পিএইচডি ডিগ্রির স্কলারশিপ নিয়ে ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইংল্যান্ড যান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মামুন আল মোস্তফা। এর আগে তিনি ঢাবির কবি জসীমউদ্দীন হলের আবাসিক শিক্ষক ছিলেন। শিক্ষাছুটিতে যাওয়ার পরও তাঁর পরিবার হলের আবাসিক শিক্ষকদের কোয়ার্টারে রয়েছে, যা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মবহির্ভূত।
ঢাবি সূত্রে জানা গেছে, মামুন আল মোস্তফার পরিবার আবাসিক শিক্ষকদের কোয়ার্টারের চারতলার পূর্ব পাশে থাকছে। এর মধ্যে তিনি বাংলাদেশে একবার এসে আবার ইংল্যান্ডে ফিরে গেছেন।
ঢাবির এক ডেপুটি রেজিস্ট্রার নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘ কোনো শিক্ষক যদি শিক্ষাছুটিতে দেশের বাইরে যান, তবে নিয়ম হলো বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় যে বাসা থাকে সেটাতে তাঁর পরিবার থাকতে পারবে। তবে শুধু মা-বাবা থাকতে পারবেন না।’
ওই ব্যক্তি আরও জানান, আর কেউ যদি হল কোয়ার্টারে থাকেন তাহলে বিদেশে যাওয়ার আগে হলের বাসার ছাড়পত্র রেজিস্ট্রার অফিসে জমা দিতে হবে। যদি হলের প্রাধ্যক্ষ চান তাহলে সর্বোচ্চ ছয় মাস থাকার নিয়ম বিশ্ববিদ্যালয়ে রয়েছে।
এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে আবাসিক শিক্ষকদের বাসা বরাদ্দের নিয়মানুযায়ী, ‘কোনো আবাসিক শিক্ষক যদি টানা তিন মাস দায়িত্ব পালন না করেন তাহলে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি পাবেন। একই সঙ্গে আবাসিক শিক্ষকের কোয়ার্টারেও ছেড়ে দিতে হবে।’
কবি জসীমউদ্দীন হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আব্দুর রশীদ বলেন, ‘উনি (মামুন) আমাদের আবাসিক শিক্ষক হিসেবে নেই, এটা আমরা এস্টেট অফিসকে জানিয়েছি। বর্তমানে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসেবে নাকি আবাসিক শিক্ষক হিসেবে আছে, সেটা আমি বলতে পারব না।’
এ বিষয়ে জানতে বিশ্ববিদ্যালয়ের এস্টেট ম্যানেজার (ভারপ্রাপ্ত) ফাতেমা বিনতে মোস্তফার সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি কোনো ধরনের মন্তব্য করতে রাজি হননি। মন্তব্য জানতে মামুন আল মোস্তফাকে ই-মেইল করা হলে তিনি কোনো প্রতি-উত্তর দেননি।