নোয়াখালীর বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জার নামে এক কোটি টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগ উঠেছে। মেয়রের ভাগনে বসুরহাট জিরো পয়েন্টের এইচ আর সিটি কমপ্লেক্সের মালিক ফখরুল ইসলাম রাহাত এ অভিযোগ করেছেন।
গত বুধবার রাতে নোয়াখালীর পুলিশ সুপারের (এসপি) কাছে লিখিতভাবে এ অভিযোগ করেন রাহাত। অভিযোগের অনুলিপি কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকেও (ওসি) দেওয়া হয়েছে।
লিখিত অভিযোগে ফখরুল ইসলাম রাহাত উল্লেখ করেন, ১৯৯৯ সালে বসুরহাট পৌরসভা থেকে প্ল্যান অনুমোদন করে বহুতলবিশিষ্ট এইচ আর সিটি কমপ্লেক্স মার্কেট নির্মিত হয়। ওই কমপ্লেক্সে এক্সিম ব্যাংকের শাখা ও যমুনা ব্যাংকের এটিএম বুথসহ ৮২টি দোকান রয়েছে। বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জার নামে তাঁর লোকজন এক কোটি টাকা চাঁদা দাবি করেছেন। দাবি করা চাঁদা না দিলে মেয়র কাদের মির্জা মার্কেট ভেঙে ফেলবেন বলে মার্কেটের ব্যবসায়ীদের হুমকি দেন মেয়রের অনুসারীরা।
রাহাত অভিযোগ করেন, গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল থেকে একাধিকবার কাদের মির্জা তাঁর বাহিনীসহ মার্কেটে প্রবেশ করেন। এ সময় মেয়র মার্কেটের একটি অংশে লাল রং লাগিয়ে দাগ টেনে দেন। ব্যবসায়ীদের হুমকি দিয়ে মেয়র বলেন, ‘এখনো মালামাল সরানো হয়নি কেন? পুলিশ কতক্ষণ পাহারা দেবে? আমি যেকোনো মুহূর্তে মার্কেটের চিহ্নিত অংশ ভেঙে ফেলব।’ এ নিয়ে এখনো আতঙ্কে রয়েছেন বলে জানিয়েছেন ফখরুল ইসলাম রাহাত।
এ ব্যাপারে জানাতে চেয়ে বারবার কাদের মির্জার মোবাইল ফোনে কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি। তবে বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টায় ফেসবুক লাইভে এসে তিনি চাঁদা দাবির বিষয়টি অস্বীকার করেছেন।
লাইভে কাদের মির্জা বলেন, ‘পুলিশ কতক্ষণ পাহারা দেবে? আমি কারও নিষেধ শুনব না। মার্কেটের চিহ্নিত অংশ ভেঙে দেব। আমার সিদ্ধান্ত, আমার কর্মী বাহিনী বুকের তাজা রক্ত দিয়ে হলেও বাস্তবায়ন করবে।’