হোম > বিশ্ব > মধ্যপ্রাচ্য

অবসরপ্রাপ্ত মার্কিন সামরিক কর্মকর্তাদের ওপর আস্থা আমিরাতের

যুক্তরাষ্ট্রের অবসরপ্রাপ্ত সামরিক কর্মকর্তাদের কাজের জন্য বিরাট ক্ষেত্র হয়ে উঠেছে উপসাগরীয় দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাত। দেশটির সামরিক বাহিনীতে বেশির ভাগ উপদেষ্টা বিদেশি। মার্কিন ফ্রিডম অব ইনফরমেশন অ্যাক্টের (এফওআইএ) পাওয়া নথি অনুসারে এমনটা জানিয়েছে ওয়াশিংটন পোস্ট। 

ওয়াশিংটন পোস্টের প্রতিবেদনে জানা যায়, গত সাত বছরে ২৮০ জন অবসরপ্রাপ্ত সামরিক সদস্য সংযুক্ত আরব আমিরাতে কাজ করার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় সরকারের অনুমোদন আবেদন করেন। যা অন্য যেকোনো দেশের চেয়ে অনেক বেশি। আকর্ষণীয় বেতন কাঠামোই মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে চাকরির ব্যাপারে বেশি আগ্রহী করে তুলছে সাবেক সামরিক কর্মকর্তাদের। 

এফওআইএ নথি অনুসারে, সাবেক জেনারেল, অ্যাডমিরালসহ শত শত অবসরপ্রাপ্ত মার্কিন কর্মকর্তা তাদের সামরিক অভিজ্ঞতাবলে লোভনীয় চুক্তিতে অন্য দেশের জন্য কাজ করছেন। এদের সিংহভাগই মধ্যপ্রাচ্য বিশেষ করে সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতে। 

সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রতিরক্ষামন্ত্রী অবসরপ্রাপ্ত জেনারেল জিম ম্যাটিস সংযুক্ত আরব আমিরাতের সামরিক উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করেছেন। বারাক ওবামার জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত মেরিন জেনারেল জেমস এল জোনস সৌদি আরবের সঙ্গে কাজ করেছেন। 

নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান বা দেশকে পরিচালনা, কৌশলগত, তথ্যগত ও নৈতিক দিক সম্পর্কে পরামর্শ দিয়ে থাকেন এসব সামরিক কর্মকর্তারা। আবার ওয়াশিংটনে থেকেই বিভিন্ন দেশের হয়ে কাজ করেন অনেকে। এ ক্ষেত্রেও সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর পক্ষে কাজ করা সামরিক কর্মকর্তারা বেশ সক্রিয়। 

এফওআইএ’র প্রতিবেদনে জানা যায়, উপসাগরীয় দেশগুলোতে গত এক দশকে এমন মার্কিন কর্মকর্তা নিয়োগ ব্যাপকভাবে বেড়েছে। এসব দেশের ভালো বেতনের কারণেই সবাই আগ্রহী হচ্ছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের সৌদি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়কে পরামর্শ দিয়ে দুই থেকে তিন লাখ ডলার পর্যন্ত বেতন পেয়েছেন অনেকে। আর যারা সুপরিচিত অর্থাৎ বিভিন্ন দায়িত্বশীল পদে কাজ করার খ্যাতি আছে তাদের ক্ষেত্রে বেতন সাত অঙ্ক পর্যন্ত দেওয়ার রেকর্ড রয়েছে। 

এদিকে সম্প্রতি রাশিয়া এবং ওপেক প্লাস সদস্য দেশগুলোর তেল উৎপাদন কমানোর সিদ্ধান্তের জেরে মার্কিন কংগ্রেস ও মানবাধিকার সংস্থাগুলো সংযুক্ত আরব আমিরাতের সমালোচনায় সরব। এ ছাড়া মার্কিন নির্বাচন ও রাজনীতিতে হস্তক্ষেপের জন্য দেশটির নেতাদের সম্পৃক্ততা যাচাই-বাছাই করছে বিচার বিভাগ। 

নামাজরত ফিলিস্তিনির ওপর গাড়ি চালিয়ে দিলেন ইসরায়েলি সেনা

গাজায় ধ্বংসস্তূপের মাঝেই বড়দিনের আনন্দ খুঁজছে ক্ষুদ্র খ্রিষ্টান সম্প্রদায়

শানলিউরফা: নবীদের যে নগরে মিলেছে তিন ধর্মের মানুষ

৭ অক্টোবরের দায় এড়াতে ফন্দি খোঁজার দায়িত্ব দিয়েছিলেন নেতানিয়াহু: সাবেক মুখপাত্র

মসজিদে নববির মুয়াজ্জিন শেখ ফয়সাল নোমান আর নেই

ইসরায়েল আর ‘কখনোই গাজা ত্যাগ করবে না’

তুরস্কে বিমান বিধ্বস্ত হয়ে লিবিয়ার ‘জাতীয় ঐক্যের সরকারের’ সেনাপ্রধান নিহত

গাজায় ৭৩ দিনে ইসরায়েলি হত্যাকাণ্ডের শিকার ৪১১ ফিলিস্তিনি, যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন ৮৭৫ বার

যুদ্ধের মধ্যেই গাজায় দুবার সন্তান প্রসবের ভয়াবহ স্মৃতি হাদিলের

আসাদের খালি হয়ে যাওয়া কুখ্যাত কারাগারগুলো ভরে উঠছে আবার