হোম > বিশ্ব > এশিয়া

ফিলিপাইনের সেই নারী মেয়রের আজীবন কারাদণ্ড

অনলাইন ডেস্ক:

ফিলিপিনো শহরের সাবেক মেয়র অ্যালিস গুয়ো। ছবি: সংগৃহীত

গত কয়েক মাস আগেই গ্রেপ্তারের মধ্য দিয়ে গণমাধ্যমের শিরোনাম হয়েছিলেন ফিলিপাইনের একটি ছোট্ট শহরের চীনা বংশোদ্ভূত মেয়র অ্যালিস গুয়ো। এবার বৃহৎ প্রতারণাকেন্দ্র পরিচালনার দায়ে তাঁকে আজীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন ফিলিপিনো আদালত। মানব পাচারের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) তাঁকে এই সাজা দেওয়া হয়। একই মামলায় আরও সাতজনকে আজীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

যুক্তরাজ্যভিত্তিক ইনডিপেনডেন্ট জানিয়েছে, অ্যালিস গুয়ো ফিলিপাইনের রাজধানী ম্যানিলার উত্তরাঞ্চলীয় কৃষি প্রধান শহর বামবান–এর মেয়র হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন। নিজেকে তিনি ফিলিপাইনের নাগরিক দাবি করলেও, তদন্তে জানা যায়—তিনি আসলে চীনা নাগরিক গুয়ো হুয়া পিং। তবে গুয়ো তাঁর বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ অস্বীকার করে বরাবর দাবি করে এসেছেন, জন্মসূত্রে তিনি ফিলিপিনো।

গুয়োর বিরুদ্ধে মামলাটি ফিলিপাইন জুড়ে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল। গত বছর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বামবান শহরে বাওফু কম্পাউন্ড নামে একটি বিশাল প্রতারণাকেন্দ্র অভিযান পরিচালনা করে। কম্পাউন্ডটিতে গোপন সুড়ঙ্গ, একাধিক ভবন, বিলাসবহুল ভিলা, এমনকি বড়সড় সুইমিংপুলও ছিল। এক ভিয়েতনামি কর্মী পালিয়ে এসে পুলিশকে তথ্য দেওয়ার পরই ওই অভিযান শুরু হয়। কেন্দ্রটিতে বিদেশিদের লক্ষ্য করে অনলাইন প্রতারণা পরিচালিত হতো। ভুক্তভোগীদের নির্যাতনের হুমকি দিয়ে জোর করে এবং আটকে রেখে প্রতারণায় যুক্ত করা হয়েছিল।

অভিযান চালিয়ে ওই প্রতারণাকেন্দ্র থেকে পুলিশ প্রায় ৮০০ জন বিদেশি কর্মীকে উদ্ধার করেছিল। উদ্ধার হওয়া কর্মীদের মধ্যে বাংলাদেশি সহ ভিয়েতনাম, চীন, তাইওয়ান, মালয়েশিয়া, রুয়ান্ডা ও আরও কয়েকটি দেশের নাগরিক ছিল। উদ্ধার হওয়া কাগজপত্রে অ্যালিস গুয়োর নাম ওই কম্পাউন্ড পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠানের সভাপতি হিসেবে উল্লেখ ছিল।

২০২৪ সালে গুয়ো দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান। পরে ইন্দোনেশিয়ায় তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং ফিলিপাইনে ফেরত পাঠানো হয়। এই ঘটনা ফিলিপাইনে অফশোর গেমিং অপারেশনস (পোগো) নিয়ে নতুন করে বিতর্ক এবং তদন্তের পথ খুলে দেয়।

ফিলিপাইন সংঘবদ্ধ অপরাধবিরোধী কমিশনের এক মুখপাত্র জানান, গুয়োসহ চারজনকে মানব পাচারের মাধ্যমে ওই কম্পাউন্ডের কর্মী সংগ্রহের দায়ে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। কমিশন এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘বহুল প্রত্যাশিত এই রায় শুধু আইনি নয়, নৈতিক বিজয়ও। এটি ভুক্তভোগীদের প্রতি ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করবে।’

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বিভিন্ন দেশ সম্প্রতি অনলাইন প্রতারণাকেন্দ্র বৃদ্ধির বিষয়ে উদ্বেগ জানিয়েছে। গত মাসে আসিয়ান নেতারা প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, তাদের ভূখণ্ডকে কোনো অপরাধচক্রের আশ্রয়স্থল হতে দেওয়া হবে না।

এদিকে ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট ফার্দিনান্দ মার্কোস জুনিয়র সম্প্রতি একটি আইনে স্বাক্ষর করেছেন। এই আইনে দেশটিতে সব অফশোর গেমিং অপারেটরকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

নাজিব রাজাকের ১৫ বছরের কারাদণ্ড, জটিল সমীকরণে মালয়েশিয়ার সরকার

৫৪ কোটি ডলার পাচার: ক্ষমতার অপব্যবহারে দোষী সাব্যস্ত মালয়েশিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী

চীনের সঙ্গে উত্তেজনার মধ্যেই রেকর্ড প্রতিরক্ষা বাজেট অনুমোদন করল জাপান

থাই-কম্বোডিয়া সীমান্তে গুঁড়িয়ে দেওয়া হলো বিষ্ণু মূর্তি, নিন্দা জানাল ভারত

নাগরিকত্বের জন্য বসবাসের শর্ত দ্বিগুণ করল জাপান

জাপানের পারমাণবিক অস্ত্র অর্জনের চেষ্টাকে প্রতিহতের ঘোষণা উত্তর কোরিয়ার

তাইওয়ানে মেট্রো স্টেশনে স্মোক বোমা ছুড়ে ছুরি হামলা, নিহত ৩

জানুয়ারিতে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গা গণহত্যার শুনানি

দেশের টাকমাথার লোকদের বাঁচানোর লড়াইয়ে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট

কম্বোডিয়ার সীমান্তবর্তী শহরে বোমা ফেলল থাইল্যান্ড