হোম > বিশ্ব > যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা

ভারত বলছে, ফোনালাপ হয়নি, জবাবে ট্রাম্প বললেন—তাহলে ওরা শুল্ক দিতে থাক

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, ভারত যদি রাশিয়ার তেল কেনা বন্ধ না করে তাহলে দেশটিকে বড় শুল্ক দিয়েই যেতে হবে। ছবি: সংগৃহীত

কিছুদিন আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেছিলেন, তাঁর সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কথা হয়েছে। সেখানে মোদি তাঁকে আশ্বাস দিয়েছেন, ভারত আর রাশিয়ার তেল কিনবে না। তবে ভারত এই দাবি অস্বীকার করেছে। জবাবে ট্রাম্প বলেছেন, ‘ভারত যদি এই কথা বলতে চায়, তাহলে তাদের বিশাল অঙ্কের শুল্ক দিয়েই যেতে হবে।’

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, স্থানীয় সময় গতকাল রোববার ডোনাল্ড ট্রাম্প আবারও দাবি করেছেন—ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তাঁকে জানিয়েছেন, ভারত রাশিয়া থেকে তেল কেনা বন্ধ করবে। তবে ট্রাম্প সতর্ক করে বলেছেন, ‘যদি ভারত তা না করে, তাহলে “ভয়ংকর” শুল্ক গুনতে হবে।’

এয়ার ফোর্স ওয়ানে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে ট্রাম্প বলেন, ‘আমি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে কথা বলেছি। তিনি আমাকে বলেছেন, রাশিয়ার তেলের ব্যাপারে তাঁরা আর এগোবেন না।’ এ সময় সাংবাদিকেরা তাঁকে স্মরণ করিয়ে দেন, ভারত তো বলছে—মোদি ও ট্রাম্পের মধ্যে এমন কোনো কথা হয়নি। তখন ট্রাম্প বলেন, ‘তারা যদি সেটা বলতে চায়, তাহলে তারা বিশাল অঙ্কের শুল্ক দিয়েই যেতে থাকবে। তারা নিশ্চয়ই সেটা চায় না।’

রাশিয়ার তেল কেনার বিষয়টি ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে ভারতের দীর্ঘদিনের বাণিজ্য আলোচনার অন্যতম বড় বিরোধের জায়গা। ভারতের পণ্যের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের আরোপিত ৫০ শতাংশ শুল্কের অর্ধেকই এই তেল কেনার প্রতিশোধস্বরূপ বলে জানান ট্রাম্প। যুক্তরাষ্ট্রের মতে, তেল বিক্রির অর্থই রাশিয়ার ইউক্রেন যুদ্ধের তহবিল হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। ২০২২ সালে ইউক্রেন আক্রমণের পর পশ্চিমা দেশগুলো যখন রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয় এবং রাশিয়ার তেল কেনা বন্ধ করে, তখন ছাড়ে বিক্রি হওয়া সেই তেলের সবচেয়ে বড় ক্রেতায় পরিণত হয় ভারত।

গত বুধবার ট্রাম্প দাবি করেছিলেন, সেদিনই মোদি তাঁকে আশ্বাস দিয়েছেন—ভারত রাশিয়ার তেল কেনা বন্ধ করবে। তবে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ওই দিন মোদি ও ট্রাম্পের মধ্যে কোনো ফোনালাপ হয়েছে বলে তারা জানে না। তাদের ভাষায়, ‘ভারতের মূল উদ্বেগ হলো ভারতীয় ভোক্তার স্বার্থ রক্ষা করা।’

হোয়াইট হাউসের এক কর্মকর্তা বৃহস্পতিবার বলেন, ভারত রাশিয়ার তেল আমদানি অর্ধেকে নামিয়েছে। তবে ভারতীয় সূত্রগুলো জানিয়েছে, এখনো কোনো তাৎক্ষণিক হ্রাস দেখা যায়নি। তাদের মতে, ভারতীয় রিফাইনারিগুলো নভেম্বরে জাহাজে তেল পাঠানোর অর্ডার আগেই দিয়ে ফেলেছে, যার কিছু ডিসেম্বরেও পৌঁছাবে। তাই আমদানি কমার প্রভাব দেখা যেতে পারে ডিসেম্বর বা জানুয়ারির পরিসংখ্যানে।

কমোডিটি ডেটা সংস্থা কেপলারের হিসাব অনুযায়ী, রাশিয়া যখন ইউক্রেনীয় ড্রোন হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত রিফাইনারি পুনরায় চালু করে রপ্তানি বাড়াচ্ছে, তখন চলতি মাসে ভারতের রাশিয়া থেকে তেল আমদানি প্রায় ২০ শতাংশ বেড়ে দৈনিক ১৯ লাখ ব্যারেলে পৌঁছাতে পারে।

তিন বাহিনীর প্রধান হয়েই পাকিস্তানকে ‘অনন্য উচ্চতায়’ পৌঁছানোর ঘোষণা আসিম মুনিরের

ইসরায়েলকে অংশগ্রহণ করতে দেওয়ায় ইউরোভিশন বয়কট ৪ দেশের

খুবই সাধারণ খাবার খান পুতিন, দেশে-বিদেশে খাদ্যতালিকায় যা থাকে

মার্কিন নাগরিকদের অবিলম্বে ভেনেজুয়েলা ছাড়তে বলল স্টেট ডিপার্টমেন্ট

আরও ক্ষমতাধর আসিম মুনির, হলেন পাকিস্তানের তিন বাহিনীর প্রথম প্রধান

যুক্তরাষ্ট্র আমাদের জ্বালানি কিনতে পারলে, ভারত কেন পারবে না—প্রশ্ন পুতিনের

ইন্ডিগোতে ফ্লাইট বিপর্যয়: এক দিনে বাতিল ৫৫০-এর বেশি ফ্লাইট

গাজায় হামাসবিরোধী ইসরায়েলি প্রক্সি গোষ্ঠীর নেতা ইয়াসির আবু শাবাব নিহত, কে তিনি

মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা—জনসংখ্যার তীব্র সংকটে ইউক্রেন

বাংলাদেশি ও পাকিস্তানি শিক্ষার্থী ভর্তি স্থগিত করেছে যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়