অস্ট্রেলিয়ার পুলিশ ১২ বছর ধরে টানা অনুসন্ধানের পর দেশটির ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ পলাতক আসামিদের একজনকে গ্রেপ্তার করেছে। দেশটির পুলিশ কুইন্সল্যান্ড তাঁকে গ্রেপ্তার করে। সোমবার স্থানীয় সময় সকাল ৮টা ৪৫ মিনিটের দিকে তাঁকে কুইন্সল্যান্ড থেকে বেশ দুর রেভেনশোতে একটি বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
৬৪ বছরের গ্রাহাম পটার হত্যা মামলার আসামি। পটার দেশটির ভিক্টোরিয়ায় হত্যা ষড়যন্ত্রের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় আদালতে হাজির হতে ব্যর্থ হয়ে ২০১০ সাল থেকেই পলাতক ছিলেন। পরে পুলিশ তাঁকে কুইন্সল্যান্ড থেকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারের ভিডিও ফুটেজ থেকে, পুলিশ ভ্যানে তোলার আগে অবস্থায় তাঁকে একটি জরাজীর্ণ ঘরে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়।
এর আগে পটারকে ১৯৮১ সালে এক কিশোরীকে হত্যার মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। ১৫ বছর কারাগারে থেকে তিনি মুক্তি পান।
আত্মগোপনে যাওয়ার আগে, পটারের বিরুদ্ধে হত্যা ষড়যন্ত্রের অভিযোগ ছাড়াও ৩ কোটি ১৭ লাখ ডলারের কোকেন পাচারের মামলার আসামি হয়েছিলেন।
অস্ট্রেলিয়ার স্থানীয় সংবাদপত্র দা এজের প্রতিবেদন অনুসারে, গ্রেপ্তারের আগে দেশজুড়ে বিভিন্ন সময় তাঁকে দেখা গেলেও তাঁর উপস্থিতি কেউই নিশ্চিত করতে পারেনি। ২০১৭ সালে দেশটির পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তারের প্রায় কাছাকাছি পর্যায়ে চলে গিয়েছিল। এমনকি তাঁকে ধরিয়ে দেওয়ার তথ্যের বিনিময়ে ১ লাখ অস্ট্রেলিয়ান ডলারের পুরস্কারও ঘোষণা করা হয়েছিল।
পটার গ্রেপ্তার এড়াতে তাঁর চেহারা, আচার-আচরণ এমনকি তাঁর চুলের রংও পরিবর্তন করেছিল।
ভিক্টোরিয়ার ক্রাইম কমান্ডের ভারপ্রাপ্ত সহকারী কমিশনার মিক ফ্রুয়েন বলেছেন, ‘এটি অবশ্যই মোস্ট ওয়ান্টেড এক পলাতক ব্যক্তির সন্ধানের দীর্ঘস্থায়ী অপেক্ষার সমাপ্তি ঘটিয়েছে।’
পটারকে আগামী মঙ্গলবার আদালতের তোলা হবে।