মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, চীন–যুক্তরাষ্ট্রের জন্য পরস্পরের সঙ্গে লড়াই করা মোটেও ভালো বিষয় নয়। তাই তিনি দেশটির সঙ্গে চুক্তি করতে চান, যা দুই দেশের জন্যই ভালো হবে। দক্ষিণ কোরিয়া সফররত ট্রাম্প আজ বুধবার এই কথা বলেছেন। খবর বিবিসির।
ট্রাম্প জানিয়েছেন, চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিনপিং আগামীকাল বৃহস্পতিবার দক্ষিণ কোরিয়ায় থাকবেন। তিনি বলেন, ‘আমার মনে হচ্ছে আমরা একটা চুক্তিতে পৌঁছাতে যাচ্ছি।’ তিনি আরও যোগ করেন, এটি হবে ‘দুই পক্ষের জন্যই ভালো চুক্তি।’
ট্রাম্পের ভাষায়, এটি এমন এক ফলাফল হবে যা ‘লড়াই করার চেয়ে ভালো’ এবং ‘বিভিন্ন সমস্যায় জড়ানোর চেয়ে অনেক যুক্তিসংগত।’ তিনি বলেন, ‘বিশ্ব আমাদের দিকে তাকিয়ে আছে। আর আমার বিশ্বাস, আমরা এমন কিছু পেতে যাচ্ছি যা সবার জন্যই রোমাঞ্চকর হবে।’
এদিকে, চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও চীনা প্রেসিডেন্ট সি চিনপিংয়ের আসন্ন বৈঠকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। বেইজিংয়ের পক্ষ থেকে এটাই প্রথম আনুষ্ঠানিক নিশ্চয়তা। এর আগে, বৈঠকটি নিয়ে কথা বলেছিল শুধু হোয়াইট হাউস।
বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হবে দক্ষিণ কোরিয়ার শহর বুসানে। সি এপেক সম্মেলনে যোগ দিতে দক্ষিণ কোরিয়ায় পৌঁছানোর পরপরই এই বৈঠক হবে। ২০২৫ সালে ট্রাম্প দায়িত্ব নেওয়ার পর এবং বিশ্বের সব দেশের ওপর শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেওয়ার পর এটাই দুই নেতার প্রথম মুখোমুখি সাক্ষাৎ।
অপরদিকে, দক্ষিণ কোরিয়ার ন্যাশনাল মিউজিয়ামে ট্রাম্পকে দেশটির সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় পদক ‘গ্র্যান্ড অর্ডার অব মুগুংহোয়া’ প্রদান করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের কোনো প্রেসিডেন্ট এই পদক প্রথমবারের মতো পেলেন। দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কার্যালয়ের ভাষ্যে, ‘কোরীয় উপদ্বীপে শান্তি প্রতিষ্ঠায় অবদানের স্বীকৃতি হিসেবেই এই সম্মাননা দেওয়া হয়েছে।’
পুরস্কারটি হাতে নিয়ে ট্রাম্প বলেন, ‘এটা সত্যিই সুন্দর। আমি এখনই এটা পরতে পারি।’ তাঁর এই মন্তব্যে উপস্থিত দর্শকদের মধ্যে হাসির রোল ওঠে।