ওমিক্রন ধরন শনাক্তের পর থেকেই বেড়ে গেছে টিকার গুরুত্ব। করোনার নতুন এ ধরনে যারা আক্রান্ত হচ্ছেন তাঁদের বেশির ভাগ টিকা নেননি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) বলে আসছে, অনুন্নত ও দরিদ্র দেশে দুই ডোজ টিকা নিশ্চিত করতে হবে। এরপর বুস্টার ডোজ কার্যক্রম। তবে টিকা উৎপাদনকারীদের মনোযোগ এখন ওমিক্রনে। গত বুধবার ফাইজার জানিয়েছে, তাদের টিকার বুস্টার ডোজ করোনার উচ্চ সংক্রামক এ ধরনের বিরুদ্ধে কার্যকর। দুই ডোজ নেওয়ার পর আক্রান্তের শঙ্কা থাকলেও গুরুতর অসুস্থতা ও মৃত্যু থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে।
গতকাল বৃহস্পতিবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার টিকাদান বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের কৌশলগত উপদেষ্টা দলের এক সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, বুস্টার ডোজের প্রতি এমন গুরুত্ব আরোপ ‘টিকা বৈষম্য’ বাড়াতে পারে। সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ানের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়। অধ্যাপক আলেজান্দ্রো ক্রাভিওটো বলেন, স্বাস্থ্য সুরক্ষায় প্রথম লক্ষ্য গুরুতর অসুস্থ ও মৃত্যু কমানো। প্রথম দুই ডোজ নিশ্চিত করতে তা অনেকটাই কমে। কিন্তু বুস্টার ডোজের দিকে মনোযোগ বেশি দেওয়ায় প্রথম দুই ডোজই নিশ্চিত করা হয়নি। এতে ওমিক্রন ধরন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে।