ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলের দুটি এলাকাকে ‘স্বাধীন’ হিসেবে স্বীকৃতি দিতে পুতিনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে দেশটির পার্লামেন্ট দুমার নিম্নকক্ষ। ইউক্রেনের স্বঘোষিত স্বাধীন অঞ্চল দনেৎস্ক ও লুহানস্ককে প্রজাতন্ত্র হিসেবে স্বীকৃতি দিতে পুতিনের প্রতি আহ্বান জানানোর বিষয়ে ভোটাভুটি হয়। আজ মঙ্গলবার দেশটির পার্লামেন্টের স্পিকার ভায়েচেস্লাভ ভলোদিন এ তথ্য জানিয়েছেন বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
পুতিন যদি দুমার আহ্বানে সাড়া দিয়ে ওই দুই অঞ্চলকে স্বাধীন বলে স্বীকৃতি দেন তবে ইউক্রেনে যুদ্ধের সম্ভাবনা আরও বাড়বে বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকেরা। দুই অঞ্চলেই রুশ সমর্থিত সংগঠন রয়েছে।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, দনেৎস্ক এবং লুহানস্ককে স্বাধীন প্রজাতন্ত্র হিসেবে স্বীকৃতি দিলে ইউক্রেনকে কেন্দ্র করে রাশিয়া ও পশ্চিমা বিশ্বের মধ্যে বিদ্যমান উত্তেজনায় ঘি ঢালা হবে। পূর্ব ইউক্রেনে মিনস্ক শান্তি প্রক্রিয়া ভেঙে পড়বে। যেখানে এরই মধ্যে ওই দুই এলাকায় রাশিয়া সমর্থিত বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সঙ্গে সরকারি বাহিনীর সংঘর্ষে ১৫ হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন।
দুমার নিম্নকক্ষের স্পিকার ভায়েচেস্লাভ ভলোদিন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লিখেছেন, ‘কিয়েভ মিনস্ক চুক্তি অনুসরণ করছে না। তাই দনবাসে বসবাসকারী আমাদের প্রবাসী নাগরিকদের আমাদের সাহায্য সহযোগিতা প্রয়োজন।’
স্পিকার ভলোদিন পুতিনপন্থী ইউনাইটেড রাশিয়া পার্টির একজন সদস্য। তিনি বলেছেন, এই আবেদন শিগগিরই ক্রেমলিনে পাঠানো হবে। অবশ্য বিষয়টি পর্যালোচনা করতে ক্রেমলিন কত দিন সময় নেবে সেটি পরিষ্কার নয়।
রুশ পার্লামেন্টে এমন ভোটাভুটির বিষয়ে ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্রো কুলেবা বলেন, ‘রাশিয়া যদি ওই দুই অঞ্চলের স্বীকৃতির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয় তাহলে প্রকৃতপক্ষে দেশটি কার্যত সব দায় দায়িত্বসহ মিনস্ক চুক্তি থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করে নেবে। এই ঘটনার পরবর্তী ফলাফলের জন্য রাশিয়াই দায়ী থাকবে।’
এ দিকে ইউক্রেন ও তাঁর পশ্চিমা মিত্ররা দাবি করছে, রাশিয়া ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলকে গৃহযুদ্ধের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। তবে রাশিয়া বরাবরই এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
তবে ইউক্রেন সীমান্ত থেকে ঘাঁটিতে ফিরতে শুরু করেছে রুশ সেনারা। ফলে ওই এলাকায় শান্তি ফিরে আসার যে সম্ভাবনা দেখা দিয়েছিল তা দুমার এই আহ্বানের পর ভেস্তে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।