নারী ক্যাডেটদের সতীত্ব পরীক্ষা করার বিতর্কিত রীতি বন্ধ করল ইন্দোনেশিয়ার সেনাবাহিনী। গতকাল মঙ্গলবার ইন্দোনেশিয়ান সেনাবাহিনীর প্রধান এমনটি জানিয়েছেন।
জানা গেছে, ইন্দোনেশিয়ার নারী ক্যাডেটদের টু ফিঙ্গার টেস্টের মাধ্যমে পরীক্ষা করা হতো। এই রীতিতে হাতে গ্লাভস পড়ে নারীর একান্ত প্রত্যঙ্গে আঙুল প্রবেশ করিয়ে তার 'টেন্ডারনেস' পরীক্ষা করা হয়। এই টেস্টের নামই 'টু ফিঙ্গার টেস্ট'।
২০১৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ ইন্দোনেশিয়ান সেনাবাহিনীর এই রীতি নিয়ে অনুসন্ধান করে এবং এটি বন্ধ করার আহ্বান জানান। ২০১৭ সালে ফের এই রীতি বন্ধ করার জন্য ইন্দোনেশিয়ান সেনাবাহিনীর প্রতি আহ্বান জানায় সংস্থাটি।
এর আগে ইন্দোনেশিয়ান সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল যে নারী ক্যাডেটদের নৈতিকতা যাচাইয়ের জন্য সতীত্ব পরীক্ষা খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পক্ষ থেকে বলা হয়, টু ফিঙ্গার টেস্টের কোনো বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই।
এ নিয়ে ইন্দোনেশিয়ান সেনাবাহিনীর প্রধান আন্দিকা পারকাসা বলেন, এখন থেকে আর এই পরীক্ষা হবে না। গত সপ্তাহে আন্দিকা বলে ছিলেন, সেনাবাহিনীতে নিয়োগের জন্য নারী এবং পুরুষের সমান সুযোগ পাওয়া উচিত।
এদিকে ইন্দোনেশিয়ার নৌবাহিনীতে অন্তঃসত্ত্বা পরীক্ষা করা হলেও সতীত্ব পরীক্ষা করা হয় কি-না তা জানা যায়নি। এ নিয়ে ইন্দোনেশিয়ার নৌবাহিনীর মুখপাত্র জুলিয়াস উইডজোজনো বলেছেন, নারী এবং পুরুষ উভয়কেই একই পরীক্ষা করা হয়।