ইউক্রেনে নির্মিত দীর্ঘ-পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র তৈরিতে অর্থায়ন করবে জার্মানি। আজ মঙ্গলবার জার্মানির রাজধানী বার্লিনে অনুষ্ঠিত এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এই কথা জানান জার্মান চ্যান্সেলর ফ্রিডরিখ মের্ৎস এবং সফররত ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি।
সংবাদ সম্মেলনে মের্ৎস বলেন, ‘আমি এখানে বিস্তারিত কিছু বলব না, তবে এটুকু বলতে পারি, আমাদের সামরিক সহায়তা অব্যাহত থাকবে এবং তা আরও বিস্তৃত হবে যেন ইউক্রেন নিজেকে রক্ষা করতে পারে।’ তিনি আরও জানান, ইউক্রেনকে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক স্টারলিংক সেবা দেওয়ার জন্য অর্থায়ন করা হবে এবং দুই দেশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়গুলোর মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হবে দীর্ঘ-পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র নিয়ে।
মের্ৎস বলেন, ‘ক্ষেপণাস্ত্রের পাল্লার ওপর কোনো সীমাবদ্ধতা থাকছে না, যেন ইউক্রেন নিজের সীমান্তের বাইরেও নিজেকে রক্ষা করতে পারে।’ তিনি জোর দিয়ে বলেন—জার্মানি ইউক্রেনের জন্য একটি স্থায়ী শান্তি চায়।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, জার্মানির এই উদ্যোগ ইউক্রেনকে নিজেদের অস্ত্র উৎপাদনের সক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করবে। যদিও বহুদিন ধরে জার্মানির কাছে টরাস ক্ষেপণাস্ত্র চাইছিল ইউক্রেন। তবে এই ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহের বিষয়টি এবারও নিশ্চিত করা হয়নি। নিরাপত্তা বিশ্লেষক মাইকেল ক্লার্ক বলেছেন, ‘জার্মানি সরাসরি বলছে না তারা টরাস ক্ষেপণাস্ত্র দিচ্ছে, কিন্তু এর মানে এই নয় যে, তারা দিচ্ছে না।’
ক্লার্কের মতে, ভবিষ্যতে হয়তো চুপিসারে এই ক্ষেপণাস্ত্র হস্তান্তর করা হবে, এবং সেটা ইউক্রেন ব্যবহার করার সময় প্রকাশ পাবে।
এদিকে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র তৈরিতে ইউক্রেনকে জার্মানির অর্থ সহায়তা দেওয়ার বিষয়টিকে হুমকি হিসেবে দেখছে রুশ কর্তৃপক্ষ। এই সিদ্ধান্ত অভিযানের উত্তেজনা আরও উসকে দেবে বলে মন্তব্য করেছে মস্কো। রাশিয়ার মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেছেন, ‘এটি একটি অত্যন্ত বিপজ্জনক প্রবণতা এবং জার্মানির দায়িত্বজ্ঞানহীন অবস্থান।’
জার্মানির এই পদক্ষেপ ইউক্রেন যুদ্ধে নতুন মোড় আনতে পারে বলে ধারণা করছেন বিশ্লেষকেরা।