ইথিওপিয়ার কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে সশস্ত্র রাজনৈতিক দল তাইগ্রে পিপলস লিবারেশন ফ্রন্টের (টিপিএলএফ) যুদ্ধে অঞ্চলটির ৪ লাখের বেশি মানুষ দুর্ভিক্ষের শিকার হয়েছে। তাইগ্রে অঞ্চলের ৩৩ হাজার শিশু ভুগছে তীব্র অপুষ্টিতে। আজ শনিবার (৩ জুলাই) জাতিসংঘের কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এ কথা জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
তাইগ্রে সংকট নিয়ে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের প্রথম বৈঠকে সদস্য রাষ্ট্রগুলো জানায়, আট মাসব্যাপী চলা এই যুদ্ধ ও সংঘর্ষের কারণে আরও ১৮ লাখ মানুষ দুর্ভিক্ষের মধ্যে পড়ার ঝুঁকিতে রয়েছে।
জাতিসংঘের মানবিক সহায়তা বিভাগের ভারপ্রাপ্ত প্রধান কর্মকর্তা রমেশ রাজসিংহাম বলেন, প্রায় ৫২ লাখ মানুষের মানবিক সহায়তা প্রয়োজন। যাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু।
যুদ্ধবিরতির ঘোষণা এলেও উভয়পক্ষ ফের সংঘর্ষে জড়াতে পারে বলে সতর্ক করেছে জাতিসংঘ।
গত সোমবার (২৮ জুন) তাইগ্রে প্রদেশে সাময়িক যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করে ইথিওপিয়ার কেন্দ্রীয় সরকার। যুদ্ধবিরতির ঘোষণায় বলায় হয়, ‘কৃষি উৎপাদনের বিষয়টি বিবেচনা করে তাইগ্রে প্রদেশে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করছে কেন্দ্রীয় সরকার। ২৮ জুন থেকে এই যুদ্ধবিরতি কার্যকর হবে। কৃষি মৌসুম শেষ হওয়া পর্যন্ত এই যুদ্ধ বিরতি চলবে।’
একই দিনে অর্থাৎ গত সোমবার (২৮ জুন) তাইগ্রের রাজধানী মেকেলের দখল নেয় ইথিওপিয়ার কেন্দ্রীয় সরকারবিরোধী সশস্ত্র রাজনৈতিক দল তাইগ্রে পিপলস লিবারেশন ফ্রন্ট (টিপিএলএফ)।
গত শুক্রবার নিউ ইয়র্ক টাইমস জানায়, আটক কয়েক হাজার ইথিওপিয়ান সৈন্যকে তাইগ্রের রাজধানী মেকেলের রাস্তায় প্যারেড করানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, ইথিওপিয়ার কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে সশস্ত্র রাজনৈতিক দল তাইগ্রে পিপলস লিবারেশন ফ্রন্টের (টিপিএলএফ) যুদ্ধে এ পর্যন্ত কয়েক হাজার মানুষ নিহত হয়েছেন। বাস্তুচ্যুত হয়েছে ২০ লাখের বেশি মানুষ। উভয়পক্ষের বিরুদ্ধেই গণহত্যা ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ আছে।