দেশে গত এক দিনে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও আটজনের মৃত্যু হয়েছে। একই সঙ্গে এই ২৪ ঘণ্টায় দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে নতুন করে ভর্তি হয়েছে ৭৭৮ জন রোগী।
আজ রোববার (২৩ নভেম্বর) ডেঙ্গুবিষয়ক হালনাগাদকৃত তথ্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, চলতি বছরের শুরু থেকে এ পর্যন্ত সারা দেশের হাসপাতালগুলোতে মোট ৯০ হাজার ২৬৪ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছে। আর তাদের মধ্যে মোট মৃত্যু হয়েছে ৩৬৪ জনের।
বর্তমানে সারা দেশের হাসপাতালগুলোতে ডেঙ্গু নিয়ে ২ হাজার ৪৫৮ জন রোগী ভর্তি রয়েছে। এর মধ্যে রাজধানীতে ৮৭৩ জন এবং রাজধানীর বাইরে ১ হাজার ৫৮৫ জন।
সরকারের তথ্য অনুযায়ী, আজ রোববার সকাল ৮টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ভর্তি রোগীদের মধ্যে বরিশাল বিভাগে ৮৩ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ১৩৪, রাজধানীর বাইরে ঢাকা বিভাগে ১২১, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে ১২৯, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে ৮১, খুলনা বিভাগে ১১২, ময়মনসিংহ বিভাগে ৪৪, রাজশাহী বিভাগে ৪৮, রংপুর বিভাগে ১৯ জন এবং সিলেট বিভাগে ৭ জন রোগী রয়েছে।
আজ মারা যাওয়া আটজনের মধ্যে একজন বরিশাল বিভাগের, একজন চট্টগ্রাম বিভাগের, একজন ঢাকা বিভাগের, দুজন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের এবং তিনজন ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের হাসপাতালে ভর্তি ছিল।
এ নিয়ে চলতি মাসে এ পর্যন্ত মশাবাহিত রোগটিতে আক্রান্ত হয়ে মারা গেল ৮৬ জন; যা এ বছরের কোনো মাসে সর্বোচ্চ। আর নভেম্বরের এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে ২০ হাজার ৪০২ জন। এর আগে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু অক্টোবর মাসে। ওই মাসে ৮০ জনের মৃত্যু হয়। সেপ্টেম্বরে মারা গেছে ৭৬ জন। জুলাই মাসে ৪১ জন মারা যায়।
এ ছাড়া জানুয়ারিতে ১০ জন, ফেব্রুয়ারিতে তিন, এপ্রিলে সাত, মে মাসে তিন, জুনে ১৯, আগস্টে ৩৯ জন মারা যায়। মার্চ মাসে কোনো রোগীর মৃত্যু হয়নি।
ডেঙ্গু নিয়ে জানুয়ারিতে ১ হাজার ১৬১ জন, ফেব্রুয়ারিতে ৩৭৪, মার্চে ৩৩৬, এপ্রিলে ৭০১, মে মাসে ১ হাজার ৭৭৩, জুনে ৫ হাজার ৯৫১, আগস্টে ১০ হাজার ৪৯৬, সেপ্টেম্বরে ১৫ হাজার ৮৬৬ এবং অক্টোবরে ২২ হাজার ৫২০ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়।
উল্লেখ্য, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ও মৃত্যুর তথ্য রাখে ২০০০ সাল থেকে। এর মধ্যে ২০২৩ সালে এ রোগ নিয়ে সবচেয়ে বেশি ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়। ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে সবচেয়ে বেশি ১ হাজার ৭০৫ জনের মৃত্যুও হয় ওই বছর। সর্বশেষ ২০২৪ সালে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ১ লাখ ১ হাজার ২১৪ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়। মৃত্যু হয় ৫৭৫ জনের।