হোম > বিশ্ব > যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা

বড় কোম্পানি থেকে ‘ভারতীয় নির্মূলের’ আহ্বান মার্কিন জরিপকারীর, সমালোচনার ঝড়

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­

যুক্তরাষ্ট্রের বিশিষ্ট ভাষ্যকার ও জরিপকারী মার্ক মিশেল। ছবি: এনডিটিভি

বড় মার্কিন কোম্পানিগুলোকে ‘ডি-ইন্ডিয়ানাইজ’ করা বা কোম্পানিগুলো থেকে ‘ভারতীয় নির্মূলের’ আহ্বান জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের বিশিষ্ট ভাষ্যকার ও জরিপকারী মার্ক মিশেল। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে তিনি আরও জানান, এ প্রক্রিয়ায় সহায়তা করতে একটি নতুন পরামর্শক প্রতিষ্ঠান গড়তে চান তিনি। এ মন্তব্যে মার্কিন প্রযুক্তি খাতে ভারতীয় পেশাজীবীদের ভূমিকা নিয়ে নতুন আলোচনা তৈরি হয়েছে এবং ভারতীয়দের মধ্যে সমালোচনার ঝড় উঠেছে।

মিশেল লিখেছেন, ‘আমার জীবনে কখনো কিছু এভাবে চাইনি। বড় বড় করপোরেশনকে ডি-ইন্ডিয়ানাইজ করতে সাহায্য করার জন্য নতুন করপোরেট পরামর্শক প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে চাই আমি।’

কয়েক দিন আগে একটি পডকাস্টে যুক্তরাষ্ট্রে এইচ–১বি ভিসা কর্মসূচির আওতায় ভারতীয় পেশাজীবীদের ক্রমবর্ধমান উপস্থিতি নিয়ে সমালোচনা করেছিলেন র‍র‍্যাসমুসেন রিপোর্টসের প্রধান জরিপকারী মিশেল।

৮ ডিসেম্বর প্রচারিত ‘দ্য ওয়্যার রুম’ নামে ওই পডকাস্টে স্টিফেন ব্যাননের সঙ্গে আলোচনায় মিশেল এইচ-১বি ভিসা কর্মসূচিতে ভারতীয়দের প্রাধান্য নিয়ে তীব্র সমালোচনা করেন। তিনি দাবি করেন, অ্যাপলের মতো বড় প্রতিষ্ঠানে কর্মরত একজন সিনিয়র এইচ-১বি ডেভেলপারকে দেশে ফেরানো অর্থনৈতিকভাবে ১০ জন বেআইনি অভিবাসীকে বহিষ্কারের সমান।

মিশেল বলেন, ‘অ্যাপলে থাকা প্রতিটি এইচ-১বি সিনিয়র ডেভেলপারকে যদি আমরা ফেরত পাঠাই, সেটি অর্থনৈতিক দিক থেকে সম্ভবত ১০ জন বেআইনি অভিবাসীকে দেশছাড়া করার সমান হবে। তাই এটা আমরা এখনো কেন করিনি, বুঝতে পারছি না। আর হ্যাঁ, অনেকেই এন্ট্রি লেভেলের, কিন্তু অনেকে বিপুল পরিমাণ অর্থও আয় করছে।’

এসব কারণে ১ কোটি ২০ লাখ মার্কিন প্রযুক্তিকর্মী বেকার হয়ে পড়েছেন বলে দাবি এই মার্কিন জরিপকারীর। তিনি মনে করেন, ‘বিদেশি শ্রমশক্তি’ সিলিকন ভ্যালিকে ‘ইন্ডিফাই’ বা ‘ভারতীয়করণ’ করেছে।

মিশেল আরও বলেন, সিলিকন ভ্যালিতে দেশের সবচেয়ে দামি রিয়েল এস্টেট রয়েছে। আর সেখানে কর্মশক্তির প্রায় দুই-তৃতীয়াংশই বিদেশে জন্ম নেওয়া। ওয়ালমার্টের ভবনগুলোতে ৮৫ থেকে ৯৫ শতাংশ ছিলেন ভারতীয় নাগরিক। তাঁরা এসব স্বর্ণসুযোগের পথ ধরে এসে চাকরিগুলো দখল করে নিচ্ছেন।

