ফিলিস্তিনের গাজাগামী ত্রাণবাহী নৌবহর ‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা’-এর একটি জাহাজ থেকে আটক বাংলাদেশি আলোকচিত্রী শহিদুল আলমসহ সব অধিকারকর্মীকে ইসরায়েলের কেৎজিয়েত কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) ফিলিস্তিনভিত্তিক আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাগুলোর জোট ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশন ও আদালাহ—দ্য লিগ্যাল সেন্টার ফর আরব মাইনরিটি রাইটস ইন ইসরায়েলের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে শহিদুল আলমের প্রতিষ্ঠান দৃক।
এক বিজ্ঞপ্তিতে দৃক জানায়, ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশন ও আদালাহ—দ্য লিগ্যাল সেন্টার ফর আরব মাইনরিটি রাইটস ইন ইসরায়েলের (যারা অপহৃত ফ্রিডম ফ্লোটিলা অ্যাকটিভিস্টদের হয়ে আইনি লড়াই চালিয়ে আসছেন) মাধ্যমে জানা গেছে যে, আলোকচিত্রী ড. শহিদুল আলমসহ ফ্রিডম ফ্লোটিলার নৌবহরের সব সাংবাদিক, স্বাস্থ্যসেবাকর্মী, মানবাধিকারকর্মী ও জাহাজের ক্রুকে আশদোদ বন্দরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সেখানে আইনিপ্রক্রিয়া শেষে তাঁদের ইসরায়েলের কেৎজিয়েত কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ফ্লোটিলা অ্যাকটিভিস্টরা আদালাহর আইনজীবীদের জানিয়েছেন, জাহাজ দখল নেওয়ার পর থেকে তাঁরা ইসরায়েলের দখলদার বাহিনী দ্বারা নানা ধরনের সহিংসতার শিকার হয়েছেন। ফিলিস্তিনিরা প্রতিদিন একই রকম ও আরও ভয়াবহ সহিংসতার মুখোমুখি হচ্ছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, নাগেভ মরুভূমিতে অবস্থিত কেৎজিয়েত কারাগারে প্রায় ১০ হাজার ফিলিস্তিনিকে দখলদার ইসরায়েলি বাহিনী বন্দী রেখেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে দৃক বলেছে, ‘সব ফিলিস্তিনি বন্দীর মুক্তি চাই, সব ফ্লোটিলা অ্যাকটিভিস্টের মুক্তি চাই। ফিলিস্তিন মুক্ত হবেই।’