ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার ধর্মগড় ইউনিয়নের চেকপোস্ট বাজারের সড়কে অল্প বৃষ্টিতে পানি জমে যাচ্ছে। এটি সংস্কারে দরপত্রের এক বছর পেরিয়ে গেলেও চুক্তিবদ্ধ ঠিকাদার কাজ শুরু করছেন না। এতে ভোগান্তি নিয়ে চলাচল করছেন পথচারীরা।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) উপজেলা প্রকৌশল বিভাগ থেকে জানা গেছে, জগদল জমিদারবাড়ি থেকে শুরু করে চেকপোস্ট বাজার হয়ে সুন্দরীর মোড় পর্যন্ত ৬ হাজার ৩৫০ মিটার সড়কের কাজ দরপত্রের মাধ্যমে কাজ পায় রংপুরের মাসুদ হাইটেক ইঞ্জিনিয়ার লিমিটেড ও পারভেজ কনস্ট্রাকশন লিমিটেড নামে দুটি যৌথ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। তাদের কাজ শুরু করার কথা গত বছরের ২৯ সেপ্টেম্বর এবং শেষ হওয়ার কথা ২০২৩ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি। কিন্তু এখনো কাজ শুরু করা হয়নি।
সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের এক কর্মকর্তা জানান, নির্মাণসামগ্রীর দাম বাড়ায় কাজ শুরু করতে দেরি হচ্ছে।
ওই সড়কে গিয়ে দেখা গেছে, চেকপোস্ট বাজারের সড়কটিতে জলাবদ্ধতা রয়েছে। এ কারণে হেঁটে আসতে বেশ দুর্ভোগে পড়ছেন লোকজন। বাজারের দোকানগুলোর সামনে পানি ও কাদা থাকায় ব্যবসায়ীদের সমস্যা হচ্ছে। এ ছাড়া ভারী যানবাহন, সাধারণ ভ্যান, তিন চাকার সিএনজি অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটো গাড়ি ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে।
পিকআপ ভ্যানের ড্রাইভার আব্দুস সালাম বলেন, ‘সড়কটি দিয়ে গাড়ি নিয়ে যেতে খুব ঝুঁকিতে পড়তে হয়। সামান্য ত্রুটি হলেই গাড়ি উল্টে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।’
ভ্যানচালক আব্দুস ছাত্তার বলেন, ‘চেকপোস্ট থেকে সুন্দরী মোড় পর্যন্ত অংশটি খুব খারাপ। দুজন যাত্রী নিয়ে ভ্যান চালানো যায় না।’
স্থানীয় বাসিন্দা ইসলাম ও দেলোয়ার বলেন, ‘সড়কটি এখন থেকে ১০ বছর আগে পাকা করা হয়। এখন একেবারে নাজুক অবস্থায় রয়েছে। বিশেষ করে চেকপোস্ট বাজারের সড়কটি সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় রয়েছে। সড়কটির নাকি টেন্ডার হয়েছে। টেন্ডার হওয়ার পর এক বছরেও কাজ শুরু হয়নি। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে দ্রুত সড়কটি সংস্কারের দাবি জানাই।’
চুক্তিবদ্ধ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপক নাসিরুল বলেন, জিনিসপত্রের দাম বেড়ে যাওয়ায় কাজ শুরু করা যাচ্ছে না। নতুন ইট পাওয়া গেলে কাজ শুরু করা হবে।
উপজেলা প্রকৌশলী কে এম সাব্বিরুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কাজটি তো ঠিকাদার বিক্রি করে দিয়েছেন বলে শুনেছি। তারাও কাজ শুরু করছে না। এ কারণে ওই কাজটির জন্য সম্ভবত আবার দরপত্র আহ্বান করা হবে।’