আমাদের জীবনযাত্রায় গতি ধরে রাখার ক্ষেত্রে হাঁটু একটি অপরিহার্য জয়েন্ট। এখানে যখন ব্যথা শুরু হয়, তখন সিঁড়িতে ওঠা, বসা বা হাঁটাচলা, এমনকি নামাজ পড়াও কঠিন হয়ে পড়ে। হাঁটুর ব্যথা বর্তমানে শুধু বয়স্কদের সমস্যা নয়; আঘাত, ভুল জীবনধারা এবং অসচেতনতার কারণে তরুণেরাও এ সমস্যার শিকার হচ্ছে।
হাঁটুব্যথার সাধারণ কারণ
হাঁটুব্যথার কারণ বহুবিধ। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো:
- বয়সজনিত ক্ষয় ও রোগ
- অস্টিওআর্থ্রাইটিস
- রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস
- আঘাতজনিত বা কাঠামোগত সমস্যা
- লিগামেন্টের আঘাত
- মেনিস্কাস ছিঁড়ে যাওয়া
- ফ্র্যাকচার বা (অস্ত্রোপচারের পর ক্রমাগত ব্যথা)
- পেশির দুর্বলতা ও অতিরিক্ত ওজন
- সাধারণত পুরুষের তুলনায় নারীদের হাঁটুব্যথায় ভোগার হার বেশি।
হাঁটুব্যথার সাধারণ লক্ষণগুলো:
- ব্যথার পাশাপাশি রোগীর হাঁটু ফুলে যাওয়া বা লালচে হওয়া।
- হাঁটুর সন্ধি শক্ত হয়ে যাওয়া এবং পুরোপুরি ভাঁজ করতে বা সোজা করতে না পারা।
- হাঁটুতে গরম অনুভব করা।
- হাঁটাচলা বা দীর্ঘ সময় দাঁড়িয়ে থাকলে ব্যথা বেড়ে যাওয়া।
- হাঁটুতে ঘষা লাগার মতো বা ‘কটকট’ শব্দ অনুভূত হওয়া।
- হাঁটুর শক্তি কমে যাওয়া, ফলে সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামা করতে গিয়ে প্রচণ্ড ব্যথা হতে পারে।
- কেন ফিজিওথেরাপিই আধুনিক সমাধান
- ফিজিওথেরাপি শুধু ব্যথানাশক ওষুধ বা অস্ত্রোপচারের বিকল্প নয়; বরং অনেক ক্ষেত্রেই এটি প্রাথমিক ও সর্বোত্তম চিকিৎসাপদ্ধতি। গবেষণায় প্রমাণিত, সঠিক ফিজিওথেরাপি গ্রহণ করলে অনেক ক্ষেত্রে অস্টিওআর্থ্রাইটিসের মতো দীর্ঘমেয়াদি রোগে অস্ত্রোপচারের প্রয়োজনীয়তা অনেকাংশে কমে আসে।
হাঁটুব্যথার সাধারণ লক্ষণগুলো:
- ব্যথার পাশাপাশি রোগীর হাঁটু ফুলে যাওয়া বা লালচে হওয়া।
- হাঁটুর সন্ধি শক্ত হয়ে যাওয়া এবং পুরোপুরি ভাঁজ করতে বা সোজা করতে না পারা।
- হাঁটুতে গরম অনুভব করা।
- হাঁটাচলা বা দীর্ঘ সময় দাঁড়িয়ে থাকলে ব্যথা বেড়ে যাওয়া।
- হাঁটুতে ঘষা লাগার মতো বা ‘কটকট’ শব্দ অনুভূত হওয়া।
- হাঁটুর শক্তি কমে যাওয়া, ফলে সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামা করতে গিয়ে প্রচণ্ড ব্যথা হতে পারে।
- কেন ফিজিওথেরাপিই আধুনিক সমাধান
- ফিজিওথেরাপি শুধু ব্যথানাশক ওষুধ বা অস্ত্রোপচারের বিকল্প নয়; বরং অনেক ক্ষেত্রেই এটি প্রাথমিক ও সর্বোত্তম চিকিৎসাপদ্ধতি। গবেষণায় প্রমাণিত, সঠিক ফিজিওথেরাপি গ্রহণ করলে অনেক ক্ষেত্রে অস্টিওআর্থ্রাইটিসের মতো দীর্ঘমেয়াদি রোগে অস্ত্রোপচারের প্রয়োজনীয়তা অনেকাংশে কমে আসে।
ফিজিওথেরাপির ভূমিকা
ফিজিওথেরাপি শুধু ব্যথা কমায় না, এটি হাঁটুর ফাংশন উন্নত করে, হাঁটুর স্থিতিশীলতা বৃদ্ধি করে, জয়েন্ট সচল রাখে, পেশি শক্ত করে এবং ভবিষ্যতের জটিলতা প্রতিরোধ করে। তাই হাঁটুর ব্যথা অনুভব করলে সময় নষ্ট না করে বিশেষজ্ঞ ফিজিওথেরাপিস্টের পরামর্শ নেওয়াই উত্তম।
ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা
একজন বিশেষজ্ঞ ফিজিওথেরাপিস্ট রোগীর হাঁটুব্যথার কারণ ও তীব্রতা বিশ্লেষণ করে একটি সঠিক চিকিৎসা পরিকল্পনা তৈরি করেন:
হাঁটুব্যথার চিকিৎসায় কিছু ফিজিওথেরাপি টেকনিক ব্যবহার করা হয়। যেমন:
- থেরাপিউটিক ব্যায়াম
- ম্যানুয়াল থেরাপি
- মোবিলাইজেশন থেরাপি
- ইলেকট্রো থেরাপি, যেমন
- ট্রান্সকিউটেনিয়াস ইলেকট্রিকালনার্ভ স্টিমুলেশন (টেনস)
- আলট্রাসাউন্ড থেরাপি
- পালসড শর্টওয়েভ থেরাপি
- শারীরিক ভঙ্গি ও হাঁটাচলার প্রশিক্ষণ
- হিট বা কোল্ড থেরাপি
সতর্কতা
- দীর্ঘ সময় একই ভঙ্গিতে বসে থাকবেন না।
- ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখুন।
- আরামদায়ক জুতা ব্যবহার করুন
- হাঁটুতে অতিরিক্ত চাপ না দেওয়া
- সিঁড়িতে ওঠানামা বা ভারী বোঝা বহনে সতর্কতা অবলম্বন করুন।
- নিয়মিত হালকা ব্যায়াম করুন।
লেখক: বাত-ব্যথা, প্যারালাইসিস, স্পোর্টস ইনজুরি ও ফিজিওথেরাপি বিশেষজ্ঞ।
আলোক হেলথকেয়ার, মিরপুর, পল্লবী