করোনার ওমিক্রন ধরন দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কিছুটা ধ্বংস করতে পারলেও পুরোপুরি পারে না। আর এই ধরনে আক্রান্ত হলেও টিকা গুরুতর রোগ থেকে সুরক্ষা দেয়। নতুন এই ধরন নিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষ থেকে দেওয়া সর্বশেষ তথ্যে এমনটি জানা গেছে।
ওমিক্রন নিয়ে শঙ্কিত পুরো বিশ্ব। আশঙ্কা করা হচ্ছে, এই ধরন বিশ্বজুড়ে সংক্রমণ বাড়াবে। গত মঙ্গলবার পর্যন্ত বিশ্বের ১৫টি দেশে করোনার ওমিক্রন ধরনে আক্রান্ত রোগী পাওয়া গেছে। এরপর থেকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে শনাক্ত হচ্ছে করোনার এই নতুন ধরন। এরই মধ্যে বেশ কয়েকটি দেশ আফ্রিকার ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা বা সীমাবদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
বুধবার দক্ষিণ আফ্রিকা সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, দক্ষিণ আফ্রিকার নয়টি প্রদেশের পাঁচটিতেই নতুন ধরন শনাক্ত করা হয়েছে। গত একদিনে দক্ষিণ আফ্রিকায় করোনা রোগীর সংখ্যাও দ্বিগুণ বেড়েছে। এ সময় দক্ষিণ আফ্রিকায় ৮ হাজার ৫৬১ জন করোনা রোগী শনাক্ত করা হয়েছে।
দক্ষিণ আফ্রিকার ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর কমিউনিকেবল ডিজিজেস (এনআইসিডি) জানায়, গত নভেম্বরে ২৪৯টি ভাইরাসের জিনোম সিকোয়েন্সের ৭৪ শতাংশেই ওমিক্রন ধরন পাওয়া গেছে।
দক্ষিণ আফ্রিকা প্রতি সপ্তাহে সংগৃহীত নমুনার ছোট একটি অংশরই জিনোম সিকোয়েন্স করা হয়। কতটি নমুনায় ওমিক্রন ধরন পাওয়া গেছে তা নির্দিষ্ট করে জানায়নি এনআইসিডি।
এনআইসিডির পক্ষ থেকে বলা হয়, মিউটেশন প্রোফাইল এবং ভাইরাসের ছবি পরামর্শ দেয় যে ওমিক্রন আমাদের কিছু রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ধ্বংস করতে সক্ষম । তবে ভ্যাকসিন থেকে গুরুতর রোগ এবং মৃত্যুর বিরুদ্ধে সুরক্ষা দেয়।