রাস্তার পাশে নয়, সরাসরি রাস্তার ওপরেই রাখা হচ্ছে পাথরের স্তূপ। নাজিরপুর উপজেলার চৌঠাইমহল থেকে শ্রীরামকাঠী সড়কের কালীবাড়ি ঋষি বাড়ির মোড়ে সেতুর পাশের রাস্তায় রাখা হয়েছে স্তূপ করে রাখা হয়েছে পাথর। এতে মারাত্মক ভোগান্তিতে পড়েছেন রাস্তায় চলাচলকারী সাধারণ মানুষ ও যানবাহনের চালকেরা।
রাস্তার অর্ধেকের বেশি দখল করে পাথর রাখার পরও কেউ প্রতিবাদ করার সাহস পাচ্ছেন না। এই পথ দিয়ে কোনো রিকশা বা সাধারণ মানুষ চলাচল করতে পারছে না। পাথর ফেলে রাখায় যে কোনো সময় দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে।
স্থানীয় এক দোকানদার জানান, ‘কয়েক দিন আগে পাথর ছিটকে এসে একটি বাচ্চা জখম হয়েছে। তা ছাড়া মোটরসাইকেল নিয়েও কয়েকজন পিছলে গিয়েছেন।’
রঘুনাথপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক বেদানন্দ হালদার বলেন, ‘আমার বাসার সামনেই এই রাস্তা। আমরা প্রতিদিনই এই সমস্যা দেখি।’
অনেক ভ্যানচালকও জানালেন একই অভিযোগ। ওই এলাকার স্কুল–কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থী ও স্থানীয় জনগণ দুর্ভোগে অতিষ্ঠ। তাদের জোর দাবি এই রাস্তা থেকে অতি শিগগির পাথর সরিয়ে যানবাহন চলাচলের সুযোগ করে দিতে হবে।
অভিযুক্ত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান জাহিদ এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী অংশু বলেন, ‘শ্রমিকেরা রাস্তার পাশে পাথর রেখে থাকতে পারে। এ বিষয়ে খোঁজ নিচ্ছি। রাস্তার পাশে রাখা হলে পাথর দ্রুত সরানোর ব্যবস্থা নিচ্ছি।’
ইউএনও মোহাম্মদ ওবায়দুর রহমান বলেন, ‘সড়কে পাথর রাখা হলে আইনের আওতায় আনা হবে। দ্রুত পাথর সরানোর ব্যবস্থা করা হবে।’