নেপালের প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতা, সাবেক উপপ্রধানমন্ত্রী ও জ্বালানিমন্ত্রী টপ বাহাদুর রায়মাঝি আবারও শিরোনাম হলেন। তবে নেপাল কমিউনিস্ট পার্টির (মার্ক্স ও লেনিনপন্থী) এ নেতা এবার শিরোনাম হয়েছেন দেশে বিশৃঙ্খলার সুযোগে কারাগার থেকে পলায়ন করে। ভুয়া ভুটানি শরণার্থী কেলেঙ্কারির মামলায় বিচারাধীন অবস্থায় তিনি কারাগারে ছিলেন।
নেপালের সংবাদমাধ্যম সেতুপতি জানিয়েছে, বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) নেপালের কেন্দ্রীয় কারাগারের ‘ভদ্রা ডিটেনশন সেন্টার’ থেকে তিনি পালিয়ে গেছেন।
রায়মাঝি বর্তমানে নিখোঁজ এবং তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ সম্ভব হয়নি। এ ঘটনায় নেপালের রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
ভদ্রা ডিটেনশন সেন্টারে প্রায় ৩০০ থেকে ৪০০ কয়েদি থাকলেও পালানোর পর সেখানে এখন মাত্র ১০০ জন কয়েদি রয়ে গেছেন। প্রশাসনের একটি সূত্র জানিয়েছে, পালিয়ে যাওয়া কিছু কয়েদি পরে ফোন করে দুঃখ প্রকাশ করেছেন এবং তাঁরা আবার ফিরে আসার আশ্বাস দিয়েছেন।
এর আগে নেপালের নাখখু কারাগার থেকে পালানো কয়েদিরা রাজধানীতে অবস্থিত কেন্দ্রীয় কারাগারে গিয়ে ভাঙচুর চালান। এ ছাড়া দিল্লিবাজার কারাগার থেকেও বন্দীরা পালানোর চেষ্টা করেছিলেন। পরে সেখানে আটক কয়েকজনকে সেনাবাহিনীর সহায়তায় দ্রুত কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থানান্তর করা হয়।
এদিকে টপ বাহাদুর রায়মাঝির পলায়নকে ঘিরে সরকার এখন কঠোর নজরদারিতে রয়েছে। প্রশাসন বলছে, পালিয়ে যাওয়া কয়েদিদের ফের আটক করতে অভিযান চালানো হবে।