বিশ্বের সাত বৃহৎ অর্থনৈতিক দেশের জোট জি-৭ সম্মেলনে অংশ নিতে জাপানের হিরোশিমায় জড়ো হয়েছেন নেতারা। জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা তাঁর নিজ শহর হিরোশিমায় অপর ছয় সদস্য দেশের নেতাদের স্বাগত জানিয়েছেন। এবারের সম্মেলনে আলোচ্যসূচির শীর্ষে থাকবে ইউক্রেন-রাশিয়া সংকট। আর এ ক্ষেত্রে ইউক্রেনে আগ্রাসন বন্ধে রাশিয়াকে কীভাবে আরও চাপ দেওয়া যায়, সে বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া হবে।
আল জাজিরার প্রতিবেদনে জানা যায়, এরই মধ্যে রাশিয়ার ওপর আরও ৩০০ নতুন নিষেধাজ্ঞার পরিকল্পনা করছে যুক্তরাষ্ট্র। জি-৭ সম্মেলনে এই নিষেধাজ্ঞার পরিকল্পনা উত্থাপন করা হবে। পশ্চিমা দেশগুলো এবং দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপান ইতিমধ্যে রাশিয়ার ওপর কিছু নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। ধারণা করা হচ্ছে, হিরোশিমার সম্মেলনে এ বিষয়গুলো আরও কঠোর হবে।
রাশিয়ান নিষেধাজ্ঞা সম্পর্কিত আন্তর্জাতিক ওয়ার্কিং গ্রুপের সদস্য র্যাচেল লুকাসজ মনে করেন, পরবর্তী পদক্ষেপের জন্য অবশ্যই এখনো অনেক জায়গা রয়েছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রশাসনের একজন সিনিয়র কর্মকর্তা সাংবাদিকদের বলেছেন, ওয়াশিংটন ৭০টি রাশিয়ান সংস্থাকে লক্ষ্য করে ৩০০ নতুন নিষেধাজ্ঞার পরিকল্পনা করছে। একই সঙ্গে আরও অনেক দেশ ও অঞ্চলকে কালো তালিকায় রাখা হবে বলে জানান তিনি।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক বলেছেন, হিরার ওপর নিষেধাজ্ঞার পাশাপাশি রাশিয়ান তামা, অ্যালুমিনিয়াম ও নিকেল আমদানি নিষিদ্ধ করবে তাঁর দেশ। এ ছাড়া রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে সম্পৃক্ত ৮৬ ব্যক্তি ও সংস্থার ওপরও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবে যুক্তরাজ্য।
এদিকে, জি-৭-এর সম্মেলনে যোগ দেবেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। জোটের সদস্য না হওয়া সত্ত্বেও অংশ নিচ্ছেন তিনি।