হোম > বিশ্ব > মধ্যপ্রাচ্য

গাজার ভেতরেই ‘বাফার জোন’ তৈরির ষড়যন্ত্র ইসরায়েলের, বাস্তবায়নে যুদ্ধবিরতির মধ্যেও চলছে হত্যাকাণ্ড

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­

গাজায় যুদ্ধবিরতির অস্থায়ী সীমারেখাই যেন এখন স্থায়ী সীমান্তে রূপ নিচ্ছে। ছবি: দ্য গার্ডিয়ানের সৌজন্যে

ইসরায়েলি বাহিনী ছয় সপ্তাহ ধরে চলা যুদ্ধবিরতির মধ্যেও গাজায় অন্তত চার ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে। ইসরায়েলের এসব হামলায় আরও অনেকে আহত হয়েছে। একই সময়ে এক ফিলিস্তিনি সশস্ত্র সংগঠন যুদ্ধবিধ্বস্ত এই উপত্যকা থেকে আরেক ইসরায়েলি বন্দীর মরদেহ উদ্ধারের ঘোষণা দিয়েছে। এ ছাড়া গাজায় কার্যক্রম গুটানোর ঘোষণা দিয়েছে বিতর্কিত গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশন (জিএইচএফ)।

গতকাল সোমবার ইসরায়েলি হামলায় নিহত হয়েছেন গাজার দক্ষিণাঞ্চলের বানি সুহেইলার এক ফিলিস্তিনি পুরুষ। ইসরায়েলি বাহিনীর নিয়ন্ত্রণাধীন তথাকথিত ‘হলুদ রেখা’র ওপারে ড্রোন হামলায় তাঁর মৃত্যু হয়।

উত্তর গাজা সিটিতে আরেক বিস্ফোরণে এক ফিলিস্তিনি শিশু নিহত হয়েছে। গাজার সিভিল ডিফেন্স জানিয়েছে, ইসরায়েলি বাহিনীর রেখে যাওয়া অবিস্ফোরিত গোলাবারুদের কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটে। সংস্থাটি বলেছে, আরও কয়েকজন শিশু আহত হয়েছে। তাদের মধ্যে কারও কারও অবস্থা সংকটজনক।

গাজা সিটি থেকে আল জাজিরার তারেক আবু আজজুম জানিয়েছেন, আর্টিলারি, বিমান হামলা ও হেলিকপ্টার স্ট্রাইকের মাধ্যমে দিনভর উত্তর ও দক্ষিণ—উভয় অঞ্চলে ইসরায়েলি আঘাত অব্যাহত ছিল। বাইত লাহিয়ায় ‘হলুদ রেখা’র বাইরের এলাকায় ইসরায়েলি গোলাবর্ষণ হয়েছে। দক্ষিণে রাফাহর উত্তর-পূর্ব এবং খান ইউনিসের উপকণ্ঠে ট্যাংক ও হেলিকপ্টারের হামলার খবর পাওয়া গেছে।

আজজুম বলেন, ‘হলুদ রেখার ওপারে ব্যাপক ইসরায়েলি আক্রমণে গাজার পূর্বাঞ্চলের মহল্লাগুলো পরিকল্পিতভাবে ধ্বংস করে ফেলা হচ্ছে।’ তিনি যোগ করেন, পরিবারগুলো থেকে গৃহীত সাক্ষ্যে ইঙ্গিত মিলছে যে এসব এলাকাকে জনবসতিহীন করতে ও বাফার জোন তৈরির লক্ষ্যে সুস্পষ্টভাবে অঞ্চলগুলো ধ্বংস করা হচ্ছে, যাতে মানুষের ফিরে যাওয়া জটিল হয়ে ওঠে।

মধ্য গাজায় সিভিল ডিফেন্স, পুলিশ ও রেডক্রসের সহায়তায় মাগাজি ক্যাম্পে ধ্বংসস্তূপ থেকে এক পরিবারের আটজনের মরদেহ উদ্ধার করেছে। ফিলিস্তিনি বার্তা সংস্থা ওয়াফা জানায়, আগের এক ইসরায়েলি হামলায় ওই বাড়িটি ধ্বংস হয়।

এদিকে বিতর্কিত গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশন বা জিএইচএফ গাজায় তাদের ‘মিশন’ শেষ করার ঘোষণা দিয়েছে। গত মাস থেকেই সংস্থাটি তাদের খাদ্য বিতরণ কেন্দ্রগুলো বন্ধ করতে শুরু করে। সেই সময়টাতে জাতিসংঘকে কিছু বিতরণ কার্যক্রম পুনরায় শুরু করার অনুমতি দেওয়া হয়।

জিএইচএফ পরিচালিত কেন্দ্রগুলোতে শত শত ফিলিস্তিনি গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়েছিল। যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের সমর্থনপুষ্ট এই সংস্থাকে অন্য মানবিক সহায়তা সংস্থাগুলো ব্যাপকভাবে নিন্দা করেছিল। এক বিবৃতিতে জিএইচএফের নির্বাহী পরিচালক জন অ্যাক্রি বলেন, ‘এই মিশনের উদ্দেশ্য ছিল এটা দেখানো যে সবচেয়ে কঠিন যুদ্ধক্ষেত্রেও মানবিক সহায়তা কার্যকর, নিরাপদ ও স্বচ্ছভাবে বিতরণ করা সম্ভব।’

জন অ্যাক্রি আরও বলেন, ‘সিভিল-মিলিটারি কো-অর্ডিনেশন সেন্টার (সিএমসিসি) এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সহযোগিতায় গাজায় সহায়তা কার্যক্রমের একটি নতুন মানদণ্ড আমরা প্রতিষ্ঠা করতে পেরেছি।’

নামাজরত ফিলিস্তিনির ওপর গাড়ি চালিয়ে দিলেন ইসরায়েলি সেনা

গাজায় ধ্বংসস্তূপের মাঝেই বড়দিনের আনন্দ খুঁজছে ক্ষুদ্র খ্রিষ্টান সম্প্রদায়

শানলিউরফা: নবীদের যে নগরে মিলেছে তিন ধর্মের মানুষ

৭ অক্টোবরের দায় এড়াতে ফন্দি খোঁজার দায়িত্ব দিয়েছিলেন নেতানিয়াহু: সাবেক মুখপাত্র

মসজিদে নববির মুয়াজ্জিন শেখ ফয়সাল নোমান আর নেই

ইসরায়েল আর ‘কখনোই গাজা ত্যাগ করবে না’

তুরস্কে বিমান বিধ্বস্ত হয়ে লিবিয়ার ‘জাতীয় ঐক্যের সরকারের’ সেনাপ্রধান নিহত

গাজায় ৭৩ দিনে ইসরায়েলি হত্যাকাণ্ডের শিকার ৪১১ ফিলিস্তিনি, যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন ৮৭৫ বার

যুদ্ধের মধ্যেই গাজায় দুবার সন্তান প্রসবের ভয়াবহ স্মৃতি হাদিলের

আসাদের খালি হয়ে যাওয়া কুখ্যাত কারাগারগুলো ভরে উঠছে আবার