ব্যাংককের উপকণ্ঠে অবস্থিত ওয়াত রাট প্রাখং থাম বৌদ্ধমন্দিরে দাহ করার ঠিক আগমুহূর্তে এক নারীকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) স্থানীয় গণমাধ্যম ও অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস জানিয়েছে, ৬৫ বছর বয়সী ওই নারীকে মৃত ভেবে কফিনে রাখা হয়েছিল। কিন্তু দাহ শুরু হওয়ার আগে কফিনের ভেতর থেকে আসা মৃদু শব্দে মন্দিরের কর্মীরা চমকে ওঠেন।
মন্দিরের ব্যবস্থাপক পাইরাত সুধথুপ জানিয়েছেন, তিনি কফিনের দিক থেকে ক্ষীণ ঠকঠক শব্দ শুনে থমকে যান। পরে কফিন খুলে দেখা যায়—নারীটি চোখ আধখোলা অবস্থায় কফিনের দেয়ালে হাত দিয়ে আঘাত করছেন। সুধথুপ বলেন, সম্ভবত তিনি বেশ কিছুক্ষণ ধরে নক করছিলেন।
ওই নারীর ছোট ভাই জানান, স্থানীয় কর্মকর্তারা তাঁকে তাঁর বোনের মৃত্যুর খবর দিয়েছিলেন। তবে মন্দির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বোনের মৃত্যুর কোনো সনদ ছিল না সেই ভাইয়ের কাছে। ব্যবস্থাপক সুধথুপ তাই ভাইটির সঙ্গে সনদের বিষয়ে কথা বলছিলেন। ঠিক এমন সময়ই কফিনের ভেতর থেকে শব্দ শোনা যায়। পরে কফিন খুলে সবাই নিশ্চিত হন—ওই নারী জীবিত!
এই অবস্থায় মন্দিরের প্রধান ভিক্ষু সঙ্গে সঙ্গে ওই নারীকে হাসপাতালে পাঠানোর নির্দেশ দেন। পরে চিকিৎসকেরা জানান, ওই নারী গুরুতর হাইপোগ্লাইসেমিয়ায় ভুগছিলেন। এটি এমন এক অবস্থা, যখন রক্তে শর্করার মাত্রা অতিমাত্রায় কমে যায়। স্থানীয় রিপোর্টে বলা হয়েছে, তাঁর শ্বাসযন্ত্র বা হৃদ্যন্ত্র বন্ধ হয়ে যাওয়ার মতো কোনো ঘটনা ঘটেনি।
মন্দির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ওই নারী গত দুই বছর ধরে শয্যাশায়ী। গত শনিবার (২২ নভেম্বর) তাঁর শারীরিক অবস্থা আরও খারাপ হলে পরিবার মনে করে তিনি আর শ্বাস নিচ্ছেন না। এরপরই দাহের প্রস্তুতি নিতে তাঁরা ফিৎসানুলোক প্রদেশ থেকে প্রায় ৫০০ কিলোমিটার দূরত্ব অতিক্রম করে ব্যাংককে আসেন।
চিকিৎসাধীন নারী এখনো হাসপাতালে আছেন বলে স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে।