরা সৌদি আরবের এফ–৩৫ যুদ্ধবিমান ক্রয়ের বিরোধিতা করছেন না। তবে তাঁরা এই চুক্তিকে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক সম্পূর্ণ স্বাভাবিক করার শর্ত হিসেবে দেখতে চান। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ইসরায়েলি কর্মকর্তা অ্যাক্সিওসকে বলেন, ‘আমরা ট্রাম্প প্রশাসনকে জানিয়েছি, সৌদি আরবকে এফ–৩৫ সরবরাহ করা সৌদি-ইসরায়েল সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণের শর্তে হতে হবে।’

অপর এক ইসরায়েলি কর্মকর্তা বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যদি কোনো কূটনৈতিক ফলাফল ছাড়া সৌদি আরবকে এফ–৩৫ দেয়, তাহলে সেটি ‘ভুল ও প্রতিক্রিয়াশীল হবে’। তিনি বলেন, ‘আমরা তুরস্ককে এফ–৩৫ দেওয়ার কঠোর বিরোধিতা করি, কিন্তু সৌদি আরবের ক্ষেত্রে এমন অস্ত্রব্যবস্থা নিয়ে আমাদের ততটা উদ্বেগ নেই—যদি এই চুক্তি আব্রাহাম চুক্তির অংশ হিসেবে আঞ্চলিক নিরাপত্তা সহযোগিতার অংশ হয়, যেমনটি সংযুক্ত আরব আমিরাতের সঙ্গে রয়েছে।’

ইসরায়েল বর্তমানে মধ্যপ্রাচ্যের একমাত্র দেশ, যার কাছে এফ–৩৫ যুদ্ধবিমান রয়েছে। সৌদি আরবকে এই যুদ্ধবিমান সরবরাহ করা হলে আঞ্চলিক সামরিক ভারসাম্য পরিবর্তিত হবে এবং ইসরায়েলি সামরিক সুবিধার ওপর এর প্রভাব পড়বে।

২০২০ সালে আব্রাহাম চুক্তির অংশ হিসেবে ইসরায়েল সম্মত হয় যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সংযুক্ত আরব আমিরাতকে এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান সরবরাহ করতে পারবে, তবে কয়েকটি নিরাপত্তা নিশ্চয়তার শর্তে। তবে বাইডেন প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিমানের ব্যবহারে সীমাবদ্ধতার দাবি থাকায় চুক্তিটি বাস্তবায়িত হয়নি।

যদি সৌদি আরবের সঙ্গে এফ-৩৫ চুক্তি হয়, ইসরায়েল সম্ভবত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে অনুরূপ নিরাপত্তা নিশ্চয়তা চাইবে। এক ইসরায়েলি কর্মকর্তা বলেন, মূল উদ্বেগ হলো—সৌদি আরব ইসরায়েলের তুলনায় অনেক কাছাকাছি। তিনি বলেন, এফ–৩৫ যুদ্ধবিমানের সৌদি আরব থেকে ইসরায়েলে পৌঁছানো মাত্র কয়েক মিনিটের ব্যাপার।

ইসরায়েল সম্ভবত এটাও চাইবে যে, সৌদি আরবকে সরবরাহ করা এফ-৩৫ পশ্চিম সৌদি আরবের কোনো বিমানঘাঁটিতে মোতায়েন করা হবে না। মার্কিন কর্মকর্তারা সৌদি প্রশাসনকে জানিয়েছেন, তাঁরা আশা করছেন, এই ইস্যুতে কিছু অগ্রগতি হবে ট্রাম্প-এমবিএসের বৈঠকের সময়। যদিও তাঁরা স্বীকার করছেন, সৌদি আরব ও ইসরায়েলের মধ্যে ফারাক এখনো অনেক বেশি।

মূল ফারাকটি সৌদি আরবের একটি দাবি নিয়ে। সেটি হলো—ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে ‘একটি বিশ্বাসযোগ্য, অপরিবর্তনীয় ও কম সময়ের মধ্যে বাস্তবায়নযোগ্য পথে’ ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হতে হবে। নেতানিয়াহু এ পর্যন্ত তা অস্বীকার করেছেন।

দুই ইসরায়েলি কর্মকর্তা অ্যাক্সিওসকে জানিয়েছেন, তাঁরা আশা করছেন, ট্রাম্প এমবিএসের সঙ্গে বৈঠকে তাঁর দাবিগুলো নরম করার জন্য চাপ দেবেন এবং বৈঠকটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, সৌদি আরব ও ইসরায়েলের মধ্যে সরাসরি আলোচনা শুরু করবে সম্ভাব্য শান্তিচুক্তি নিয়ে। এসব আলোচনা আগামী মাসগুলোতে বাস্তব রূপ নিতে পারে।

মসজিদে নববির মুয়াজ্জিন শেখ ফয়সাল নোমান আর নেই

ইসরায়েল আর ‘কখনোই গাজা ত্যাগ করবে না’

তুরস্কে বিমান বিধ্বস্ত হয়ে লিবিয়ার ‘জাতীয় ঐক্যের সরকারের’ সেনাপ্রধান নিহত

গাজায় ৭৩ দিনে ইসরায়েলি হত্যাকাণ্ডের শিকার ৪১১ ফিলিস্তিনি, যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন ৮৭৫ বার

যুদ্ধের মধ্যেই গাজায় দুবার সন্তান প্রসবের ভয়াবহ স্মৃতি হাদিলের

আসাদের খালি হয়ে যাওয়া কুখ্যাত কারাগারগুলো ভরে উঠছে আবার

কুকুর লেলিয়ে পুরুষ ফিলিস্তিনিকে ধর্ষণ—বিবিসির প্রতিবেদনে ইসরায়েলি কারাগারে নির্যাতনের চিত্র

ফিলিস্তিনিদের প্রলোভনে ফেলে গাজা খালি করার মিশনে ইসরায়েলঘনিষ্ঠ ভুয়া সংস্থা

গাজায় নতুন শাসনকাঠানো কার্যকর শিগগির: মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী

ধ্বংসস্তূপের মধ্যেই গাজার ইসলামিক ইউনিভার্সিটিতে পাঠদান শুরু