হবিগঞ্জের নবীগঞ্জে কুশিয়ারা নদীতে থামছে না অবৈধভাবে বালু উত্তোলন। ফলে নদীর তীরে ভাঙন দেখা দিয়েছে। এতে ঝুঁকির মুখে রয়েছেন নদীর তীরবর্তী বাসিন্দারা। এদিকে বালু উত্তোলন বন্ধে প্রশাসন ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করলে স্থায়ীভাবে বন্ধ হয়নি বালু উত্তোলন। নদী থেকে বালু উত্তোলন বন্ধে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ চান স্থানীয়রা।
স্থানীয়রা জানান, পারকুল গ্রামের কুশিয়ারা নদীতে একাধিক স্থানে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে দীর্ঘদিন ধরে অবাধে বালু তুলছে কয়েকটি চক্র। এতে নদীর পাড়ে ভাঙন শুরু হয়েছে। আশপাশের আবাদি জমি ও বসতবাড়ি হুমকির মুখে পড়েছে।
সরেজমিনে উপজেলার আউশকান্দি ইউনিয়নের পারকুল এলাকায় দেখা যায়, ড্রেজার মেশিন দিয়ে চললে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন।
স্থানীয় বাসিন্দা শামীম বলেন, এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে ভূমি মন্ত্রণালয় থেকে শুরু করে সরকারে বিভিন্ন দপ্তরের বরাবর বালু তোলা চক্রের নামে অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু কোনোভাবেই অবৈধভাবে বালু তোলা বন্ধ করা যাচ্ছে না। এদিকে বালু তোলায় নদীর তীরে ভাঙন দেখা দিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ইতিপূর্বে উপজেলা প্রশাসন অভিযান চালিয়ে অবৈধভাবে উত্তোলন করা বিপুল পরিমাণ বালু, নৌকা, ড্রেজার মেশিন ধ্বংস ও শ্রমিকদের আটক করে। কিন্তু মূল হোতারা সব সময় রয়ে যাচ্ছেন ধরাছোঁয়ার বাইরে।
এদিকে গত রোববার বিকেলে এ নদীতে নবীগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) উত্তম কুমার দাশ নেতৃত্বে একদল পুলিশ অভিযান চালায়। এ সময় অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের দায়ে মো. হায়দার আলী (৩৮) নামে এক শ্রমিককে আটক করে। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে আটক হায়দর আলীকে ৩ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন।
এ প্রসঙ্গে নবীগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট উত্তম কুমার দাশ বলেন, কুশিয়ারা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধে প্রশাসনের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।