মার্কিন নিষেধাজ্ঞার পরিপ্রেক্ষিতে তেল উৎপাদক দুটি দেশ ইরান ও ভেনেজুয়েলা ২০ বছরের সহযোগিতা পরিকল্পনা সই করেছে। স্থানীয় সময় শনিবার ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো ইরান সফর করেছেন। তাঁর সফরকালে চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হয়েছে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি।
ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি বলেছেন, সম্পর্ক উন্নয়নে দুই দেশের কর্মকর্তাদের একাগ্রতার প্রতিফলন ঘটেছে এই চুক্তিতে।
তেহরানে একটি যৌথ সংবাদ সম্মেলনে মাদুরো বলেছেন, ‘এই সহযোগিতা চুক্তির মধ্যে জ্বালানি খাত, আর্থিক খাত ও প্রতিরক্ষা খাতে এক সঙ্গে কাজ করার পরিকল্পনা রয়েছে।’
ভেনেজুয়েলার অন্যতম মিত্র দেশ রাশিয়া, চীন, কিউবা, তুরস্ক ও ইরান। এদিকে ইরান ও ভেনেজুয়েলার ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে রাইসি বলেন, ‘ভেনেজুয়েলা কঠিন সময় পার করেছে। কিন্তু আমাদের জনগণ, কর্মকর্তা এবং প্রেসিডেন্ট এ নিষেধাজ্ঞা (মার্কিন নিষেধাজ্ঞা) প্রতিহত করার ব্যাপারে দৃঢ় সংকল্প। এটা খুবই ভালো লক্ষণ যে আমরা একটি চুক্তি সাক্ষর করতে পেরেছি। এটিই প্রমাণ করে যে শত্রুরা পিছু হটতে বাধ্য হবে।’
ইরানের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা আইআরএনএ জানিয়েছে, দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা ২০ বছরের চুক্তি ছাড়াও ইরান ও ভেনেজুয়েলার রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক, পর্যটন, অর্থনৈতিক, তেল ও পেট্রোকেমিকেল খাতে সহযোগিতা সংক্রান্ত নথিতে স্বাক্ষর করেছেন।
জ্বালানি, বায়োকেমিকেল, তেল ও গ্যাস শোধনাগারের ক্ষেত্রে ইরান ও ভেনেজুয়েলার মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প রয়েছে বলে মাদুরো জানিয়েছেন।
ভেনেজুয়েলার প্রয়াত সমাজতান্ত্রিক নেতা হুগো শ্যাভেজের সময়ে দুই তেল উৎপাদনকারী দেশের মধ্যে বেশ শক্তিশালী সম্পর্ক ছিল। শ্যাভেজের উত্তরসূরি মাদুরো সে সম্পর্ককে আরও জোরদার করেছেন।