অপহরণের দুই মাস পর এক স্কুলছাত্রীকে উদ্ধার করেছে বাগমারা থানা-পুলিশ। গত সোমবার রাতে নোয়াখালী থেকে ওই স্কুলছাত্রীকে উদ্ধার করা হয়। তবে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে অন্য বাসায় ওই ছাত্রীকে রেখে পালিয়ে যান অপহরণকারীরা। উদ্ধার হওয়া ওই ছাত্রীকে পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান-স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করা হয়েছে।
গত ১৮ ফেব্রুয়ারি রাজশাহীর বাগমারায় চাচার বাড়িতে বেড়াতে এসে অষ্টম শ্রেণির ওই ছাত্রী অপহরণের শিকার হয়। পরে ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে গত ২১ ফেব্রুয়ারি থানায় পাঁচজনকে আসামি করে অপহরণের একটি মামলা করেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ওই স্কুলছাত্রী (১৩) গত ১৮ ফেব্রুয়ারি রাজশাহী শহর থেকে চাচার বাড়ি বাগমারা উপজেলার এক গ্রামে বেড়াতে আসে। ওই দিন দুপুরে একই গ্রামের ফিরোজ হোসেন (২১) অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে মোটরসাইকেলে অপহরণ করে নিয়ে যান ছাত্রীকে। এ সময় ফিরোজের সঙ্গে আরও চারজন ছিলেন। স্কুলছাত্রী চিৎকার শুরু করলে মোটরসাইকেল নিয়ে দ্রুত সটকে পড়েন তাঁরা।
পরে ফিরোজ হোসেন, তাঁর বড় ভাই আবু বক্কর সিদ্দিক, আউচপাড়া ইউনিয়নের শিহালী গ্রামের আব্দুল জলিল, নরদাশ ইউনিয়নের মন্দিয়াল গ্রামের এবারোক হোসেন এবং শুভডাঙ্গা ইউনিয়নের বারুইপাড়া গ্রামের উজ্জ্বল হোসেনকে আসামি করে অপহরণের মামলা করেন ছাত্রীর বাবা।
বাগমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাক আহম্মেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, অপহরণের শিকার স্কুলছাত্রীকে উদ্ধার করা হয়েছে। তবে অপহরণকারীদের গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। তাঁদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।