বাংলা প্রবাদ আছে, দাঁত থাকতে দাঁতের মর্ম বোঝে না। আমাদের দেশের মানুষের ক্ষেত্রে প্রবাদটি সত্য। ক্ষয়ে যাওয়া থেকে শুরু করে দাঁতের ব্যথা—সব ক্ষেত্রে অবহেলা দেখা যায়। এর কারণে দাঁতের গোড়ায় সংক্রমণ দেখা দেয়। গবেষণা বলছে, দাঁতে জীবাণুর সংক্রমণ দীর্ঘস্থায়ী হলে তা থেকে দেখা দিতে পারে বিভিন্ন জটিল রোগ।
গোড়া এবং আশপাশে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ায় দাঁতের পাশে ও গোড়ায় পুঁজ জমে যায়। দাঁতের চারপাশের শিরা ও টিস্যুতে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়াকে পেরিওডন্টাইটিস বলে।
সংক্রমণের লক্ষণ ও উপসর্গ
দাঁতের সংক্রমণের লক্ষণ হলো ক্রমাগত দাঁতে ব্যথা। এর ফলে মাড়ির নিচের শিরা-উপশিরা ফুলে যায়। দাঁতের সংক্রমণে জড়িত অন্য উপসর্গগুলো হলো—
সংক্রমণের কারণ
নির্ণয় ও চিকিৎসা
দাঁতে সংক্রমণের উপসর্গ দেখা দিলে চিকিৎসকের কাছে যাওয়া উচিত। দন্তচিকিৎসক কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষার পরামর্শ দিতে পারেন, যা থেকে সংক্রমণটির বৃদ্ধি ও ছড়িয়ে পড়ার বিষয়ে জানা যাবে। সাধারণত ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ হয়ে থাকে দাঁতে। এ জন্য অ্যান্টিবায়োটিক গ্রহণ করতে হতে পারে। এর সঙ্গে কিছু পদ্ধতি ব্যবহার করে চিকিৎসা করা হয়।
প্রতিরোধ
শরীরের যেকোনো অঙ্গের মতো দাঁতের যত্ন জরুরি। দাঁতে সংক্রমণ থাকা অবস্থায় কোনো রোগীর চোখ, কান, মস্তিষ্ক বা হার্টের মতো অঙ্গে অপারেশন ঝুঁকিপূর্ণ। তাই ব্যথা উপশমের জন্য ‘পেইন কিলারের’ আশ্রয় না নিয়ে চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে।