হোম > বিশ্ব > এশিয়া

ফিলিপাইনে টাইফুন কালমায়েগিতে ৬৬ জনের প্রাণহানি

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­

এ টাইফুনে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দেশটির ঘনবসতিপূর্ণ সেবু দ্বীপ। ছবি: নিউইয়র্ক টাইমস

বছরের অন্যতম শক্তিশালী টাইফুন কালমায়েগির তাণ্ডবে ফিলিপাইন বিপর্যস্ত। এ পর্যন্ত দেশটিতে ৬৬ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। হাজার হাজার মানুষ ঘরবাড়ি ছেড়ে আশ্রয়কেন্দ্রে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে।

আজ বুধবার বেসামরিক প্রতিরক্ষা কার্যালয়ের উপপ্রশাসক রাফায়েলিতো আলেহান্দ্রো স্থানীয় রেডিও স্টেশন ডিজেডএমএমকে হতাহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। এ সময় তিনি জানান, এই টাইফুনে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দেশটির ঘনবসতিপূর্ণ সেবু দ্বীপ। এই দ্বীপে ৪৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া ২৬ জন নিখোঁজ রয়েছে।

স্থানীয় গণমাধ্যমগুলোর বরাতে বিবিসি জানায়, টাইফুনের সঙ্গে পাহাড়ি ঢল নেমে অনেক গ্রাম ও শহর তলিয়ে গেছে। বেশির ভাগ মৃত্যু হয়েছে ডুবে যাওয়ার কারণে।

সেবু দ্বীপের আবাসিক এলাকাগুলোয় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, বহু ছোট ভবন বন্যার জলে ভেসে গেছে এবং পানি নামার পর এলাকাজুড়ে ঘন কাদার স্তর পড়ে রয়েছে। উদ্ধারকর্মীরা নৌকা ব্যবহার করে আটকে পড়া মানুষদের ঘর থেকে বের করে আনছেন।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা গেছে, পুরোপুরি পানিতে তলিয়ে গেছে এলাকাগুলো। বাড়ির ছাদে আশ্রয় নিয়েছে মানুষ। পানিতে ভেসে গিয়েছে সড়কে থাকা গাড়িগুলো।

উদ্ধারকর্মীরা জানান, আকাশ পরিষ্কার না হওয়া পর্যন্ত তাঁরা সহায়তা পৌঁছে দিতে পারছেন না। এক কর্মকর্তা জানান, সড়কে ছড়িয়ে থাকা ধ্বংসাবশেষ আর গাড়িগুলো সমস্যা তৈরি করছে। এগুলো সরাতেই অনেক সময় লাগবে।

এই দুর্যোগে চার লক্ষাধিক মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থা।

গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় দুর্যোগ ত্রাণ কার্যক্রম ত্বরান্বিত করতে সেবু প্রদেশে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেন গভর্নর পামেলা বারিকুয়াত্রো। তিনি এক ফেসবুক পোস্টে বলেন, ‘সেবুর পরিস্থিতি সত্যিই ভয়াবহ। আমরা ভেবেছিলাম প্রবল বাতাসই সবচেয়ে বিপজ্জনক হবে, কিন্তু বাস্তবে পানিই এখন মানুষের জীবনের সবচেয়ে বড় হুমকি। বন্যার পানিতে বিপর্যস্ত সবকিছু।’

এদিকে ত্রাণ দিতে গিয়ে হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় ছয় সেনাসদস্যের মৃত্যু হয়েছে। সেবুর দক্ষিণে মিন্দানাও দ্বীপে ত্রাণ কার্যক্রমে অংশ নিতে গিয়ে হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান তাঁরা। গতকাল মঙ্গলবার হেলিকপ্টারটি আগুসান দেল সুর এলাকায় বিধ্বস্ত হয়। ত্রাণ সহায়তার জন্য পাঠানো চারটি সামরিক হেলিকপ্টারের মধ্যে একটি ছিল এটি।

দুর্ঘটনাগ্রস্ত হেলিকপ্টারের সঙ্গে যোগাযোগ হঠাৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়, এরপরই তৎক্ষণাৎ অনুসন্ধান ও উদ্ধার অভিযান শুরু হয়। পরে একজন মুখপাত্র জানান, ছয়টি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে, যেগুলো পাইলট ও ক্রুদের বলে ধারণা করা হচ্ছে।

বিবিসির প্রতিবেদনে জানা যায়, গতকাল মঙ্গলবার ভোরে স্থলভাগে আঘাত হানার পর কিছুটা দুর্বল হয়ে পড়ে টাইফুনটি। তবে এখনো ঘণ্টায় ৮০ মাইল (১৩০ কিমি) বেগে বাতাস বয়ে যাচ্ছে। টাইফুনটি আজ বুধবারের মধ্যে ভিসায়াস দ্বীপমালা পেরিয়ে দক্ষিণ চীন সাগরের দিকে চলে যাবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছেন আবহাওয়াবিদেরা। তাঁরা আরও জানান, এখন ভিয়েতনামের দিকে অগ্রসর হচ্ছে টাইফুন কালমায়েগি।

প্রতিবছর গড়ে ২০টি ঝড় ও টাইফুন ফিলিপাইনে আঘাত হানে। টাইফুন কালমায়েগির এক মাস আগে পরপর দুটি ঝড়ে বিপর্যস্ত অবস্থায় ছিল দেশটি। তখন ১২ জনের বেশি মারা গিয়েছিল। অবকাঠামো ও ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছিল।

তাইওয়ানকে ঘিরে ধরেছে চীনের যুদ্ধজাহাজ, যুদ্ধবিমান ও ড্রোন

ইন্দোনেশিয়ায় নার্সিং হোমে আগুনে ১৬ জনের মৃত্যু

যে কৌশলে রুশ ধনকুবেরদের কণ্ঠরোধ করেছেন পুতিন

সহিংসতা ও প্রত্যাখ্যানের মধ্যে মিয়ানমারে চলছে ‘প্রহসনের’ নির্বাচন

জাপানে তুষারপাতে পিচ্ছিল রাস্তায় ৫০টি গাড়ির সংঘর্ষ, নিহত ২

রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের পর দ্বিতীয়বার যুদ্ধবিরতিতে থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়া

নাজিব রাজাকের ১৫ বছরের কারাদণ্ড, জটিল সমীকরণে মালয়েশিয়ার সরকার

৫৪ কোটি ডলার পাচার: ক্ষমতার অপব্যবহারে দোষী সাব্যস্ত মালয়েশিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী

চীনের সঙ্গে উত্তেজনার মধ্যেই রেকর্ড প্রতিরক্ষা বাজেট অনুমোদন করল জাপান

থাই-কম্বোডিয়া সীমান্তে গুঁড়িয়ে দেওয়া হলো বিষ্ণু মূর্তি, নিন্দা জানাল ভারত