হোম > বিশ্ব > এশিয়া

নববর্ষের ভাষণে তাইওয়ানকে ফের চীনের সঙ্গে একীভূত করার অঙ্গীকার করলেন সি চিন পিং

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­

চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং। ছবি: এপির সৌজন্যে

ইংরেজি নববর্ষের (২০২৬) প্রাক্কালে দেশবাসীর উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে তাইওয়ানকে চীনের মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে পুনরায় একীভূত করার দৃঢ় অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন চীনা প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং। আজ বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় বেইজিং থেকে প্রচারিত ভাষণে সি বলেছেন, মাতৃভূমির পুনর্মিলন সময়ের দাবি এবং এটি একটি অপ্রতিরোধ্য ধারা, যা কেউ থামাতে পারবে না।

তাইওয়ানকে ঘিরে চীনের বিশাল সামরিক মহড়া ‘জাস্টিস মিশন ২০২৫’ শেষ হওয়ার মাত্র এক দিন পর সি চিন পিংয়ের এই কড়া বার্তা এল। উল্লেখ্য, চীন তাইওয়ানকে নিজের অবিচ্ছেদ্য অংশ বলে দাবি করে এবং প্রয়োজনে শক্তি প্রয়োগ করে তা দখলের হুমকি দিয়ে আসছে।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সি চিন পিংয়ের ভাষণের আগে গত সোমবার ও গতকাল মঙ্গলবার তাইওয়ান ঘিরে নজিরবিহীন সামরিক মহড়া চালায় চীনের পিপলস লিবারেশন আর্মি (পিএলএ)। তাইওয়ানের প্রধান বন্দরগুলো অবরোধের অনুকরণে এই মহড়া চালায় পিএলএ। এতে চীনা নৌবাহিনী, বিমানবাহিনী ও কোস্ট গার্ড অংশ নেয়।

এক বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ ৮৯টি যুদ্ধবিমান এই মহড়ায় অংশ নেয়। সামরিক বিশ্লেষকদের মতে, তাইওয়ানের কাছে যুক্তরাষ্ট্রের সাম্প্রতিক রেকর্ড ১১ দশমিক ১ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র বিক্রির প্রতিবাদেই বেইজিং এই কঠোর অবস্থান নিয়েছে।

আজ বুধবার সন্ধ্যায় বেইজিংয়ে দেওয়া ভাষণে সি বলেন, চীন ‘খোলা বাহুতে বিশ্বকে আলিঙ্গন করছে’। তিনি এ বছর বেইজিংয়ে আয়োজিত কয়েকটি বহুপক্ষীয় সম্মেলনের কথাও তুলে ধরেন। এর মধ্যে আগস্টে অনুষ্ঠিত সাংহাই কো-অপারেশন সামিটের কথা উল্লেখ করেন, যেখানে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানসহ বিশ্বনেতারা অংশ নেন। সম্মেলনটি বেইজিংয়ের কাছের বন্দরনগরী তিয়েনচিনে অনুষ্ঠিত হয়।

সির ভাষণের সময় চীনের রাষ্ট্রীয় টিভিতে গত সেপ্টেম্বরের বিশাল সামরিক প্যারেডের দৃশ্য দেখানো হয়, যেখানে সি চিন পিংয়ের পাশে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও উত্তর কোরিয়ার কিম জং উনকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। পশ্চিমা বিশ্লেষকেরা এই জোটকে ‘অ্যাক্সিস অব আপহিভ্যাল’ বা অস্থিরতার অক্ষ হিসেবে অভিহিত করছেন।

ভাষণে সি চিন পিং ‘তাইওয়ান রেট্রোসেশন ডে’ বা তাইওয়ান প্রত্যাবর্তন (২৫ অক্টোবর) দিবসের গুরুত্ব তুলে ধরেন। ১৯৪৫ সালের এই দিনেই তাইওয়ানে জাপানি ঔপনিবেশিক শাসনের অবসান হয়। তবে চীন এখন এ দিনকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে বলে অভিযোগ করেছেন তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট লাই চিংতে।

সির ভাষণে চীনের উচ্চপ্রযুক্তি খাতে অগ্রগতির কথাও তুলে ধরা হয়। তিনি কিকবক্সিং রোবট এবং মে মাসে উৎক্ষেপণ করা ধূমকেতু অনুসন্ধান মিশন ‘তিয়ানওয়েন-২’-এর কথা উল্লেখ করেন। পাশাপাশি ভিডিও গেম ব্ল্যাক মিথ: উকং এবং অ্যানিমেটেড সিনেমা ‘নে ঝা ২’-এর সাফল্যের কথা উল্লেখ করে চীনা সংস্কৃতির জয়গান করেন।

ট্রাম্পের বাঁ হাতে নতুন কালশিটে দাগ, ফের আলোচনায় প্রেসিডেন্টের স্বাস্থ্য

দক্ষিণ আফ্রিকায় ঐতিহ্যবাহী গণখতনা, সংক্রমণ ও পানিশূন্যতায় মৃত্যু ৪১

ব্রিটেনের রানি ক্যামিলাও যৌন নিপীড়নের শিকার হয়েছিলেন

নির্বাচনে প্রথম ধাপে ভোট পড়েছে ৫২ শতাংশ, দাবি মিয়ানমারের জান্তা সরকারের

ভারতে চলন্ত গাড়িতে ২ ঘণ্টা দলবদ্ধ ধর্ষণের পর ছুড়ে ফেলা হলো রাস্তায়

জার্মানিতে হলিউড স্টাইলে ডাকাতি, ব্যাংকের ভল্ট কেটে ৩ কোটি ইউরো লুট

গাজা-পশ্চিম তীরের ৩৭ ত্রাণ সংস্থার লাইসেন্স ১ জানুয়ারি থেকে স্থগিত করেছে ইসরায়েল

ইয়েমেন সংঘাতে মুখোমুখি অবস্থানে সৌদি ও আরব আমিরাত

‘২০২৫’ নিয়ে ১৯৯৮ সালে করা আমেরিকানদের ভবিষ্যদ্বাণী কতটুকু মিলেছে

পুতিনের বাসভবনে ড্রোন হামলার অভিযোগ—‘মিথ্যা’ বলছে ইউক্রেন