হোম > বিশ্ব > ইউরোপ

পুতিনের প্রস্তাবে সতর্ক জেলেনস্কি

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­

ইউক্রেনের কিয়েভে প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির সঙ্গে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ের স্টারমার ও ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ। ছবি: এএফপি

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনের সঙ্গে সরাসরি শান্তি আলোচনার প্রস্তাব দেওয়ার পর, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি সতর্ক মনোভাব দেখিয়েছেন। রোববার জেলেনস্কি জানান, ইউক্রেন আলোচনার জন্য প্রস্তুত শুধুমাত্র যদি রাশিয়া আগেই যুদ্ধবিরতির জন্য সম্মত হয়।

শনিবার রাত দেড়টায় এক টেলিভিশন ভাষণে নিজের প্রস্তাবের কথা জানান পুতিন। এ সময় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প উভয় পক্ষের প্রতি ৩০ দিনের যুদ্ধবিরতি চেয়ে ট্রুথ সোশ্যাল-এ একটি পোস্ট করেন, যা শান্তির জন্য একটি বড় সুযোগ হতে পারে বলে তিনি মন্তব্য করেন।

পুতিন বলেছিলেন—তিনি সরাসরি কোনো শর্ত ছাড়াই আলোচনার প্রস্তাব দিয়েছেন। তবে ক্রেমলিনের সহকারী ইউরি উশাকভ পরে জানান, আলোচনায় ২০২২ সালের একটি ত্রুটিপূর্ণ শান্তি চুক্তি এবং বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় নেয়া হবে। এর মানে হলো—ইউক্রেনের স্বীকৃতির বিনিময়ে রাশিয়া তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে এবং ইউক্রেনের কিছু অঞ্চল রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণে থাকবে।

রোববার রাতে রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেন আক্রমণ শুরু করার পর রাশিয়া এবং পশ্চিমের মধ্যে উত্তেজনা তীব্র হয়েছে। ইউক্রেনের যুদ্ধের কারণে বহু মানুষের মৃত্যু হয়েছে এবং পশ্চিমা শক্তি রাশিয়ার বিরুদ্ধে কঠোর প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে।

পুতিন তাঁর প্রস্তাবে জানিয়েছিলেন, তারা তুরস্কে নতুন যুদ্ধবিরতি এবং শান্তির জন্য আলোচনা করতে প্রস্তুত। তবে জেলেনস্কি বলেছেন, রাশিয়া যদি শান্তির শুরু হিসেবে একটি পূর্ণাঙ্গ এবং স্থায়ী যুদ্ধবিরতির ঘোষণা না দেয়, তাহলে আলোচনা সম্ভব নয়।

এদিকে, ট্রাম্প এক টুইটে বলেছেন, ‘এমন এক অবিরাম রক্তপাতের পরিণতি যাতে শেষ হয়, তা ভাবুন।’ ইউরোপীয় বড় শক্তিগুলোও শনিবার কিয়েভে পুতিনকে ৩০ দিনের শর্তহীন যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছিল। কিন্তু পুতিন তা নাকচ করে দিয়ে বলেন, শান্তির আলোচনা শুরুর আগে যুদ্ধের মূল কারণগুলো আলোচনায় আনতে হবে।

ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ পুতিনের প্রস্তাবকে একটি ‘প্রাথমিক পদক্ষেপ’ বলে অভিহিত করেছেন। তবে তিনি মনে করেন, এটি যথেষ্ট নয় এবং যুদ্ধবিরতির জন্য কোনো পূর্বশর্ত হওয়া উচিত নয়। পুতিন এর আগেও একাধিক যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দিয়েছিলেন, তবে সেগুলোর কোনোটি বাস্তবায়িত হয়নি।

এদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও পুতিনের শর্তগুলো নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে বলেছেন, যুদ্ধবিরতি আগে হওয়া উচিত, তারপর শান্তি আলোচনা শুরু হওয়া উচিত।

ইসরায়েল কেন প্রথম দেশ হিসেবে সোমালিল্যান্ডকে স্বীকৃতি দিল

২০২৫ সালের সেরা সিইও কে

এবার ট্রাম্প ও জেলেনস্কির বৈঠক—কী আছে সর্বশেষ ২০ দফা শান্তি প্রস্তাবে

৪০ শতাংশ জার্মান মনে করেন মার্জের সরকার টিকবে না

যুক্তরাষ্ট্র, ইসরায়েল ও ইউরোপের সঙ্গে ‘পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধে’ আছে ইরান: পেজেশকিয়ান

যে কৌশলে রুশ ধনকুবেরদের কণ্ঠরোধ করেছেন পুতিন

হাদির খুনিদের দুই সাহায্যকারীকে আটকের দাবি নাকচ করল মেঘালয় পুলিশ

সহিংসতা ও প্রত্যাখ্যানের মধ্যে মিয়ানমারে চলছে ‘প্রহসনের’ নির্বাচন

ধর্ষণের শিকার নারীকে বিজেপি নেত্রীর স্বামী বললেন, ‘আমার কিছুই হবে না’

জাপানে তুষারপাতে পিচ্ছিল রাস্তায় ৫০টি গাড়ির সংঘর্ষ, নিহত ২