হোম > বিশ্ব > ইউরোপ

রাজবাড়িতে বসে খাওয়ার দিন শেষ প্রিন্স অ্যান্ড্রুর

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­

অ্যান্ড্রু আর প্রিন্স নন। ছবি: সংগৃহীত

ব্রিটিশ রাজপরিবারে এক ঐতিহাসিক ও নাটকীয় সিদ্ধান্তে রাজা চার্লস তাঁর ভাই প্রিন্স অ্যান্ড্রুকে রাজপরিবার থেকে কার্যত বহিষ্কার করেছেন। এর ফলে শুধু রাজকীয় মর্যাদাই নয়, হারাতে হচ্ছে তাঁর ৩০ কক্ষবিশিষ্ট রাজপ্রাসাদও। উইন্ডসর এস্টেটের অন্তর্গত সেই রয়্যাল লজে গত দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে বসবাস করছিলেন অ্যান্ড্রু। এখন তাঁকে রাজকীয় আড়ম্বর থেকে বহু দূরে গ্রামীণ এলাকায় নির্বাসিত জীবন কাটাতে হবে।

৬৫ বছর বয়সী অ্যান্ড্রুর জন্য এটি এক চূড়ান্ত অপমান। দীর্ঘদিন ধরে তাঁর বিতর্কিত অতীত—বিশেষ করে মার্কিন যৌন অপরাধী জেফরি এপস্টেইনের সঙ্গে সম্পর্ক এবং ভার্জিনিয়া জিউফ্রের সাম্প্রতিক স্মৃতিকথায় তাঁর যৌন কেলেঙ্কারি প্রকাশের ঘটনায় জনরোষে ছিল ব্রিটিশ রাজপরিবার। অ্যান্ড্রু এসব অভিযোগ অস্বীকার করলেও জনমনের ক্ষোভ প্রশমিত হয়নি।

উদ্ভূত পরিস্থিতিতে দুই সপ্তাহ আগেই আনুষ্ঠানিকভাবে রাজকীয় উপাধি ও সম্মান ত্যাগ করেছিলেন প্রিন্স অ্যান্ড্রু। সে সময় তিনি দাবি করেন, পরিবার ও দেশের স্বার্থকে অগ্রাধিকার দিয়েই তিনি তাঁর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। কিন্তু সেই পদক্ষেপেও জনমত শান্ত হয়নি।

অবশেষে স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) সন্ধ্যায় বাকিংহাম প্যালেস থেকে ঘোষণা এসেছে—অ্যান্ড্রু আর প্রিন্স নন; এখন তিনি কেবল অ্যান্ড্রু মাউন্টব্যাটেন উইন্ডসর, এক সাধারণ নাগরিক।

রাজা নিজেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, এতে অ্যান্ড্রুর কোনো মতামত নেওয়া হয়নি—যদিও তিনি কোনো আপত্তিও করেননি। বিবৃতিতে যৌন নির্যাতনের শিকারদের প্রতি সংহতির বার্তাও ছিল।

রাজা চার্লসের এই পদক্ষেপ ১৯৩৬ সালের সংকটের (রাজা অষ্টম হেনরির সিংহাসন ত্যাগ) পর রাজপরিবারে সবচেয়ে বড় ঘটনা বলে মনে করা হচ্ছে। রাজপরিবারের অভ্যন্তরীণ সম্পর্কের জটিলতা সত্ত্বেও চার্লসের পক্ষে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া অনিবার্য ছিল। কারণ অ্যান্ড্রুর বিতর্ক বছরের পর বছর রাজপরিবারের সুনাম ক্ষুণ্ন করেছে।

উইন্ডসর এস্টেটের অন্তর্গত এই রয়্যাল লজ ছেড়ে দিতে হবে অ্যান্ড্রুকে। ছবি: সংগৃহীত

ইতিহাসবিদ কেট উইলিয়ামস এই সিদ্ধান্তকে ‘অভূতপূর্ব সিদ্ধান্ত’ বলে অভিহিত করেছেন। তাঁর মতে, ‘ডিউক অব ইয়র্ক’ উপাধি ত্যাগের পরও জনমত শান্ত হয়নি। ফলে রাজা বাধ্য হয়েছেন কঠোর ব্যবস্থা নিতে। তিনি এই ঘটনার তুলনা টেনেছেন অতীতে অষ্টম হেনরি কিংবা রানি ভিক্টোরিয়ার নাতি চার্লস এডওয়ার্ডের সঙ্গে—তাঁদেরও উপাধি একসময় কেড়ে নেওয়া হয়েছিল।

ব্রিটিশ রাজনৈতিক মহলেও এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানানো হয়েছে। কনজারভেটিভ নেতা কেমি ব্যাডেনক বলেছেন, ‘নিজ ভাইয়ের বিরুদ্ধে এমন পদক্ষেপ কঠিন হলেও পরিবারের মর্যাদা রক্ষায় এটি রাজার সঠিক সিদ্ধান্ত।’

তবে সমালোচকদের একাংশ মনে করেন, শুধু উপাধি হারানো যথেষ্ট নয়। রিপাবলিক আন্দোলনের নেতা গ্রাহাম স্মিথ বলেন, ‘গুরুতর যৌন অপরাধের অভিযোগে শুধু উপাধি খোয়ানোই যথেষ্ট নয়; আইন সবার জন্য সমান হওয়া উচিত।’

এদিকে সবকিছুর পরও অ্যান্ড্রু সিংহাসনের উত্তরাধিকারের অষ্টম স্থানে রয়েছেন। জানা গেছে, তাঁকে স্যান্ড্রিংহামে রাজা চার্লসের ব্যক্তিগত এস্টেটে একটি বাড়ি দেওয়া হবে এবং রাজা নিজে কিছু আর্থিক সহায়তাও করবেন।

অ্যান্ড্রুর সাবেক স্ত্রী সারা ফার্গুসনও রয়্যাল লজ থেকে সরে যাচ্ছেন। তবে তাঁদের দুই মেয়ে প্রিন্সেস বিট্রিস ও ইউজিনির রাজ উপাধি বহালই থাকবে।

রাশিয়াকে পশ্চিম সম্মান করলে আর যুদ্ধ হবে না: পুতিন

ভারতে তেল দিয়ে ফেরার পথে বিধ্বস্ত রুশ জাহাজ—প্রতিশোধের হুমকি পুতিনের

ভারতে তেল দিয়ে ফেরার পথে রুশ জাহাজে আঘাত হানল ইউক্রেন

শান্তিতে মাচাদোর নোবেল পাওয়ার বিরুদ্ধে জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জের মামলা

‘মান বাঁচাতে’ ইউক্রেনকে ১০৫ বিলিয়ন ডলার ঋণ দিচ্ছে ইইউ

রাশিয়াকে এস-৪০০ আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ফেরত নিতে বলছে তুরস্ক, কিন্তু কেন

চেলসি ক্লাব বিক্রির অর্থ ইউক্রেনকে দিতে হবে—রুশ ধনকুবেরকে ব্রিটিশ আলটিমেটাম

ক্যানসার আক্রান্ত শিশুদের সঙ্গে প্রতারণা, ৪০ লাখ ডলার আত্মসাতের নেপথ্যে এক ইসরায়েলি

আবারও পোল্যান্ডে সেনা পাঠাচ্ছে জার্মানি

শান্তির জন্য ন্যাটোর আশা ছাড়ার ইঙ্গিত দিল ইউক্রেন