দিনাজপুরের নবাবগঞ্জে প্রশাসনের নাম পরিচয়ে চাঁদা দাবিসহ বিভিন্ন কৌশলে প্রতারণা করে আসছে প্রতারকচক্র। একের পর এক প্রতারণার ঘটনা ঘটলেও আইনের আওতায় আসছে না প্রতারকেরা। গত মঙ্গলবার এমনই এক প্রতারণা থেকে অল্পের জন্য বেঁচে গেছেন দুই ব্যবসায়ী।
ওই দিন এসিল্যান্ড পরিচয়ে প্রতারক চক্র ০১৯২৯৬৮৬৭৮১ নম্বর থেকে উপজেলা স্যানিটারি ইন্সপেক্টর মো. মোকছেদুল মুমিনকে ফোন করে উপজেলা সদরের ঘোষ মিষ্টান্ন ভান্ডার ও রাইসা বেকারিতে যেতে বলে। পরে ইন্সপেক্টর মমিনের উপস্থিতিতে দুই প্রতিষ্ঠানের মালিককের কাছ থেকে ৭০ হাজার টাকা দাবি করা হয়। বিষয়টি ইন্সপেক্টরের সন্দেহ হলে তিনি খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন এসিল্যান্ড পাশের ঘোড়াঘাট উপজেলায় নির্বাচনী দায়িত্বে পালন করছেন। এ পরিপ্রেক্ষিতে টাকা দিতে ব্যবসায়ীদের নিষেধ করেন তিনি।
রাইসা বেকারীর মালিক মো. শামসুল আলম বলেন, ‘মঙ্গলবার বেকারীতে অভিযানের নামে ৭০ হাজার টাকা দাবি করা হয়। এ নিয়ে আমি দুশ্চিন্তায় পড়ে যাই। পরে স্যানিটারি ইন্সপেক্টর টাকা দিতে নিষেধ করায় টাকা দেইনি।’
উপজেলা স্যানিটারি ইন্সপেক্টর মো. মোকছেদুল মুমিন বলেন, ‘নতুন এসিল্যান্ড কাজে যোগ দিয়েছেন। তাঁর সঙ্গে এখনো পরিচয় হয়নি। তাই ফোন করে যিনি নিজেকে এসিল্যান্ড পরিচয় দিয়েছেন তাঁর কণ্ঠ চিনতে পারিনি। পরে খোঁজ খবর পুরো বিষয়টি বুঝতে পেরে ব্যবসায়ীদের সতর্ক করে দেই।’