মধুপুরের আমলীতলা গ্রামের রাধা রানী বর্মন অভাবের সংসারে বেড়ে উঠেছেন। বিয়ের পর ফনিরাম চন্দ্র বর্মনের সংসারে এসেও সুখের নাগাল পাননি। নিজস্ব সম্পদ বলেও নেই কিছু। পরের জায়গায় বসবাস করা এই পরিবারে দুই সন্তান। তবে তাঁদের জন্যও গড়তে পারেননি সুখের ঠিকানা।
দিনমজুরির টাকায় যা পায় তাই দিয়েই কোনোমতে চলে যায় দিন। তবে মুজিববর্ষ উপলক্ষে সরকারের আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর ও জমি তাঁদের সে দুঃখ ঘুচিয়েছে। গত মঙ্গলবার সকালে টিনশেড পাকা দালানের বাড়ি দেখে এসেছেন তাঁরা। দুপুরে পেয়েছেন জমির দলিল ও বাড়ির মালিকানার সনদ। নতুন ঘর পেয়ে তৃপ্তির হাসি রাধা রানী ও তাঁর পরিবারে।
গত মঙ্গলবার দুপুরে মধুপুর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে আনুষ্ঠানিকভাবে এ ঘর ও জমি হস্তান্তর করা হয়। এ সময় সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে রাধা রানী বলেন, ‘শেখ হাসিনা দীর্ঘদিন বাঁইচা থাকুক। তাঁর অছিলায় আমি আজ বাড়ির মালিক। জমির মালিক। সংসারজীবনে এই প্রথম নিজের ঘরে থাকতে পারছি।’
শুধু রাধা রানীই নন, গতকাল সরকারিভাবে নতুন ঘর ও জমি পেয়েছেন উপজেলার ১০ পরিবার। গতকাল মঙ্গলবার সারা দেশের ৩২ হাজার ৯০৪টি গৃহহীন পরিবারের মাঝে জমি ও ঘর বিতরণ অনুষ্ঠানের ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ঈদ উপলক্ষে ৩০ কেজি করে চালও দেওয়া হয় তাঁদের।
মধুপুরে এই উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শামীমা ইয়াসমিনের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ছরোয়ার আলম খান আবু, জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান খন্দকার শফিউদ্দিন মনি, মধুপুর থানার ভারপ্রাপ্ত (ওসি) কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাজহারুল আমিন প্রমুখ।