শ্রীলঙ্কায় ক্ষমতাসীনদের বিরুদ্ধে আন্দোলনে ফেটে পড়েছেন দেশটির সাধারণ মানুষ। যোগ দিয়েছেন শিক্ষার্থীরাও। গত বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের শত শত শিক্ষার্থী এবং কয়েক শত সাধারণ জনতা দেশটির পার্লামেন্টে যাওয়ার প্রধান সড়কে অবরোধ করে অবস্থান শুরু করে। কেউ কেউ রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দকে অপমানসূচক বার্তা দিতে ব্যারিকেডে নিজেদের ব্যবহৃত অন্তর্বাস ঝুলিয়ে দিয়েছেন।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আন্দোলনকারীদের কেউ কেউ শ্রীলঙ্কার ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক নেতৃত্ববৃন্দকে অপমানসূচক বার্তা প্রদানের অংশ হিসেবে তাদের অন্তর্বাস ব্যারিকেডে ঝুলিয়ে দেন। এসব অন্তর্বাসে লেখা ছিল, ‘ফিরে যেতে হবে’, ‘গোতা, চলে যাও’-এর মতো বিভিন্ন বার্তা।
শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আন্দোলনে যোগ দেওয়া ৪২ বছর বয়েসি বিজ্ঞাপন নির্মাতা পূর্ণিমা মুহান্দিরাম বলেছেন, ‘আমরা আমাদের রাজনীতিবিদদের ক্রমাগত মিথ্যাচারে ক্লান্ত, অসুস্থ। আমরা চাই প্রেসিডেন্ট এবং সরকার ক্ষমতা ছেড়ে দিক।’
এ দিকে, শ্রীলঙ্কার বিরোধীদলীয় নেতা সাজিদ প্রেমাদাসা শুক্রবার দেশটির পার্লামেন্টে বলেছেন তাঁরা (বিরোধী দল) আগামী সপ্তাহে প্রেসিডেন্ট ও সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনতে চান। বিপরীতে, বর্তমান প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষে পদত্যাগ করতে অস্বীকৃতি জানিয়ে বারবার তাঁর নেতৃত্বে ঐকমত্যের সরকার গঠনের আহ্বান জানিয়েছেন।
ক্ষমতাসীন দলের চিফ হুইপ এবং দেশটির জননিরাপত্তা বিষয়ক মন্ত্রী প্রসন্ন রানাতুঙ্গা শুক্রবার পার্লামেন্টে বলেছেন, ‘আমরা একাধিকবার ঐকমত্যের সরকার কিংবা একটি অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের জন্য আহ্বান জানিয়েছি কিন্তু বিরোধীরা সমর্থন দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।’