হোম > বিশ্ব > আফ্রিকা

নাইজেরিয়ার গ্রামে সশস্ত্র গোষ্ঠীর হামলা, নিহত অন্তত ৫৫

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­

নাইজেরিয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় অঙ্গরাজ্য বর্নোর একটি গ্রামে সশস্ত্র গোষ্ঠীর হামলায় কমপক্ষে ৫৫ জন নিহত হয়েছে। ছবি: এএফপি

নাইজেরিয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় অঙ্গরাজ্য বর্নোর একটি গ্রামে সশস্ত্র গোষ্ঠীর হামলায় কমপক্ষে ৫৫ জন নিহত হয়েছে। কাতারি সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত শুক্রবার স্থানীয় সময় রাতে ক্যামেরুন সীমান্তের কাছে অবস্থিত দারুল জামা নামে একটি গ্রামে এ হামলা হয়।

হতাহতের প্রকৃত সংখ্যা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। সরকারপন্থী মিলিশিয়া কমান্ডার বাবাগানা ইব্রাহিম সংবাদ সংস্থা এএফপিকে জানিয়েছেন, মোট নিহত হয়েছেন ৫৫ জন, যাঁদের মধ্যে ছয়জন সেনাসদস্যও রয়েছে। এদিকে শনিবার সকাল পর্যন্ত ৭০ জনের মরদেহ উদ্ধার হয়েছে বলে গ্রামটির প্রথাগত প্রধান দারুল জামা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছেন। এখনো গ্রামবাসীর অনেকে নিখোঁজ রয়েছেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।

স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলোর তথ্য অনুযায়ী, কয়েক বছর ধরে বাস্তুচ্যুত থাকার পর সম্প্রতি গ্রামে ফিরেছিল বাসিন্দারা। আর তার পরই এমন নৃশংস হামলা হলো। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাতের বেলা কয়েকটি মোটরসাইকেলে করে গ্রামে প্রবেশ করে তারা। তাদের ভাষ্যমতে, এই হামলা চালিয়েছে ওই অঞ্চলের চিহ্নিত সশস্ত্র সংগঠন বোকো হারাম। এলোপাতাড়ি গুলি চালিয়ে যাকে সামনে পেয়েছে তাকেই হত্যা করেছে তারা। পাশাপাশি আগুন ধরিয়ে দিয়েছে বহু ঘরবাড়িতে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা আরও জানান, সশস্ত্ররা বাড়ি বাড়ি গিয়ে পুরুষদের হত্যা করেছে। তবে, নারীদের ছেড়ে দিয়েছে। গ্রামের প্রধান জামার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গ্রামের প্রায় ২০টি বাড়ি পুরোপুরি বিধ্বস্ত হয়ে গেছে।

নাইজেরিয়ার সেনাবাহিনী জানিয়েছে, বর্নো অঙ্গরাজ্যে সশস্ত্র গোষ্ঠী বোকো হারাম ও এর ভেঙে যাওয়া অংশ আইএসআইএলের (আইএসআইএস) ঘনিষ্ঠ গোষ্ঠী ‘আইএসডব্লিউএপি’র কার্যক্রম দমনে সাম্প্রতিক মাসগুলোতে তারা অভিযান জোরদার করেছে। নিরাপত্তা সূত্র উদ্ধৃত করে এএফপি জানিয়েছে, এলাকাটি বোকো হারামের এক কমান্ডার আলী নগুলদে’র নিয়ন্ত্রণে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সূত্রটি আরও জানায়, তিনিই দারুল জামা গ্রামে হামলার নেতৃত্ব দেন।

গ্রামের বাসিন্দা বাবাগানা মালা, যিনি সেনাদের সঙ্গে পালিয়ে ৪৬ কিলোমিটার দূরের বামা শহরে আশ্রয় নিয়েছেন। তিনি অভিযোগ করে বলেন, সেনাদের তিন দিন আগে থেকেই জানানো হয়েছিল যে বোকো হারাম গ্রামটির কাছে সমবেত হচ্ছে। কিন্তু কোনো অতিরিক্ত সেনা পাঠানো হয়নি।

২০০৯ সাল থেকে বোকো হারাম উত্তর-পূর্ব নাইজেরিয়ায় ‘খিলাফত’ প্রতিষ্ঠার নামে রক্তক্ষয়ী লড়াই চালিয়ে আসছে। এ পর্যন্ত প্রায় ৪০ হাজার মানুষ নিহত হয়েছে এবং ২০ লাখের বেশি মানুষ ঘরবাড়ি ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছে।

২০১৬ সালে সংগঠনটি ভেঙে বেরিয়ে আসে আইএসডব্লিউএপি। গবেষণা প্রতিষ্ঠান গুড গভর্ন্যান্স আফ্রিকার হিসাবে, ২০২৫ সালের প্রথম ছয় মাসে সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর হামলা আবার বেড়েছে। এই সময়ে প্রায় ৩০০টি হামলার ঘটনা ঘটে, যার বেশির ভাগই আইএসডব্লিউএপি করেছে। এসব হামলায় অন্তত ৫০০ বেসামরিক মানুষ নিহত হন।

ইসরায়েল কেন প্রথম দেশ হিসেবে সোমালিল্যান্ডকে স্বীকৃতি দিল

সোমালিল্যান্ডকে ইসরায়েলের স্বীকৃতি—‘রাষ্ট্রীয় আগ্রাসন’ আখ্যা দিয়ে প্রত্যাহারের দাবি সোমালিয়ার

নাইজেরিয়ায় হামলা: ‘বড়দিনের উপহার’ বলে উদ্‌যাপন ট্রাম্প প্রশাসনের, স্থানীয়রা বলছেন—‘কখনো আইএস দেখিনি’

প্রথম দেশ হিসেবে সোমালিল্যান্ডকে রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দিল ইসরায়েল

ট্রাম্পের নির্দেশে নাইজেরিয়ায় মার্কিন বাহিনীর হামলা

ফরাসি ঔপনিবেশিক শাসনকে ‘অপরাধ’ গণ্য করে আলজেরিয়ায় আইন পাস

নাইজেরিয়ায় ক্যাথলিক স্কুলের অপহৃত আরও ১৩০ শিক্ষার্থী মুক্ত

এবার জোহানেসবার্গের পানশালায় বন্দুকধারীদের গুলি, নিহত ৯

সুদানে যোদ্ধা পাঠাচ্ছে আরব আমিরাতের ঠিকাদার, ট্রাম্প নিষেধাজ্ঞা দিলেন কলম্বিয়ানদের

সোনা খুঁজতে গিয়েছিল দুই কিশোর, খনি ধসে চাপা পড়ে হলো মৃত্যু