মিশেল আরও অভিযোগ করেন, শীর্ষ মার্কিন প্রযুক্তি কোম্পানিগুলো কম খরচের অভিবাসী শ্রমশক্তির ওপর নির্ভর করছে। তাঁর দাবি, কোম্পানিগুলো সিনিয়র মার্কিন ইঞ্জিনিয়ারদের এড়িয়ে যাচ্ছে, কারণ তাঁদের হাতে রয়েছে ‘তৃতীয় বিশ্বের তরুণ ইঞ্জিনিয়ারদের এক অন্তহীন ভান্ডার’।

মিশেল আরও বলেন, ‘আমার মতো যাদের পরিবার আছে, যাদের কিছুটা বেশি বেতন দিতে হয়, তাদের হয়তো দু-একবার বেতন বেড়েছে। আমার স্বাস্থ্যবিমার খরচও একটু বেশি। আমাদের খুব সহজেই প্রতিস্থাপন করা যায় আর আমাকে দিয়েই আমার বিকল্পজনকে প্রশিক্ষণ করানো যায়।’

মিশেল বলেন, ‘একজন এইচ-১বি ডেভেলপার, যিনি ৯০ হাজার ডলার আয় করেন, তাঁকে আনা মানে ঘণ্টায় ৯ ডলার করে আয় করা ১০জন আনডকুমেন্টেড শ্রমিককে আমদানি করার সমান।’

সম্প্রতি প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে দেখা গেছে, মার্কিন প্রযুক্তি খাতের প্রায় ৬৬ শতাংশ কর্মী বিদেশি। এর মধ্যে ২৩ শতাংশ ভারতীয় এবং ১৮ শতাংশ চীনা। এই প্রতিবেদনের প্রতিক্রিয়ায় মিশেল এ মন্তব্য করেন।

এদিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছে মিশেলের ‘ডি-ইন্ডিয়ানাইজ’ মন্তব্য। তিনি ‘বর্ণবাদী’ মন্তব্য করেছেন বলে অনেকে অভিযোগ তোলেন।

এক্সে এক ব্যবহারকারী লেখেন, ‘আপনি যদি বলতেন, বড় মার্কিন কোম্পানিগুলোকে “ডি-জিউ” করতে চান, তবে আপনার কোনো ক্যারিয়ারই থাকত না। কিন্তু মার্কিন রক্ষণশীল মহলে একটি “মডেল মাইনরিটি”র বিরুদ্ধে সরাসরি বর্ণবাদী হওয়া যেন স্বাভাবিক।’

অন্য একজন লিখেছেন, ‘খেয়াল করুন, এই মানুষটি এইচ–১বি থেকে সরাসরি “ইন্ডিয়ানস”-এ চলে গেছেন। মানে যুক্তরাষ্ট্রে জন্ম নেওয়া দ্বিতীয় প্রজন্মের ভারতীয়–আমেরিকানদেরও তিনি বঞ্চিত করতে চান।’

আরেকজন মন্তব্য করেছেন, ‘ভাবুন তো, অন্য কোনো জাতিগোষ্ঠীকে নিয়ে কেউ এমন কথা বললে কী হতো। তাই হয়তো আপনার চাকরির সুযোগ এত সীমিত।’

লোকলজ্জার ভয় ও মার্কিন অর্থায়ন হ্রাস, পাপুয়া নিউগিনিতে এইচআইভি এখন ‘জাতীয় সংকট’

খড়্গহস্ত ট্রাম্প: মাদুরোর পাশে থাকবেন পুতিন ও লুকাশেঙ্কো

স্কুলে কিশোরীদের হেডস্কার্ফ পরা নিষিদ্ধ করল অস্ট্রিয়া

যুক্তরাজ্যে ভারতীয়সহ ৬০০ ঔপনিবেশিক প্রত্নবস্তু চুরি, দুই মাস পর জানাল পুলিশ

ভারতীয় কারিগরদের তৈরি চপ্পল লাখ টাকায় বিক্রি করবে প্রাডা

গর্ভে সন্তান আছে কি না পরীক্ষা করে ভিসা দেবে যুক্তরাষ্ট্র

মোদি-ট্রাম্প ফোনালাপ

এবার ভারতের ওপর মেক্সিকোর ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ, বিলিয়ন ডলার ক্ষতির আশঙ্কা

আমরাই রাশিয়ার পরবর্তী লক্ষ্য—বার্লিনে ন্যাটো মহাসচিবের সতর্কবার্তা

বুলগেরিয়ায় গণবিক্ষোভের মুখে ক্ষমতা ছাড়ল জেলিয়াজকভের সরকার