হোম > বিশ্ব > যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা

মার্কিন ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার তালিকায় যোগ হতে পারে ৩০টির বেশি দেশ

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­

মার্কিন ডিপার্টমেন্ট অব হোমল্যান্ড সিকিউরিটির (ডিএইচএস) প্রধান ক্রিস্টি নোয়েম। এএফপি

যুক্তরাষ্ট্র তার ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার আওতাভুক্ত দেশের সংখ্যা আরও বাড়াতে যাচ্ছে। নিরাপত্তা জোরদারের অংশ হিসেবে বর্তমান তালিকায় নতুন আরও কিছু দেশ যুক্ত হওয়ার সম্ভাবনার কথা জানিয়েছেন ডিপার্টমেন্ট অব হোমল্যান্ড সিকিউরিটির (ডিএইচএস) প্রধান ক্রিস্টি নোয়েম। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) ফক্স নিউজের ‘দ্য ইনগ্রাহাম অ্যাঙ্গেল’–এ দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বিষয়টি তুলে ধরেন।

সাক্ষাৎকারে নোয়েমকে প্রশ্ন করা হয়, ট্রাম্প প্রশাসন ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার তালিকায় থাকা দেশের সংখ্যা ৩২-এ উন্নীত করতে যাচ্ছে কিনা। জবাবে তিনি সুনির্দিষ্ট সংখ্যা না জানালেও বলেন, ‘সংখ্যা ৩০-এর বেশি হবে এবং প্রেসিডেন্ট বিভিন্ন দেশ নিয়ে বিবেচনা চালিয়ে যাচ্ছেন।’

চলতি বছরের জুনে সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এক নির্বাহী আদেশে ১২টি দেশের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ নিষিদ্ধ করেন এবং আরও ৭টি দেশের ওপর ভ্রমণ সীমাবদ্ধতা আরোপ করেন। বিদেশি সন্ত্রাসী ও নিরাপত্তা ঝুঁকি ঠেকাতে এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল বলে দাবি করে প্রশাসন। এই নিষেধাজ্ঞা শুধু অভিবাসনের জন্য আবেদনকারীদের নয়, পর্যটক, ব্যবসায়ী এবং শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হবে।

ক্রিস্টি নোয়েম জানান, যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশাধিকার পাওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট দেশের সরকারের স্থিতিশীলতা ও পরিচয় যাচাই ব্যবস্থার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘যদি কোনো দেশের স্থিতিশীল সরকার না থাকে এবং তারা তাদের নাগরিকদের পরিচয় নিশ্চিত করতে না পারে, তাহলে কেন আমরা সেই দেশের মানুষকে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করতে দেব?’

ইতিপূর্বে রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, ট্রাম্প প্রশাসন আরও ৩৬টি দেশের নাগরিকদের ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা বিবেচনা করছে।

গত সপ্তাহে ওয়াশিংটন ডিসিতে দুই ন্যাশনাল গার্ড সদস্যকে হত্যার ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তা নীতি আরও কঠোর হওয়ার প্রেক্ষাপট তৈরি হয়। ঘটনাটির সঙ্গে অভিযুক্ত আফগান নাগরিক ২০২১ সালে যুক্তরাষ্ট্রে পুনর্বাসন কর্মসূচির অংশ হিসেবে প্রবেশ করেছিলেন, যা নিয়ে প্রশাসনের মধ্যে নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে।

এদিকে অভিবাসন অধিকার সংগঠন ও আইনপ্রণেতারা এই সিদ্ধান্তকে কঠোর ও বৈষম্যমূলক বলে সমালোচনা করছেন। তাঁদের অভিযোগ, এই নীতি অভিবাসন প্রক্রিয়াকে অকারণে স্থবির করছে এবং এমনকি কিছু ক্ষেত্রে নাগরিকত্ব প্রদানের অনুষ্ঠানও বাতিল করা হচ্ছে।

অভিবাসন বিষয়ে ট্রাম্প প্রশাসনের এই নতুন পদক্ষেপ যুক্তরাষ্ট্রে আগ্রহী অনেক আবেদনকারীর ভবিষ্যৎকে অনিশ্চিত করে তুলেছে।

আদালতে শিনজো আবের পরিবারের কাছে ক্ষমা চাইলেন হত্যায় অভিযুক্ত

দিল্লি সফর: ১০০ বিলিয়ন ডলারের বাণিজ্য চান পুতিন

বিমানে শালীন পোশাকের পরামর্শ মার্কিন মন্ত্রীর—প্রতিবাদে ‘অশালীন’ যাত্রীরা

মার্কিন হামলায় বেঁচে যাওয়া দুজনকে দ্বিতীয় আঘাতে হত্যা—ভিডিও ফাঁসে হইচই

পুতিনের নৈশভোজে যোগ দেবেন শশী থারুর, আমন্ত্রণ পাননি রাহুল

সিরিয়ায় নতুন বিদ্রোহের প্রস্তুতি—নেপথ্যে আসাদের নির্বাসিত গোয়েন্দাপ্রধান ও চাচাতো ভাই

পুতিনের হাতে ভগবদ্গীতা তুলে দিলেন মোদি

অস্ট্রেলিয়ায় ‘এশিয়ান এল চ্যাপোকে’ ১৬ বছরের কারাদণ্ড

ভিত্তিহীন অভিযোগে হার্ভার্ডের অধ্যাপককে গ্রেপ্তার করল মার্কিন অভিবাসন কর্তৃপক্ষ

পুতিনের দিল্লি সফর: ভারসাম্য রক্ষার কৌশলে ভারত, অস্ত্র–তেল বিক্রি বাড়াতে চায় রাশিয়া