হোম > ছাপা সংস্করণ

সরকারি খরচে নেতার বাড়ির জন্য তিন রাস্তা

গাজীপুরের শ্রীপুরে কৃষক লীগের এক নেতার বাড়িতে যাতায়াতের জন্য সরকারি খরচে তিনটি ইট সলিংয়ের রাস্তা নির্মাণ করা হয়েছে। প্রায় চার লাখ টাকা ব্যয়ে শ্রীপুর স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর রাস্তাগুলো নির্মাণ করেছে বলে জানা গেছে। এ নিয়ে এলাকায় ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা চলছে।

সূর্যত আলী নামের ওই নেতা উপজেলার কাওরাইদ ইউনিয়নের শিমুতলী গ্রামের কাজিম উদ্দিনের ছেলে। তিনি কাওরাইদ ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ড কৃষক লীগের সভাপতি। তবে এ নিয়েও আছে বিতর্ক। তিনি নিজেকে ওয়ার্ড কৃষক লীগের সভাপতি দাবি করলেও ইউনিয়ন কৃষক লীগের সভাপতি তা অস্বীকার করেছেন।

সরেজমিনে ও খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সম্প্রতি সূর্যত আলী উপজেলা পরিষদ থেকে ৪২০ ফুট রাস্তার বরাদ্দ পান। তবে বহু বছর আগে তাঁর বাড়ির পাশ দিয়ে একটি পাকা সড়ক চলে গেছে। যে সড়কটি তাঁর ঘরের দেয়াল ঘেঁষা। নতুন বরাদ্দে তাঁর বাড়ির দক্ষিণ পাশে একটি এবং উত্তর পাশ দুটিসহ মোট তিনটি রাস্তা নির্মাণ করা হয়েছে।

তবে সূর্যত আলীর বাড়ির আশপাশের মানুষের বাড়িতে কোনো রাস্তা নেই। নতুন নির্মিত তিনটি রাস্তাই শুধু তাঁর বাড়ি থেকে যাতায়াতের জন্য। একই বাড়িতে তিনটি রাস্তা নিয়ে এলাকার মানুষের মধ্যে তৈরি হয়েছে কৌতূহল।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সূর্যত আলী বলেন, ‘সারা জীবন আওয়ামী লীগের রাজনীতি করে অনেক কিছু নষ্ট করেছি। রাস্তার জন্য বরাদ্দ চেয়েছি। আমার নামে ৪২০ ফুট রাস্তা বরাদ্দ হয়েছে। এক সপ্তাহ হলো রাস্তা নির্মাণ হয়েছে।’

আপনার বাড়ির পাশে তো পাকা সড়ক? তবু কেন তিনটি রাস্তা প্রয়োজন? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘বরাদ্দ হয়েছে, তাই কাজ হয়েছে।’ তিনটি রাস্তা কেন? আবার এ প্রশ্ন করলে তিনি তার কোনো জবাব দেননি।

কাওরাইদ ইউনিয়ন কৃষক লীগের সভাপতি কামাল হোসেন বলেন, ‘সূর্যত আলী নামে কেউ ওয়ার্ড কমিটির সভাপতি নেই। তিনি এই পরিচয় দিয়ে হয়তো বা প্রতারণা করছেন।’

শ্রীপুর উপজেলা সহকারী প্রকৌশলী রাকিবুল আহসান বলেন, ‘আমি লোক পাঠাচ্ছি সরেজমিনে সব দেখতে। আর সঠিক তথ্য জানার চেষ্টা করেছি কাজটি কে করেছেন, কোন প্রকল্পের মাধ্যমে করেছেন। বাস্তব অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে যদি এটা আমাদের উপজেলা পরিষদের অর্থায়নে এলজিইডির মাধ্যমে বাস্তবায়িত হয়ে থাকে তাহলে যেখানে যতটুকু প্রয়োজন সে অনুযায়ী কাজ করা হবে। দ্রুত সময়ের মধ্যে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

শ্রীপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শামসুল আলম প্রধান বলেন, ‘রাস্তার জন্য আবেদন করার পর প্রকল্প দেওয়া হয়েছে। পরবর্তী সময়ে সরেজমিন ঘুরে দেখা যায় তাঁর বাড়িতে রাস্তার দরকার নেই। পরে উপজেলা প্রকৌশলী অধিদপ্তরকে রাস্তা না করার জন্য বলা হয়েছে।’

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেষ সাক্ষীর জেরা চলছে

ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ পাওয়ার আশায় সাগরে জেলেরা

ভারতের নিষেধাজ্ঞা: স্থলবন্দর থেকে ফেরত আসছে রপ্তানি পণ্য

নিলামে গৌতম বুদ্ধের রত্নসম্ভার

যুক্তরাষ্ট্র-চীনের সমালোচনা জাতিসংঘের উদ্বেগ

ভারতের হামলা, পাকিস্তানের প্রস্তুতি

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