লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলায় আব্দুল মালেক (৪৫) নামের এক কৃষককে হত্যার স্বীকারোক্তি পুলিশের কাছে দিয়েছেন ভাতিজা সোহেল রানা (১৯)। গতকাল শনিবার সকালে গ্রেপ্তার সোহেলকে লালমনিরহাট কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এর আগে গত শুক্রবার উপজেলার গড্ডিমারী ইউনিয়নের দোয়ানী এলাকার নিজ বাড়ি থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে সোহেল আপন চাচাকে হত্যার কথা স্বীকার করেন বলে নিশ্চিত করেছেন হাতীবান্ধা থানার ওসি (তদন্ত) রফিকুল ইসলাম। এ ছাড়া হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত একটি হাতুড়ি উদ্ধার করেছে পুলিশ।
সোহেল উপজেলার গড্ডিমারী ইউনিয়নের দোয়ানী গ্রামের আব্দুল খালেকের ছেলে। আব্দুল খালেকের ছোট ভাই নিহত আব্দুল মালেক।
এ বিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা হাতীবান্ধা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, ‘সোহেলের শারীরিক সমস্যা নিয়ে প্রায় উপহাস করতেন চাচা মালেক। সেই আক্রোশে গত ২৬ সেপ্টেম্বর রাতে বাড়ির সামনে চাচা মালেককে একা পেয়ে হাতুড়ি দিয়ে মাথায় আঘাত করেন সোহেল। এতে ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। হত্যার পর হাতুড়িটি পাশের ডোবায় ফেলে দেন তিনি। ওই ডোবা থেকে হাতুড়ি উদ্ধার করা হয়েছে।’
এ বিষয়ে হাতীবান্ধা থানার ওসি (তদন্ত) রফিকুল ইসলাম জানান, পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে চাচাকে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন সোহেল।