মনিরামপুরে ঝটিকা মিছিল করেছে জামায়াত-ছাত্রশিবির। পরে যানবাহন চলাচলে বাধা সৃষ্টি, জনসাধারণকে ভয়ভীতি দেখানো ও বোমা বিস্ফোরণের অভিযোগে ৯ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ৫০-৬০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গত রোববার সকাল সাড়ে ৬টা থেকে পৌনে সাতটার মধ্যে উপজেলার সুন্দলপুর বাজারে এ মিছিল করা হয়। সেখানে কয়েক শ মানুষ অংশ নেন বলে প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে।
মামলার আসামিরা হলেন শ্যামকুড় ইউনিয়ন জামায়াত ইসলামের আমির মাওলানা এজাহার আলী, শ্যামকুড় ইউনিয়ন ছাত্র শিবিরের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রব, শ্যামকুড় সরদার পাড়ার দুই ভাই আবু দাউদ ও আব্দুল মালেক, ধলিগতী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক হাতেম আলী, ধলিগাতী গ্রামের মানবাধিকারকর্মী আজহারুল ইসলাম, শ্যামকুড় বুজতলা বাজার এলাকার হাবিবুর রহমান, চিনাটোলা বাজারের পল্লি চিকিৎসক মনিরুজ্জামান ও কুয়াদা গ্রামের আসাদুর রহমান।
তাঁদের মধ্যে আবু দাউদ, আব্দুল মালেক, হাতেম আলী ও আব্দুর রবকে গ্রেপ্তার করে সোমবার বিকেলে আদালতে সোপর্দ করেছে পুলিশ।
মামলার বাদী এসআই যোগেশ বলেন, ‘যানবাহন চলাচলে বাধা সৃষ্টি, জনসাধারণকে ভয়ভীতি দেখানো ও হাতবোমা বিস্ফোরণের অভিযোগে ৯ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ৫০-৬০ জনের নামে মামলা হয়েছে।’
ঘটনাস্থল থেকে হাতবোমাসহ লাঠিসোঁটা উদ্ধার হয়েছে। বিভিন্ন সোর্সের মাধ্যমে নিশ্চিত হয়ে মিছিলে অংশ নেওয়া চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’
এসআই যোগেশ বলেন, শ্যামকুড় ইউনিয়নের (ইউপি) চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন বলেন, ‘গত রোববার সকালে হঠাৎ করেই বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে জামায়াত-শিবিরের নেতা কর্মীরা সুন্দলপুর বাজারে জমায়েত হন। পরে তিন-চার শ জামায়াত-শিবির কর্মী ব্যানারসহ মাদক বিক্রি এবং নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করে। ৫-৭ মিনিটের মধ্যে মিছিল করে তাঁরা পালিয়ে যান। মিছিলকারীরা মোটরসাইকেলযোগে যশোরসহ মনিরামপুরের বিভিন্ন এলাকা থেকে এসেছেন।
চেয়ারম্যান বলেন, ‘মিছিলের খবর পেয়ে আমি আবু দাউদ, আব্দুল মালেক, হাতেম আলী ও আব্দুর রবকে পরিষদে ডেকে এনেছি। হাতেম আলী বলেছেন, মিছিলের সময় তিনি রাস্তার পাশে ছিলেন। বাকি তিনজন মিছিলে অংশ নেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন। তবে ককটেল বিস্ফোরণ হয়েছে কি না জানতে পারিনি।’
এদিকে শ্যামকুড় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক ইউপির চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান মনি বলেন, ‘আবু দাউদ ও আব্দুল মালেক সেলুনের কাজ করেন। তাঁরা কোনো রাজনীতির সঙ্গে জড়িত না। আর হাতেম মাস্টার তাবলীগ করেন এবং আজহারুল মানবাধিকার কর্মী। তিনি কোনো দলের সঙ্গে সরাসরি জড়িত নন।’
মনিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূর-ই-আলম সিদ্দীকি মিছিলের ঘটনায় মামলা ও চারজনকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।